২৭ মে ২০১৮, রবিবার, ১১:২২

‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদক সমস্যার একমাত্র সমাধান নয়

ড. মাহবুব উল্লাহ্

বাংলাদেশোত্তরকালে আমাদের সমাজে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে মাদকাসক্তি। সময়ের বিবর্তনে মাদকের রকমফের হয়েছে। কখনও ফেনসিডিল, কখনও হেরোইন এবং সবশেষে ভয়াবহ রূপে দেখা দিয়েছে ইয়াবার বিস্তার। ফেনসিডিল আসত ভারত থেকে। শোনা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় অংশে অনেক ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে উঠেছিল। ফেনসিডিল এ দেশে বাজারজাত হয় কফ-কাশির ওষুধ হিসেবে। এ ওষুধে সামান্য মাত্রায় এমন একটি উপাদান ছিল, যা ঘুম ঘুমভাবের উদ্রেক করে। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গেল একই ওষুধে নেশার ভাব সৃষ্টি করার উপাদানটি মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়িয়ে দিয়ে তৈরি করা হয় নতুন ধরনের ফেনসিডিল, যা ব্যবহৃত হতে শুরু করল মূলত মাদক হিসেবে। সর্বত্র এ ফেনসিডিলের বিস্তার ঘটল। এর প্রধান ভোক্তা হয়ে উঠল এ দেশের কিশোর ও তরুণরা। ফেনসিডিলের মাদকীয় উপাদান এমন এক অবস্থার সৃষ্টি করল, যার ফলে এ ধরনের ফেনসিডিলসেবীরা ফেনসিডিলহীন জীবন কল্পনা করতে পারত না। নেশাজাতীয় দ্রব্যের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিকটি হল আসক্তি সৃষ্টি। আসক্ত ভোক্তাদের কাছে ফেনসিডিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয়ের তুলনায় ফেনসিডিল নির্ভরশীলতা। ফেনসিডিলের ক্ষতিকর প্রভাব সবারই জানা আছে। এমনকি যারা আসক্ত হয়ে পড়েছিল তারাও জানত। তদসত্ত্বেও নেশাগ্রস্ততা এমন এক মনোদৈহিক অবস্থা, যা নিরন্তর এর ওপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে তোলে।

মাদকদ্রব্য মানবস্বাস্থ্যের জন্যও বড় রকমের ঝুঁকি তৈরি করে। যারা মাদক গ্রহণ করে, তাদের জীবনাচরণেও বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। তারা কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলে। তাদের জীবনী শক্তি লোপ পেতে শুরু করে। তারা যদি শিক্ষার্থী হয়, তাহলে পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মাদক কেনার অর্থ জোগাড় করতে না পারলে তারা অনেকে ছিনতাইকারীতে পরিণত হয়। রাজপথে নিরাপদ চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের জন্য হয়ে ওঠে বিপদ সংকুল। মাদকাসক্তরা সমাজের জন্য বিপুল বোঝা হিসেবে দেখা দেয়। মাদক থেকে নিরাময়ও সহজসাধ্য নয় এবং ব্যয়বহুলও বটে। দেশে মাদকাসক্তি থেকে নিরাময়ের চিকিৎসা সুবিধাও খুবই অপ্রতুল। নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মাদকসেবী সদস্যকে চিকিৎসাবঞ্চিত থেকে শেষ পর্যন্ত অল্প বয়সেই মৃত্যুবরণ করতে হয়।

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার ফলে ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ফেনসিডিল কারখানাগুলো কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে গণমাধ্যম থেকে জানা যায়। বর্তমানে ফেনসিডিল সম্পর্কে খুব বেশি আলাপ-আলোচনা হতে শোনা যায় না। এর কারণ কি এই যে ফেনসিডিলের সরবরাহ কমে গেছে? অথবা ফেনসিডিলের চেয়েও অনেক বেশি নেশার আবেশ সৃষ্টিকারী বিকল্প নেশাদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে? এ বিকল্প নেশাদ্রব্যটি আসছে বাংলাদেশের অপর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে। অনেকে মনে করেন, মিয়ানমারে ইয়াবা নামক নেশার ক্ষুদ্র বটিকা তৈরি হয় মিয়ানমার রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়। অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইয়াবার তিন হাজার কোটি টাকা মূল্যের এক বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। ধারণা করা হয়, ইয়াবার যে চালান বাংলাদেশে আসে, তার ক্রয়মূল্য পনেরোশ’ কোটি টাকা। বাকি পনেরোশ’ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা গডফাদার থেকে শুরু করে নিুতম পর্যায়ের বাহকদের মধ্যে। যারা নিুতম পর্যায়ের কেরিয়ার বা বাহকের কাজ করে, তারা মূলত দরিদ্র ও বেকারত্বের কারণেই করে। ইয়াবার খুচরা মূল্য আকাশচুম্বী! অনেক চড়া দামে এ ক্ষুদ্র বটিকাটি কিনে আসক্তরা তাদের আসক্তির চাহিদা মেটায়। দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম, তার চেয়েও শতসহস গুণ ইয়াবা বটিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগোচরেই দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ধারণা করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশও এই নেশাদ্রব্যের অবৈধ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তা না হলে এর বিস্তার এতটা প্রবল হতে পারত না। আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাও আসক্ত।

অপরাধ দমনের অর্থনীতি বলছে, অপরাধ দমন একটি ব্যয়মুক্ত প্রয়াস হতে পারে না। অপরাধ সেই মাত্রাতেই দমিত হয়, যতটুকু এ দমন কাজে বিনিয়োগ করা হয়। অনেকেই বলবেন, অপরাধ দমনের জন্যই সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি দিয়ে থাকে। তাদের নিয়োগ করা হয় অপরাধ দমনের জন্যই। এটাই তাদের কর্তব্য। কিন্তু কেন তারা কর্তব্য কাজ থেকে বিচ্যুত হয়ে অপরাধীদের প্রশ্রয় ও সহযোগিতা দেয়? এ ক্ষেত্রেই ওঠে Moral Hayard-এর প্রশ্ন। দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে লেনদেনের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নৈতিক বিপর্যয় বা Moral Hayard-এর ঘটনা ঘটে। পণ্যে ভেজাল দেয়া, ওজনে কারচুপি করাসহ আরও অনেক ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দেয়। এসব ঘটতে পারে মূলত ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে তথ্যগত অসাম্যের ফলে। উৎপাদনকারী ও বিক্রেতারা যত রকমের তথ্যের অধিকারী হয়, ক্রেতারা প্রায়ই সেই পরিমাণ তত্ত্বের অধিকারী হয় না। অপরাধ বা বেআইনি কাজকে প্রশ্রয় দিয়ে আইন প্রয়োগকারীরা অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা হাতিয়ে নেয়। এ রকম সুবিধা হাতিয়ে নেয়াকে বলা হয় Opportunistic Behaviour বা সুবিধাবাদী আচরণ। এ রকম আচরণ তখনই সম্ভব হয়, যখন এরূপ আচরণের জন্য দণ্ডপ্রাপ্তির সম্ভাবনা (Probability) ও এর ব্যয়, এ থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনার তুলনায় অনেক কম হয়। এ কারণেই অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনের প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায়। আমরা অপরাধ দমনে বিনিয়োগের প্রশ্নটিও তুলেছি। বিস্তৃত সীমান্তের সব ছিদ্র বন্ধ করার জন্যও বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে সব সময় এত বিশাল পরিমাণ ব্যয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ কারণেই মাদকের চালান দেশে প্রবেশ করতে পারে। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবাই যদি সৎ হয়, তাহলে সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পাওয়ার কথা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়াও একটি অতি ব্যয় সাপেক্ষ বিষয়। এটাও অপরাধ দমনকে ব্যাহত করে। সৎ মানুষরা শত প্রলোভনের মধ্যেও কী করে সৎ থাকেন, সেটাও এক বড় প্রশ্ন। মানুষ সৎ থাকতে পারে পরলোকে পুরস্কার পাওয়ার আশায়। অথবা ইহলোকে আত্মতৃপ্তির জন্য। যারা সৎ তাদের কাছে অবৈধ অর্থ অর্জনের তুলনায় সৎ থাকার তৃপ্তির মূল্য অনেক বেশি। এমন মানুষরাই নৈতিকতার দিক থেকে ঈর্ষণীয় উচ্চতায় অবস্থান করে। একটি সমাজকে বিচ্যুতিমুক্ত রাখার পথ যে কত কঠিন, তা এই আলোচনা থেকে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হবে বলে আশা করা যায়।

অর্থনীতি নিছক অর্থনীতির পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ থাকে না। রাজনীতির সঙ্গেও এর নিত্য সংশ্লেষ থাকে। অপরাধ জগতে গডফাদারদের উদ্ভব ও টিকে থাকা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ে। একদিকে যেমন গডফাদাররা রাজনীতিকে ছাতা হিসেবে ব্যবহার করে, অন্যদিকে রাজনীতিবিদরাও এদের রাজনৈতিক খরচের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। এ দুই পক্ষের মধ্যে এক ধরনের Symbiotic Relation গড়ে ওঠে। এ কারণেই গডফাদাররা টিকে থাকে। অন্যদিকে গডফাদাররা রাজনীতিতে অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক ধরনের Patron-Client বা পোষক ও পোষ্যের সম্পর্ক গড়ে তোলে। অবৈধ ব্যবসার লাভের একটি অংশ তারা অভাবী মানুষদের মধ্যে নানা আকারে বিতরণ করে জনভিত্তি তৈরি করে। এভাবে গডফাদার প্রভাবিত এলাকাগুলো সুবিধা বিতরণের জালে আবদ্ধ হয়ে যায়। কক্সবাজারের যে জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার হওয়ার অভিযোগ শোনা যায়, তিনি নাকি নিজের জন্য এভাবেই একটি অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। এজন্যই তিনি হয়তো এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। এ জন্যই সাংবাদিকরা তার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংসদ বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি। বদিসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে আপনাদের কাছেও কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিন। বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তথ্য প্রমাণ নেই।’ (প্রথম আলো, ২৩ মে ২০১৮)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, সাংসদ, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যা ব, সাংবাদিক- যারাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের ছাড় নয়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা বলেছেন তাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র মাধ্যমে মাদক ব্যবসাকে নির্মূল করা হবে, তা খোলাসা করা হয়নি। তবে এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত আট দিনে ৩৪ মাদক ব্যবসায়ী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ২৩ তারিখে আরও ৮ জন নিহত হয়েছে বলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ থেকে জানা গেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ভাষ্য দেয়, তা একই গল্পের পুনরাবৃত্তি মাত্র। মাদক ব্যবসায়ীদের দমন করতে হবে এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। বিষয়টি নিয়ে একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যও রয়েছে। তবে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এর সমাধান কিনা, তার ব্যাপারে প্রবল দ্বিমতও রয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, “আমরা তো যুদ্ধের মধ্যে নেই। একটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে বাস করছি। প্রতিদিন ৫-৬ জন করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেলে উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা।” সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ উপদেষ্টা প্রশ্ন রাখেন, কেন এভাবে মাদক-সন্ত্রাস দমন করতে হচ্ছে? আর কোনো উপায় কি নেই? (প্রথম আলো, ২২ মে ২০১৮)। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মানবাধিকারের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে নজর রাখতে হবে নিরাপরাধ কোনো মানুষ যেন এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বোঝা যাচ্ছে, বর্তমানে চলমান মাদক অপরাধ দমন অভিযান কতটুকু মানবাধিকারের অনুবর্তী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ রকম অভিযান বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু এ জন্য সংসদে দায়মুক্তি আইন পাস করতে হয়েছিল। এর পর র্যা ব গঠিত হল। র্যা বও একই ধরনের অভিযান সেই সময় চালিয়েছিল। এর ফলে সাময়িক সুবিধাও অর্জিত হয়েছিল। জনগণের মধ্যেও এর প্রতি সমর্থন দেখা গেছে। কিন্তু এ পথে কি সমস্যার সমাধান হয়েছে? কিছু দিনের মধ্যেই সমস্যা আবারও প্রকটাকার ধারণ করেছে। এখন সমস্যা ইয়াবা বিস্তারের। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে পুরনো পথে সমস্যার সমাধান হবে কিনা? সমস্যার সমাধানে মানবাধিকার পরিপন্থী প্রক্রিয়া এড়িয়ে একটি সভ্য সমাজের রীতি-নীতির পথেই হাঁটতে হবে। মানবাধিকারের ধারণায় বর্তমানে মানুষের জীবনের মূল্যের প্রশ্নটি খুবই সামনে এসে গেছে। এটি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। মাদকের অভিশাপ থেকে বাংলাদেশের সমাজকে মুক্ত করতে হলে গণসচেতনতা, শিক্ষা, যুগোপযোগী আইন এবং যথাসময় বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করণের কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। যতই দাবি করা হোক ৪-৫টি এজেন্সির তথ্য যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেটি যে নিছক সাময়িক সুবিধাবাদ মাত্র, তা হয়তো আমরা বছরখানেকের মধ্যেই দেখতে পাব। মাদকের উৎস রোধের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও প্রয়োজন হবে। তবে এটাও সত্য সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মাদক ব্যবসা থেকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও হুমকি সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের কাছে সেটাও কাম্য নয়।
ড. মাহবুব উল্লাহ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ

 

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/53044