১৯ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৪

মৌলভীবাজারে ভয়াবহ বন্যা, নিহত ৭

আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। হঠাৎ উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ১৩ই জুন সকাল থেকে আকস্মিক বন্যায় জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর তীরবর্তী প্রায় ৪০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় চার শতাধিক গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। পানির তোড়ে বিভিন্ন এলাকার ৭ জন মানুষ ভেসে মারা গেছে। হঠাৎ নদীর বাঁধভাঙ্গা পানির তোড়ে মানুষের বসত ভিটার সঙ্গে আশ্রয় হারায় হাঁস, মুরগি, গরু, মহিষসহ গৃহপালিত পশুও। মানুষের সঙ্গে খাবার সংকটে ভুগছে গবাদি পশুগুলোও।
ডুবে যায় প্রায় তিন শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামার। মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে মৌলভীবাজার পৌর শহরের ৩টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। এমন আকস্মিক বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরের বন্যাকবলিত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও অফিস পাড়ার লোকজনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। গেল তিন দিন থেকে জেলা ও উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। চলাচলের সড়কগুলোতে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় এই দুর্ভোগ। এবছরই নদী শাসনের বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার কাজ হয়েছে। কিন্তু একাজ নিয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই। তাদের অভিযোগ যথাযথ নিয়মে হয়নি একাজ। তাই ওই নতুন বাঁধ এলাকায়ই ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নদী খনন ও শুষ্ক মৌসুমে পরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজ না করাসহ ওয়াপদা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির জন্য তাদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগ বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বছরে বছরে ভেঙে যাওয়া নদীতীর রক্ষা বাঁধগুলোর সংস্কার করা কিংবা স্থায়ীভাবে বাঁধের কাজ না করায় তাদের এই চরম খেসারত। তবে স্থানীয় ওয়াপদা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের উপর আনীত এমন ঢালাও অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন সাধ্যানুযায়ী দুর্ভোগ লাঘবে তারা যথেষ্ট আন্তরিক। এ বছর উজান থেকে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি পানি আসায় তা উপচে পড়ে বাঁধ ভেঙেছে। গতকাল সরজমিনে কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়ন এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ ভাঙায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম করিমপুর, বাদে করিমপুর, সোনান্দপুরসহ কয়েকটি গ্রামে গেলে দেখা মেলে মানুষের চরম দুর্ভোগের দৃশ্য। বাদে করিমপুর গ্রামের আবাস মিয়া (৫০), মায়া বেগম (৬৫), হারুন মিয়া (৪৮), মইডাইল গ্রামের রেহমান মিয়া (৪৫), হাসান মিয়া (৪৬)সহ অনেকেই জানান হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে বানের পানি প্রবেশ করে তাদের কৃষি ক্ষেত ও ঘরবাড়ি তলিয়ে দিয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, বাঁধ মেরামত বা সংস্কারের কোনো আন্তরিকতা নেই সংশ্লিষ্টদের। ক্ষতিগ্রস্থ ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই নিজের বাড়ি ও সবজি ক্ষেত ডুবিয়ে যাওয়া দেখিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই এলাকার বাসিন্দা ইমান উল্লাহ (৭০) বলেন বছর বছর বাঁধ ভাঙায় আমরা চরম অসহায়। তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় ১৫/২০ বার বাঁধ ভাঙলো কিন্তু তার কোন স্থায়ী সমাধান নেই। তার সঙ্গে ঐক্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী জানালেন এবছর কিছু অংশ নতুন বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু বাঁধের আশপাশ থেকে মাটি দেয়া হয়েছে বাঁধে। তা ছাড়া নির্মিত বাঁধটি যদি আরো উঁচু হতো তাহলে আজ আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন ওরা বার বার বাঁধ দেয় আর বার বার ভাঙে তা হলে কি বাঁধ দেয়। মুন্সিবাজর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মোত্তালিব বলেন আগে বিষয়টি আমরা তদারকি করতাম। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব পেয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা খরচ করলে এই বিরাট ক্ষতি হতো না। আমার ইউনিয়নবাসী আর বন্যা দুর্গত হয়ে ত্রাণ নিতে চায় না স্থায়ী সমাধান চায়। তাদের মতো ক্ষোভের সঙ্গে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজিপুর, টিলাগাঁওসহ বেশ কয়েটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। শরীফপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জুল হোসেন চিনু, সদস্য মো. মখদ্দিছ আলী, সঞ্জবপুরের আব্দুর রশিদসহ অনেকেই জানান অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এবারকার ভয়াবহ বন্যা। তারা অভিযোগ করে বলেন নদী খনন, সময়মতো বেড়িবাঁধ মেরামত ও নির্মাণ না করায় এই আকস্মিক বন্যা। তারা বলেন ঈদের ৩-৪ দিন আগেই বন্যায় ঘরবাড়ির সঙ্গে মসজিদ, কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ ডুবিয়ে দেয়। শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী জানান আকস্মিক বন্যায় তার ইউনিয়নের সবক’টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। তিনি বন্যাদুর্গতদের জন্য সকলের সাহায্য সহযোগিতা চান। গেল কয়েক দিন থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল জেলার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, নদীর বাঁধ রক্ষায় মেরামত ও বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। এতে অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন দুর্ভোগগ্রস্ত মানুষ। জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে ৭ জন মারা গেছেন। জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় আকস্মিক বন্যায় এ পর্যন্ত জেলার ৪টি উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৩০টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গতদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯.৭ শ’ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নগদ ১০ লাখ টাকা বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরো ৫শ টন চাল ও নগদ টাকা ত্রাণ সহায়তার জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খোলা হয়েছে ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র। ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা করে তাদেরকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। জানা যায় ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত ৩০-৩৫টি স্থান ভাঙন ও এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মনু ও ধলাই নদীর বাঁধ উপচে পানি এসে বাঁধ ভেঙেছে। নদীতে পানির গতি অত্যাধিক। তবে গতকাল সোমবার সকাল থেকে পানি কিছুটা স্থিতিশীল বা কোথাও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। উজানের পানি কম আসলে বাঁধ ভাঙার ঝুঁকিও কমে যাবে।

রাজনগরের ৮৫টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার উন্নতি হলেও সবখানেই রয়ে গেছে ধ্বংসের চিহ্ন। ১৯৮৮ সালের পর এমন বন্যা কেউ দেখেনি বলেই মত বয়স্ক মানুষদের। ঈদের দুইদিন আগে (বুধবার) থেকে মনু নদীর পানি বাড়তে থাকলেও কোথাও বাঁধ ভাঙার ভয় ছিল না। আকস্মিক উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মনুনদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কয়েটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ৪২টি গ্রাম ও মনসুরনগর ইউনিয়নের ৩৩টি গ্রাম পুরোপুরি এবং টেংরা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ ৮৫টি গ্রাম তলিয়ে যায়। এতে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে রাজনগরে ৫০ সদেস্যের সেনাবাহিনীর একটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। উদ্ধার তৎপরতা ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ১৫টিরও বেশিও ফ্লাডসেন্টার খুলা হয়েছে। এদিকে রাজনগরে নগদ ২ লাখ বিশ হাজার টাকা ও ১৬৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মনসুরনগর ইউনিয়নে নগদ ৯০ হাজার টাকা ও ৭০ টন চাল এবং কামারচাক ইউনিয়নে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৮৫ টন চাল ও টেংরা ইউনিয়নে ২০ হাজার টাকা ও ১০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকালে মনসুরনগর ইউনিয়নের কদমহাটা এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বন্যাপরিস্থিতি পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি পর্যাপ্ত ত্রাণ ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে বলে বন্যাকবলিত মানুষদের আশ্বস্ত করেন।

এছাড়াও ঈদের দিন থেকে মৌলভীবাজারের সঙ্গে এই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সোমবার বিকালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সহায়তায় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ফলে হাল্কা যান চলাচল শুরু হয়েছে।

কদমহাটা, মালিকোনা, আশ্রাকাপনসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে কদমহাটা, শ্বাসমহল, প্রেমনগর আশ্রাকাপন, মহলাল, দক্ষিণ মহলাল, মালিকোনা, চাটুরা, বনমালী পঞ্চেশ্বর, সরখরনগর, খাসপ্রেমনগর, বরকাপনসহ ওই ইউনিয়নের সবক’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

কামারচাক ইউনিয়নে মশাজান, কামারচাক, ভোলানগর, দস্তিদারের চক, ইসলামপুর, জালালপুর, তেঘরি, করাইয়া, মৌলভীরচক, আদমপুর, মেলাগড়, শান্তকুল, পঞ্চানন্দপুর, একাসন্তোষ, হাটিকরাইয়া, তেঘরি, চাটিকোনাগাঁও, মুর্তিকোনাসহ ওই ইউনিয়নের পুরো ৪২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

এদিকে ছোট ছোট ক্যানেলগুলো দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় রাজনগর সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ খারপাড়া এলাকার মুজিবনগর গুচ্চগ্রাম তলিয়ে গেছে।

কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, পোর্টিয়াস মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মহলাল উচ্চ বিদ্যালয়, কামারচাক বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রসহ ১৫টিরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

ধান-চাল, গবাধিপশু নিয়ে মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। নিজেরা আশ্রয় পেলেও গবাধিপশুর থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। এছাড়া চুরি হওয়ার ভয়ে অনেকে গবাদিপশু রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

এদিকে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন শনিবার টেংরা ইউনিয়নের সৈয়দনগর গ্রাম থেকে মৃত ইসমাইল উল্লার অসুস্থ স্ত্রী কর্পুল বিবিকে (৮০) স্পিড বোটে করে পানিবন্দি অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৩ জুন বুধবার উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের হাটিকরাইয়া গ্রামের মো. মিছবা মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১০) নিখোঁজ ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় একটি বাড়ির পাশে।

আশ্রাকাপন এলাকার কাপ্তান মিয়া (৬০) মৌলভীবাজার কুলাউড়া সড়কে ধান শুকাচ্ছিলেন। এ সময় তার ছবি তুলতে গেলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘৩০-৩২ মণ ধান ছিল। সব পানিতে ভিজে গেছে।’ এ সময় পাশ থেকে তার স্ত্রী বলেন, ‘এখন ছবি তুলিয়া কিতা অইতো। আমরা পানি আছলাম, কেই দেখাত আইলানা, এখন আইয়া কিতা খরতা’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, পানি কমার কারণে মানুষজন বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরছে। আমরা যে ত্রাণ পেয়েছি তা সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বণ্টনই এখন মূল কাজ। এজন্য আমার টেগ অফিসারদের বলে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=121938