১ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৫:৩৬

অভিযোগ হিন্দু মহাজোটের এগার মাসে দেশে সংখ্যালঘু হত্যার শিকার ৮৮ জন

জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গত এগার মাসে মোট ৩৩০ দিনে দেশে সংখ্যালঘু হত্যার শিকার হয়েছে ৮৮ জন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় হিন্দু জোটের নেতৃবৃন্দ। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ২৮৭ জনকে। হত্যার চেষ্টা করা হয় ৬৮ জনকে। এ ছাড়া এ জাতীয় ঘটনায় আহত হন ৩৪৭ জন। এ পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৪৮ জন। চাঁদাবাজি, মারধর, আটক রেখে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১১১টি। চাঁদাবাজি হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। পরিবার ও মন্দির লুটের ঘটনা ঘটেছে ৯২টি। সবমিলিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ১৭৯২টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সরকারদলীয় নেতাকর্মীসহ অন্য সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকেরা জড়িত ছিল বলে জোটের নেতারা অভিযোগ করেন।
গতকাল জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংগঠনটি ২০১৮ সালে সংঘটিত হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূমিকা বিষয়ে জাতীয় প্রেস কাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সংম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন : হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহসভাপতি ড. সোনালী দাস, ডা: মৃত্যুঞ্জয় রায়, অ্যাডভোকেট বি বি গোস্বামী, প্রদীপ চন্দ্র পাল, মিঠু রঞ্জন দেব, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় ভট্টাচার্য, সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তারক চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব উত্তম দাস, যুগ্ম মহাসচিব মণিশঙ্কর মণ্ডল, সঞ্জয় ফলিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতীভা বাকচী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রিপন দে, যুববিষয়ক সম্পাদক সমীরণ বড়াল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক সুমন সরকার ও সাগরিকা মণ্ডল।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় এসব ঘটনার অনেকগুলোতেই প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদের অভিযোগও রয়েছে। এসব ঘটনায় ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ হাজার। এ ছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২৭৩৪.৮১ একর ভূমি জবরদখল হয়েছে। বসতবাড়ি ও সম্পত্তির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৩৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২৭৩৪.৮১ একর সম্পত্তি দখল হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৯ কোটি টাকার ভূমি বেদখল হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/368742