৪ মে ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৫

রোজার আগেই দাম বাড়ল আলু পেঁয়াজ রসুনের

আর দু'সপ্তাহ পরে শুরু হবে রমজান। এর আগেই বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে আলুর দামও। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ ধরে টানা বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে কমে এসেছে মসুর ডালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে এসব পণ্যের দরে বড় পরিবর্তন হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। একই সময়ের ব্যবধানে আমদানি করা চীনা রসুন কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুনের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখন প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশনের গতকালের তথ্যে এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারণে বাজারে বেশি দাম দিয়ে এখন ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। এ পণ্য দুটোর দাম পাইকার ও আমদানিকারকদের ওপর নির্ভর করছে। তারা দাম বাড়ানোয় বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে এ মসলা পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে তা খুবই সামান্য। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে পাঁচ টাকা বেড়ে গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হয়। চীনা রসুনের দাম কিছুটা বেশি বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাজেদ সমকালকে বলেন, ভারতের বাজারে আট থেকে নয় টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়সহ আমদানি খরচ যোগ করে প্রায় ২০ টাকা খরচ পড়ছে। তবে দেশি পেঁয়াজ তোলার মৌসুম শেষ হয়েছে। এ কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ছে। তবে খুচরায় অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আহসান আলী জানান, কৃষকের ঘরে থাকা পেঁয়াজ বিক্রি শেষ পর্যায়ে। এখন সংরক্ষণ করা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এ কারণে দাম বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া রমজানের আগে বাজারে চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা দামে প্রভাব ফেলেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি প্রায় আগের সপ্তাহের দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহে আবারও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গতকাল প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে গরুর মাংস ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে আরও পাঁচ টাকা কমেছে। এখন প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমদানি করা মাঝারি মসুর ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও দেশি মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা-ময়দাসহ অন্যান্য পণ্য প্রায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

http://samakal.com/economics/article/1805147