১ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১২:৪৮

এটাই কী সিইসির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?

গায়েবি মামলা, পুরনো নাশকতা মামলা, দুর্নীতি মামলার আসামি বিএনপির পাঁচ শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। নিম্ন আদালতের সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন কয়েকজন। তফসিল ঘোষণার পরও মামলা হচ্ছে। কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন, কেউ জামিন চাইতে আদালতে গিয়ে কারাগারে ঢুকছেন, কেউ রিমান্ডে, কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেফতারের ভয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন দুই শতাধিক প্রার্থী রিটার্নিং-সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অফিসে না গিয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আদালতপাড়া, থানা আর কারাগারে চক্কর খাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলেছেন, ইসির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে; লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে। জায়ান্ট দুই প্রতিদ্ব›দ্বী পক্ষের একপক্ষ পুলিশ প্রহরায় মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন; অন্য পক্ষের প্রার্থীরা আদালত-থানা-কারাগারে চক্কর দিচ্ছেন। গ্রেফতারের ভয়ে প্রকাশ্যেই আসতে পারছেন না। এটাই কী সিইসির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হচ্ছেন এস এম শাহজাদা। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সিইসি কে এম নুরুল হুদার ভাগ্নে। প্রবাদ আছে- ‘মামা ভাগ্নে যেখানে/আপদ নাই সেখানে’। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভাগ্নের কারণেই কী সিইসি মনে করছেন- নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে? নাকি সাংবিধানিক পদপ্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে? মামা সিইসি; ভাগ্নে প্রার্থী, নৈতিকতায় কী বলে?
সংবিধানের বিধান এবং আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসির অধীনে চলে আসে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে, কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ইসি তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে, এটাই নিয়ম। একই সঙ্গে প্রশাসনের রুটিন কাজের বাইরে নিয়োগ-বদলি হবে ইসির অধীনেই। ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে গোটা প্রশাসন ব্যবস্থা। ইসি যেভাবে চাইবে, সেভাবেই কাজ করবে নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসনযন্ত্র। প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান প্রশাসনযন্ত্র কী ইসির অধীনে কাজ করছে; নাকি ইসি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে? অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য দেশি-বিদেশি সব মহল চায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। প্রত্যাশা, মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এবং ভোটের ফলাফল ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। সে লক্ষ্যে সবার প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। প্রভাবশালী ও উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা তথা বিদেশি যারাই সিইসির সঙ্গে সংলাপ করেছে, তাদের সবাইকে সিইসি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাস্তবতা হলো- কে এম নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশন যেন সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে। ২৯ নভেম্বরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করলে তাদের নিরপেক্ষ মাঠ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। গতকালও ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্স লাইব্রেরি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে; সেই উত্তেজনার পারদ ততই তুঙ্গে উঠছে। তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো সমতা থেকে অনেক দূরে। ‘বাংলাদেশ : নভেম্বর ২০১৮ আপডেট’ শিরোনামের ১৩ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টে নভেম্বর মাসের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তা হলে কী বর্তমান সিইসির বাংলায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ- ‘বগলে ইট, মুখে শেখ ফরিদ’ অবস্থা?
নির্বাচন নিয়ে উৎসব চলছে। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের একটি গ্রুপ প্রশাসনের তোপের মুখেই রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার বদলে গ্রেফতার, আদালত, কারাগার দৌড়ঝাঁপ নিয়েই তারা ব্যস্ত। আদালতে যাদের সাজা হয়েছে, তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু সাধারণ নেতারা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। ঢাকা-৭ আসনের ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকন এখন রিমান্ডে। মনোনয়ন দাখিল করে বাসায় ফেরার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। নরসিংদী-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খায়রুল কবির খোকন গায়েবি মামলায় জামিন নিতে আদালতে গিয়ে এখন কারাগারে। মাগুরা-১ আসনের মনোয়ার হোসেন, ঢাকা-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী নিপুণ রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনের আসলাম চৌধুরী, পাবনা-৫ আসনের শিমুল বিশ্বাস, রাজশাহী-৬ আসনের আবু সাঈদ চাঁদ, চাঁদপুর-১ আসনের এহছানুল হক মিলন কারগারে। তারা সবাই ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী। ভোলা-৪ আসনের প্রার্থী নুরুল ইসলাম খান মনোনয়ন জমা দিয়ে ঘরে ফেরার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা তার ওপর হামলা করে। এর বাইরে আরো কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী পুলিশি গ্রেফতারের ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। নির্বাচনী প্রচারণায় সবার সমান সুযোগ সৃষ্টির কোনো উদ্যোগ না নিয়েই সিইসি দাবি করছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়ে গেছে।

বিএনপির অনেক প্রার্থী গ্রেফতারের ভয়ে নিজেরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। অথচ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মনোনয়নপত্র জমাদানে পুলিশ সহায়তা করছে। গাইবান্ধার-৩ ও গাইবন্ধা-৫ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার ও অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নেতাকর্মীর ভ‚মিকায় দেখা গেছে দুই থানার ওসিকে। দুই ওসির ফটোসেশনে তোলপাড় চলছে সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা) এমপি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাঘাটা থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজার রহমান ও বোনারপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান। গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের ক্ষমতাসীন দলের এমপি ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেন পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসির হিপজুর আলম মুন্সীকে সাথে নিয়েই। সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জামালগঞ্জ থানার ওসি আবুল হোসেনকে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদের নিয়ে সচিত্র খবর প্রচার হওয়ায় মানুষ জানতে পারছেন। এদের বিরুদ্ধে ইসি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পর্দার আড়ালে আরো অনেক এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে, উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ইসির কর্মকান্ডে। পুলিশের কর্মকর্তাদের বদলির নামে মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার কৌশল নিয়েছে যেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে তিনজন সচিবসহ ৯২ জন ডিসি-এসপির বদলির তালিকা দেয়া হয়। ওইসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য তুলে ধরা হয়। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে বদলি করা হলেও অন্যরা এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে। বরং ‘পুলিশ যা করছে ইসির কথামতো করছে’ সিইসির এই বক্তব্যে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন।
জনগণের ট্যাক্সের অর্থে বেতনভুক্ত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার দায়ে অভিযুক্ত ডিসি-এসপিদের প্রত্যাহার না করে ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। বদলিকৃত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এএসপি হিসেবে বদলি করা হয়। পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মতিক্রমে তাদের বদলি করা হলো। ১২১ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলির খবর মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হলেও বিএনপির তালিকার কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এই ১২১ জন এএসপিকে বদলির জন্য কেউ কী আবেদন করেছিল? নাকি ৯২ ডিসি-এসপি বদলির দাবিকে আড়াল করে জনগণের চোখে ধুলা দিতে এএসপিদের বদলি করা হলো?
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে বার্তা দেয়া হয়, মনোনয়নপত্রে ছোটখাটো ভুল হলে সেগুলো না ধরে সংশোধন করে নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, তাদের সবার আবেদন গ্রহণ করতে হবে। অথচ রংপুর-৫ আসনের ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী গোলাম রব্বানী অভিযোগ করেছেন, নির্ধারিত সময়ে জমা দিলেও তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি। একই অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৯ থেকে ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাস। এসব কী ইসির নিরপেক্ষতা?
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে প্রার্থীরা প্রকাশ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গাড়িবহর ও মিছিল নিয়ে তার ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্য দিকে, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি-গ্রেফতার করছে পুলিশ। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ইসি নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের মূর্তির ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দিয়েছে। এখন তারা নিজেই যেন বোবা-অন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ এবং প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা সত্তে¡ও সংস্থাটি ভুয়া মামলা ও গ্রেফতার ঠেকাতে পারছে না। এর মধ্য দিয়ে শুধু যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতেই ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, কমিশন তার ক্ষমতারও অপব্যবহার করছে। নির্বাচন কমিশন এবার পক্ষপাতিত্বের বিচারে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিতে যাচ্ছে। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ইসির নিরপেক্ষ মাঠ গড়ার যে দায়িত্ব তারা সেটা করছে না। পুলিশি গ্রেফতার নিয়ে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হতে যাচ্ছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসির এখন নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত। ইসি কী করতে পারবে, আর কী করতে পারবে না তা আরপিওতেই রয়েছে। সেদিকে ইসির ভ্রæক্ষেপ আছে মনে হচ্ছে না। সবাই বলেছেন, ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

’৯০-এর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর এটাই প্রথম কোনো দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে একপক্ষ ক্ষমতায়, অন্যপক্ষ মাঠে। প্রশাসনযন্ত্র যার নিয়ন্ত্রণে, তিনি আবার মাঠের খেলোয়াড় (নির্বাচনে দুই প্রতিদ্ব›দ্বী) একপক্ষ। এ অবস্থায় রেফারি (নির্বাচন কমিশন) যদি নিরপেক্ষ না হয়ে ক্ষমতাসীন পক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তা হলে কী নিরপেক্ষ খেলা হবে? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেছেন, ‘বাবার কবর জিয়ারত করতে গেলেও পুলিশ আসে’। বিএনপির একজন প্রার্থীর এই বক্তব্যে সারাদেশের নির্বাচনী চিত্র ফুটে উঠেছে।
দেশি-বিদেশি সবাই চায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ অবস্থায় ইসির উচিত নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু ইসি যেন পুরনো কাজী রকিব উদ্দীনের দেখিয়ে দেয়া পথেই চলছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মাঠ সমতলের দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি, বাম দলগুলোর নেতাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দল ও শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত। আসন ভাগাভাগির পরও যদি নিরপেক্ষ মাঠ তৈরি না হয়, তা হলে তারা নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেবে। নির্বাচনী উৎসবের মধ্যে ইসি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি কী ইসির জন্য সম্মানজনক হবে? নাকি পক্ষপাতিত্বের দায়ে ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে? খেলায় কে জিতল কে হারল সেটা যেমন রেফারির দেখার বিষয় নয়; তেমিন নির্বাচনে কে বিজয়ী হলো কে পরাজিত হলো সেটা দেখা ইসির কাজ নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির উচিত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ঝুঁকি এড়াতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা।

https://www.dailyinqilab.com/article/169251