৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:০২

ড্রেজিং ব্যয় কিলোমিটারে এক বছরে ৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি: প্রতি কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ খরচ ৪০ কোটি টাকা

বছর ব্যবধানে নদী ড্রেজিং কার্যক্রমের খরচ বাড়ছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নপুষ্ট নদীপথ সংস্কার প্রকল্পে প্রতি কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের ব্যয়ের চেয়ে গাইবান্ধা এলাকার যমুনা নদীর ড্রেজিং খরচ কিলোমিটারপ্রতি ছয় কোটি টাকা বেশি। অন্য দিকে প্রতি কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এই বৃদ্ধির হার মাত্রাতিরিক্ত বলে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার বাগুড়িয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট, রতনপুর, সিংড়িয়া, কাতলামারী ও গণকবর এলাকার দুই হাজার হেক্টর আবাদি জমি, রাস্তা, হাটবাজার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বসতভিটাসহ প্রায় এক হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের গণকবর যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প আজ মঙ্গলবার অনুমোদনের জন্য একনেকে পেশ করা হচ্ছে। ২০০৯-২০১০ সালে রতনপুর-সিংড়িয়া-কাতলামারী এলাকায় বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা ২০১২-১৩ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাঁধ রক্ষা ও নদীর ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এখানে প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলোÑ নদীর তীর সংরক্ষণ, এন্ড টার্মিনেশন নির্মাণ, নদী ড্রেজিং ও বাঁধ পুনর্নির্মাণ।
প্রকল্প প্রস্তাবনার তথ্যানুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৪ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যেখানে গড়ে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় হবে ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকা। আর নদী ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখানে প্রতি কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে ব্যয় হবে ১০ কোটি চার লাখ ৪৪ হাজার টাকা, যেখানে চলমান বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ নদীপথ খনন ও টার্মিনাল এবং যাত্রী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি লাখ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে খরচ হবে চার কোটি টাকা। আর ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পে প্রতি কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে ব্যয় হচ্ছে দুই কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/193855