আজ ৪ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় “জামায়াতের ভয়াবহ অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে” শীর্ষক প্রতিবেদনে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা জনাব আতাউর রহমান আজ ৪ মার্চ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইতোপূর্বে দু’তিনটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকা আমাকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকারের উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার করেছে। ‘আমাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে’ মর্মে যে কথা বলা হয়েছে তা মোটেই সঠিক নয়। জামায়াতে ইসলামী ও আমার ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ ধরণের কাল্পনিক ও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাথে সাথেই এসব প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবাদটি ছাপানোর মত সৎ সাহস পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি। ভুলে ভরা মিথ্যা প্রতিবেদনগুলো জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি বরং পত্রিকার মান সম্পর্কে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
যুগান্তরের প্রতিবেদন ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ একটি বৈঠকের উদ্বৃতি দেয়া হয়েছে। অথচ ঐদিন এ ধরনের কোন বৈঠকই হয়নি। এ থেকে বুঝা যায় প্রতিবেদনটির মান কেমন?
পত্রিকাগুলোর প্রতিবেদনে ‘জামায়াতের কতিপয় নীতি ও পলিসিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি’ মর্মে আমার বরাত দিয়ে যে সব বক্তব্য ছাপা হয়েছে তার সাথে আমার দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। এগুলো নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই এ সব নোংরা মিথ্যাচার করা হয়েছে। জনগণের সামনে জামায়াতকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে অতীতেও তারা দফায় দফায় জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু অপপ্রচার চালিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেননি।
সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা আগামী নির্বাচনও একদলীয়ভাবে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকারের জনসমর্থন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার বিরোধীদল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি সরকারের এহেন স্বৈরাচারী মনোভাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এক শ্রেণীর মিডিয়া সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকান্ডের পক্ষে কাজ করছে। আমি দেশবাসীকে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”