১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ৮:৩৪

হোয়াটসঅ্যাপে আবারো মিলল এসএসসির প্রশ্ন

 

এসএসসিতে ঢাকা বিভাগের গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডের দুইটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মিলেছে হোয়াটসঅ্যাপে, তা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথেও মিলেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বরিশাল ও ঢাকা বোর্ডের শারীরিক শিক্ষা এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের রাতেই মিলেছে এ মেসেজিং অ্যাপে যোগাযোগ মাধ্যমে। বিডিনিউজ।
বিডিনিউজ পরিচালিত ‘হ্যালো’র এক শিশু সাংবাদিক একাধিক ফেসবুক পাতা ও হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আগের রাতে দুইটি পরীক্ষারই প্রশ্ন পান। পর দিন মূল প্রশ্নের সাথে তা হুবহু মিলে যায়।
বিষয়টি আন্তঃবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমারকে জানানো হলে তিনি বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ বলেন, ‘আমাদের কাছে আর কোনো প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য নেই। আমরা এমন কিছু পাইনি এর মধ্যে।’
গত রোববার অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের গণিতের প্রশ্নপত্র এভাবে আগের রাতেই পরীক্ষার্থী সেজে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের মাধ্যমে পেয়েছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিবেদক।
তখন তপন কুমার স্বীকার করেছিলেন যে, রোববার পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ফাঁস হওয়া একটি প্রশ্নপত্রের সাথে পরীক্ষার প্রশ্ন মিলেছে। এরপর তদন্তের কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ওই তদন্তের বিষয়ে তপন কুমার বলেন, ‘আমাদের তদন্ত চলছে।’
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের মোবাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার কল করা হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক পরিচয় দেয়া হলে তিনি ‘একটি অনুষ্ঠানে আছেন’ জানিয়ে বলেন, ‘এখন কথা বলতে পারছি না।’
শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডিনিউজে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবেদন প্রকাশ হলে শিামন্ত্রী নাহিদ বলেছিলেন, ‘সত্যি সত্যি কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে খবর পেলে তা যদি পরীক্ষার আগে প্রমাণিত হয় তবে আমরা পরীক্ষা বন্ধ করে দেবো। পরীক্ষার পরেও প্রমাণ পেলে আমরা সেই পরীক্ষা রাখব না।’
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হলেও পরে মন্ত্রীর কথায় পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে অনাগ্রহের প্রকাশ ঘটে।
এবার যেভাবে প্রশ্ন মিলল
‘আউট প্রশ্নের বাজার’ নামে একটি ফেসবুক পাতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ঘোষণা আসে প্রশ্ন ফাঁসের।
‘শারীরিক শিা প্রশ্ন+MCQ
ঢাকা বোর্ড-২০১৭
১০০% কমন পড়বে’
এই শিরোনামে ‘খ’ সেট ও ‘ঘ’ সেট শারীরিক শিক্ষা এমসিকিউ প্রশ্নপত্র ইমেজ আকারে পোস্ট করা হয়। একই পাতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে অর্থাৎ পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১১ মিনিট আগে উত্তর দাগানোসহ ‘ঘ’ সেটের আরেকটি ফেইসবুক পাতা ‘Ssc out Question Bank 2017’ এ ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৩৪ মিনিটে ‘শারীরিক শিার প্রশ্ন’ শিরোনামে প্রশ্ন ইমেজ আকারে দেয়া হয়। এ ইমেজে প্রশ্নের সেট কোনোটি তা বোঝা যায়নি।
১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বরিশাল বোর্ড ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সাথে উল্লিøখিত দুইটি পাতায় দেয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে যায়।
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/196620