৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ২:৩২

আদালতপাড়ায় আহাজারি

হাতে খাবার, পানি। দীর্ঘ অপেক্ষা। কখন দেখা মিলবে প্রিয়মুখের। স্বজনকে দেখামাত্র চোখের পানি আটকাতে পারেননি অনেকেই। এ দৃশ্য গতকাল ঢাকার আদালতপাড়ার। মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের দিন ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গতকাল হাজির করা হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে। সকাল থেকে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের স্বজনরা ভিড় করেন আদালত পাড়ায়।

আটক হওয়া মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন তান্নুর স্বজন তপন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, মঙ্গলবার সমাবেশ চলার সময় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।

রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় আটক এক বিএনপি কর্মীর বোন আমিরুন বলেন, বোনের বিপদে ভাইয়ের পাশে থাকার কথা। অথচ আজ আমাকেই ভাইয়ের পাশে থাকতে হচ্ছে। আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে কারাগারে নেয়া হয়েছে। বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ দফায় দফায় আসামিদের আদালতে তোলা হয়। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় নানা স্লোগান দিতে থাকেন আদালতপাড়ায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেয়া হয় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা।

আটক নেতাকর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। রাজধানীর লালবাগ, কদমতলী, পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহবাগ থানার মামলায় আটক দেখিয়ে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করা হয়। পৃথক আদালতে শুনানি শেষে এসব নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লালবাগ, চকবাজার ও কদমতলী থানার আলাদা মামলায় মোট ২৮ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিএমএম আদালতের জিআর শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া, পল্টন ও মতিঝিল থানার নাশকতা ও শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে করা মামলায় অন্তত ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের গারদখানা থেকে এসব আসামিকে আদালতে নেয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের আত্মীয়-স্বজন।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=144170&cat=3