১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার, ১০:২০

নিন্দুকেরাই তো জিতে গেল

|| সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা || নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ক দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর সাবেক আমলা খান মোহাম্মদ নূরুল হুদাকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে। আর চার নির্বাচন কমিশনার হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। কিন্তু দেশের মানুষ এই মহাযজ্ঞের যেভাবে সফল পরিসমাপ্তি আশা করেছিল তা কিন্তু হয়নি বলা চলে। অনেকটা আশাহতই হতে হয়েছে বলতে হবে।
নতুন কমিশনের একমাত্র চমক হচ্ছে এই প্রথমবার ১ জন নারী নির্বাচন কমিশনারের অন্তর্ভুক্তি। না পাওয়ার মধ্যে এটিই এবারের বড় পাওয়া। কিন্তু কমিশন গঠনে সুশীল সমাজ ও উলামা প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির জোরালো দাবি থাকলেও তা আমলে আসেনি। তাই আমাদের আশাহত হওয়ার সঙ্গত কারণ আছে বৈকি! যা হয়েছে তা গতানুগতিক প্রক্রিয়ায়। আসলে একটা ইতিবাচক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হওয়ার পরও আমরা অতীত বৃত্তটা কোনভাবেই ভাঙ্গতে পারলাম না। অতীতে হয়নি বলে এখন হবে না তা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। অন্যরা করেনি আমিও করবো না তাও ঠিক নয়। ‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?’ এমনটা মনে করাই সঙ্গত ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। যা আমাদের জন্য রীতিমত দুর্ভাগ্যই বলতে হবে।
দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এখন একেবারে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে। আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতি তো এখন প্রায় নির্বাসনে। চলমান রাজনৈতিক সংকট যে অবস্থায় ছিল ঠিক সেই অবস্থায়ই রয়ে গেছে। আসলে নেতিবাচক রাজনীতিই আমাদের দুরবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী। মূলত দেশ ও জাতির এই মহাক্রান্তিলগ্নে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যে ইতিবাচক ধারা সূচিত হয়েছিল তাও অক্ষুণ্ন রাখা গেল না। কারণ, পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনকে কোনভাবেই বিতর্কমুক্ত করা যায়নি। নতুন কমিশনকে সরকার ও তাদের শরীকরা স্বাগত জানালেও সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যা কারো কাম্য ছিল না। কমিশন গঠনে সরকার আর একটু ইতিবাচক হলে এই বিতর্ক অনেকটাই এড়ানো যেত। আস্থাও ফিরে আসতো জনমনে। ফলে চলমান রাজনৈতিক সংকটের জট খোলারও একটা সুযোগ সৃষ্টি হতে পারতো। কিন্তু সংকীর্ণ মনোবৃত্তির কারণেই আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।
সেভাবেই হোক নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এটাই বাস্তবতা। ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে আগামী ৫ বছরের জন্য এই কমিশনই বহাল থাকবে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই কমিশনের অধীনেই হবে। কিন্তু বিতর্ক তো কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। যেহেতু খোদ কমিশন গঠনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাই এই কমিশনের পথচলাটা মোটেই মসৃণ হবে না। মূলত নতুন কমিশনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বড় রাজনীতিক দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া। কিন্তু এ কাজটা মোটেই সহজসাধ্য হবে বলে মনে হয় না। কারণ, সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো কমিশন গঠনে সরকার প্রধানের ইচ্ছার প্রতিফলনের অভিযোগ তুলেছে। আর এমন অভিযোগ তোলার সঙ্গত কারণও দৃশ্যমান।
রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময়সহ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তালিকা আহ্বান সবকিছুর মধ্যেই অস্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছেন অভিজ্ঞমহল। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিয়োজিত সার্চ কমিটি যে দশটি নাম দিয়েছে, আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে তার নাম তালিকায় ছিলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে।
মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের যে পুুরনো বৃত্ত ছিলো সেটাই রয়ে গেলো। কমিশন গঠনে অতীতের সে ট্রাডিশন ছিল বর্তমান কমিশন গঠনে তা-ই অনুসরণ করা হয়েছে। এবারের কমিশনে আমলাদের প্রাধান্য বেশ চোখে পড়ার মত। ৫ জনের ৩ জনই সাবেক আমলা। একজন সেনা কর্মকর্তা। আরেক জন বিচারিক কর্মকর্তা। এখানে আমরা নতুন পেয়েছি বলে মনে করার কোন কারণ ইে। কিন্তু এবার নতুন কিছু হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু দলীয় সংকীর্ণতার কারণে তাও ভেস্তে গেছে।
এবারের কমিশন গঠনে বেশ উচ্চাশা পোষণ করা হয়েছিল। গণমাধ্যমে ফলাও করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রস্তাবিত নামগুলো প্রচার করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল যে আমরা হয়তো অতীত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। হয়তো এবারের কমিশনের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হতো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি পড়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে ৫ সদস্যের নতুন কমিশনের ৪ জনই ক্ষমতাসীন ঘরানার। তাই নতুন কমিশন গঠনে যেভাবে ঢাকঢোল পেটানো হলো অর্জনটা কিন্তু তার ধারের কাছেও নেই। গর্জনের চেয়ে বর্ষণটা যৎসামান্যই। এক্ষেত্রে নিন্দুকেরাই এ যাত্রায় জিতে গেল। কারণ, তারা আগামই বলে দিয়েছিল যে, ‘সার্চ’ কমিটি নয় বরং ফার্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তাই বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে।
আমরা আশা করেছিলাম যে সরকার বোধহয় তাদের ভাবমূর্তি রক্ষার খাতিরেই এই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে আন্তরিক হবে। এতে তাদের হারানোর কিছু ছিল না। কারণ, সরকার তো তাদের হাতেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা ঘটলো তা কিছুটা হলেও বেদনাদায়ক। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সদ্য মনোনীত সিইসি কে এম নূরুল হুদা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দীর্ঘদিন ওএসডি থাকার পর ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ ব্যাচের সরকারি এ কর্মকর্তার বাড়ি পটুয়াখালীতে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয় যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা আছে। সিইসি পদে নূরুল হুদা নামের প্রস্তাব কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এসেছিল, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন কমিশনারদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন ও বিচারক কবিতা খানমের নাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এসেছিল বলে জানা গেছে।
সঙ্গত কারণেই নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিএনপি। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে নিয়ে তাদের প্রধান আপত্তি জানিয়েছে দলটি। সদ্য মনোনীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘জনতার মঞ্চের’ লোক এমন অভিযোগ এনে শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান এই রাজনৈতিক দল। যদিও প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে নব নিযুক্ত সিইসি জনতার মঞ্চের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি এককথা অবলীলায় স্বীকার করেছেন যে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। কেয়ারটেকার সরকারের সম্ভাব্য প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দলবাজির অভিযোগে ১/১১ এর মত দুঃখজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এবারও কিন্তু আমরা সে মুদ্রাদোষ থেকে মুক্ত হতে পারলাম না।
অভিযোগ করা হচ্ছে যে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ১৯৭৩ সালে তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডার সার্ভিসের লোক। ১৯৭৩ সালের নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডারটি তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডার হিসাবে পরিচিত। তখন আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তোফায়েল আহমদ এবং আব্দুর রাজ্জাক। তাই তাদেরকে পরবর্তিতে বিশেষণ দেয়া হয় তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডার। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর সরকারি সার্ভিসে যোগ দেয়া এই ক্যাডার ছিল সর্বদা আলোচিত এবং এই সার্ভিসের কেউ কেউ দলবাজির জন্য সমালোচিতও।
একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আমলা বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমলা মহিউদ্দিন খান আলমগীর। তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডারের কর্মকর্তারা। যদিও ১৯৯১ সালের ক্ষমতায় এসে বিএনপি তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডারের আরেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মরহুম) নূরুল হুদাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিল। ক্যাডার সার্ভিস ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া নূরুল হুদাকে বসিয়ে দেয়া হয় সরকারি কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এতে সিনিয়র আমলাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে ছিল চরম অসন্তোষ। আমলাদের অসন্তোষের মুখে সেই নূরুল হুদাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
তবে সিনিয়র আমলাদের মধ্যে জমাট বাঁধা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৯৬ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে। তারা বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চে যোগ দেয়। যদিও আমলাদের সবাই নয়, জনতার মঞ্চে সেদিন যোগ দিয়েছিলেন আমলাদের একটি অংশ। সেই জনতার মঞ্চে যোগ দেয়া কর্মকর্তাদের মধ্যম সারির নেতা ছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ পাওয়া নূরুল হুদা। তিনি বিএনপি সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় ওএসডি ছিলেন।
পরে ২০০১ সালের ২৪ জুলাই বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাকে সরকার উৎখাতের আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। সর্বোচ্চ আদালত অবশ্য বিএনপি সরকারের ওই আদেশ বেআইনি ঘোষণা করেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন এবং সকল ধরনের আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভ করেন। আওয়ামী লীগ তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিলেও কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি পালন করেননি।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্তির পর মি. নূরুল হুদা জনতার মঞ্চের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালনের কথাও উঠেছে। আমরা এসব অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাইয়ের দিকে যেতে চাই না। তবে একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, নতুন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি যে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন একথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিএনপি আমলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়েছিল এবং তিনি আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকরি ফিরে পেয়েছিলেন তাও কোন পক্ষই অস্বীকার করবেন না। সঙ্গত কারণেই হোক বা ভুল বুঝাবুঝির কারণেই হোক তিনি বিএনপি সরকার কর্তৃক নিগ্রহের স্বীকার হয়েছেন একথাও ঠিক। তাই মানুষ হিসাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিএনপির প্রতি অনুরাগ-বিরাগ থাকাও অস্বাভাবিক নয় বরং এটিই মানুষের স্বভাবজাত। আর বিএনপি সরকার যেহেতু তাকে নাজেহাল করেছেন তাই তার প্রতি তাদের আস্থা রাখাটাও বেশ কষ্টসাধ্যই হবে।
তাই দেশের এই ক্রান্তিকালে; যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাস-অবিশ্বারের টানাপোড়েন চলছে, তখন বিতর্ক ওঠার সুযোগ থাকে এমন ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেয়া নিঃসন্দেহে পশ্চাদপদ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন; অতীত বৃত্তের ফ্রেমে বাঁধা। সরকারের উচিত ছিল এমন ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাদের বিরুদ্ধে অতীতে দলবাজির কোন অভিযোগ ছিল। এমন লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে নেহাৎ কম নয়। এতে একদিকে সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেত, অপরদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহও বৃদ্ধি পেত। চলমান রাজনৈতিক সংকটের একটা যৌক্তিক সমাধানও আশা করা যেত। কিন্তু দলীয় সংকীর্ণতার কারণেই অতীত বৃত্ত ভাঙ্গা সম্ভব হলো না। যা সত্যিই দুঃখজনক।
http://www.dailysangram.com/post/271641-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2