র্যাব ও পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গতকাল ও ৮ জেলায় ১০ জন কথিত মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। মাদকবিরোধী এ অভিযানকালে শতাধিক মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতা গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযানকালে র্যাব ও পুলিশের বেশ কিছু সদস্যও আহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোবারক হোসেন কুট্টি (৪৫) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলা ১৯ নং বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোবারক হোসেন কুট্টি (৪৫) সদর উপজেলার ছিট চিলারং গ্রামের মৃত শফির উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মাদকের প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল, বন্দুকের কার্টিজ ও বেশ কিছু দেশীও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে র্যাব ও পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরো দু’জন মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোর রাতে একই সময়ে দু’টি পৃথক অভিযানে বীরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় তারা নিহত হয়। নিহতরা হলোÑ সাবদারুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুর জেলায় চার মাদক কারবারি নিহত হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, চার রাউন্ড তাজা গুলি, এক রাউন্ড গুলির খোসা, প্রায় দুই কেজি গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানের সময় দুই র্যাব সদস্য আহত হন।
এ দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের রামসাগর এলাকায় দুইদল মাদক কারবারির মধ্যে গুলিবিনিময়ে আব্দুস সালাম (৪৭) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোর রাতে রামসাগর পশ্চিম দেয়াল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সালাম ওই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ফেনসিডিল, চারটি হাতবোমা, একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানা ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবুল (৪০) এবং আলমাস (৩৬) নামে দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাত দেড়টায় জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৬টি মাদকের মামলা রয়েছে এবং আলমাস একই উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আটটি মাদকের মামলা রয়েছে।
রাত সোয়া ২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির।
কুমিল্লায় ৫ দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আটজন নিহত
মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চলাকালে গত পাঁচ দিনে কুমিল্লায় আটজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
পাবনা সংবাদদাতা জানান, পাবনা সদর থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুর রহমান নামে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি নিহত আব্দুর রহমান চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশী শাটারগান, তিন রাউন্ড গুলি, চার রাউন্ড গুলির খোসা ও ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। আব্দুর রহমান সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর এলাকার মৃত আছের উদ্দিন শেখের ছেলে।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে গতকাল শনিবার ভোরে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইব্রাহিম হোসেন (৩৭) নামে এক মাদককারবারি নিহত হয়েছে। তিনি নাওডোর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ওরফে ইনসাফের ছেলে। পুলিশ এ সময় পাঁচ কেজি গাঁজা, দেশীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বলে জানায়। এ ঘটনায় এএসআই নাদের ও আইয়ুব নামে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান অভিযানকালে সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আনোয়ারুল হক প্রামাণিক জানান, ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইব্রাহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কচুয়া থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বাবলু (৪০) নিহত হয়েছে। নিহত বাবলু গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমানগর বাজারসংলগ্ন বলরা গ্রামের সুলতান ভাণ্ডারীর ছেলে।
কচুয়া থানার ওসি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, বাবলুর বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করে।
বাবলুর বাবা সুলতান ভাণ্ডারী জানান, পুলিশ রাত ১০টার পর তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকালে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থলে ঘাসের ওপর বাবলুর রক্ত ও মাটিতে বুলেটের ছিদ্রের দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ভিড় জমান।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান, আঠারবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খন্দকার আল মামুন ও এএসআই মাজহারুল আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলির খোসা, একটি রামদা, একটি কিরিচ ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওসি আরো জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বরগুনা সংবাদদাতা জানান, বরগুনায় ছগির খান নামে এক মাদক বিক্রেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক নামক এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোর ৫টায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় তারা থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে লাশটি খুঁজে পান। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত ছগির খান বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকার বাসিন্দা।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুজ জামান বলেন, মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
তিন ভাইয়ের মাদক ব্যবসা : বরগুনার আমতলী পৌর শহরের পোস্ট অফিস সড়কের একই পরিবারে তিন সহোদর মাদক কারবারি। গত ১৫ বছর ধরে তারা মাদক কারবারি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ২০টি মামলা রয়েছে। তারা বহুবার হাজতবাস করেছে।
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাদক বিক্রেতা কালু শেখ (৪২) ও মামুন খানকে (২১) ৫৭ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মোস্তফার বাড়ির পাশ থেকে ৫২ পিস ইয়াবাসহ কালুকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে পুলিশের অপর একটি দল পৌর কবরস্থানের পাশ থেকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ মামুন খানকে গ্রেফতার করে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গ্রেফতারকৃত কালুর বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় ১৩টি মাদক মামলা রয়েছে। সে আলিঠাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম শেখের ছেলে ও মামুন তারাশী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় গত শুক্রবার রাতে ১১ জন মাদকব্যবসায়ী ও নেশাখোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা, ১৩২ পিস ইয়াবা, মদ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের গতকাল নোয়াখালীর কোর্টে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ কমপক্ষে ১৫টি মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৬ মে রাত ২টার দিকে আসাদগঞ্জ আনসার ক্লাবের মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সালাহ উদ্দিন প্রকাশ দুলাল (৩৬) কোতোয়ালি থানার খাতুনগঞ্জ রামজয় মহাজন লেইনের মৃত মফজ্জল আহম্মদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১৫টির বেশি মামলা আছে।
ভোলা সংবাদদাতা জানায়, ভোলার মনপুরায় নিজ বাড়িতে ইয়াবা সেবনের সময় বর্তমান ইউপি মেম্বারসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আটককৃতদের কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা ও ২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডে মেম্বারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মো: কবির ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর আলম। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাঁজা, হিরোইন ও ইয়াবাসহ ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তন্মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই বিভিন্ন মামলার আসামি।
সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনার সাঁথিয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৭ পিস ইয়াবা, ৩.৫০ গ্রাম হেরোইনসহ পাঁচ মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার টাংবাড়ি গ্রামের ফজলাল শেখের ছেলে বাপ্পী শেখ (২১), মরিচ পুরান গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে জাকিরুল, আমোষ গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ঠান্টু (২৭), টাংবাড়ি গ্রামের মোজাহারের ছেলে মিরাজ মণ্ডল (২৪), হাটবাড়িয়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে হুমাইন কবির (২৫), একই গ্রামের মৃত সিদ্দিক খন্দকারের ছেলে নূরু খন্দকার (২৮)।
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ জন মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ থানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ইয়াবা, মদ, গাঁজাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সারা দেশের মতো হবিগঞ্জেও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৯টি মামলা করা হয়েছে। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, শরণখোলায় শুক্রবার রাতে ৫০ পিস ইয়াবাসহ তিনজন মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজৈর গ্রামের ইউসুফ তালুকদারের ছেলে মুসা তালুকদার (২০), জামাল মুন্সীর ছেলে নাজমুল মুন্সী (১৯) ও শরণখোলা থানার সামনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমাম হোসেন মিলন (২০)। এর মধ্যে মুসা রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের ও ধৃতদের বাগেরহাট আদালতে চালান করা হয়েছে।
দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ইয়াবাসহ তিন মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেÑ ধুবড়িয়া গ্রামের মো: মহিউদ্দিনের ছেলে মো: লিটন মিয়া (২৮), মাইঝাইল গ্রামের মো: আব্দুর রহিম শিকদারের ছেলে মো: আশরাফ (২৫), সলিমাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের মো: দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো: ইবনে ফাহাদ ওরফে দীপ্ত (২০)। শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে কোর্টের মাধ্যমে শনিবার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২২টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।