২ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ১০:২৫

দিনে ক্ষতি ২৭৪ কোটি টাকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক : যানজট যেন নিত্যসঙ্গী

যতদূর চোখ যায় গাড়ি আর গাড়ি। যেন থমকে আছে গাড়ির মিছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত কয়েক দিনের যানজট অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করার পথে। মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে ৪০/৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে এই যানজট গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ভয়াবহ এই যানজটে আটকা পড়ে বেশ কয়েকজন বিদেশগামী যাত্রী নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেন নি। এভাবে যানজটের কারণে যাত্রীরা ফ্লাইট মিস করায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানকেও। সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিমানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এ যুক্তি উপস্থাপন করা হয় বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কাছে। এদিকে, যানজটের কারনে প্রখর রোদে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির সাথে জরুরী স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে ঢাকাগামী রোগির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। গতকাল রবিবার উপজেলাভিত্তিক এক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু করা হয়েছে বলে জানান দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।

অর্থনীতির লাইফলাইন বলে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটে প্রতিদিন গড়ে ক্ষতি হচ্ছে কমপক্ষে ২৭৪ কোটি টাকা। অবশ্য এটি পুরনো হিসাব। বর্তমান হিসাবে এর পরিমান ৩শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের সময় সওজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কারণে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর যাতায়াতে সময় অপচয়ের কারণে যাত্রীদের ক্ষতি ১ হাজার কোটি টাকা। দুর্ঘটনা ও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের ক্ষতি ৫৭০ কোটি টাকা। এছাড়া যানজটে জ্বালানী অপচয় হয় ২ হাজার কোটি টাকার, পরিবেশগত ক্ষতি ১ হাজার কোটি, স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ৩০০ কোটি ও অন্যান্য ক্ষতি ১০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতি ৯ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। এ হিসাবে দিনে ক্ষতি ২৭৪ কোটি টাকা।

তিন হাজার ৮১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কটি অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য কোনো কাজেই আসছে না। বরং এই চার লেন দিয়ে মালামাল আনানেয়া করতে গিয়ে যানজটের কারনে অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারন যাত্রী, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। সাথে সীমাহীন ভোগান্তি তো আছেই। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ-এর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের কারনে ব্যবসায়ীরা অনেক সময় শিপমেন্টের মালামাল ফেরত এতে বিমানে পাঠাতে বাধ্য হয়। কোনো কোনো সময় শিপমেন্ট ধরানো যায় না। তখন বিশাল লোকসান কাঁধে চাপে। তিনি বলেন, চার লেনের এই মহাসড়ক যানজটের কারনে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসছে না। এ জন্য এই মহাসড়কের উপর আর আমরা ভরসা রাখতে পারছি না। আমরা চাই ঢাকা-চট্টগ্রাম একটি ডেডিকেটেড রেললাইন হোক। যেটা দিয়ে শুধু কন্টেইনার ট্রেন চলবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যারয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যানজটে ২০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে। যানজটের কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। সড়ক খাতে বিনিয়োগ, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও যানজট নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই ক্ষতির অন্তত ৬০ শতাংশ বা ২২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেত। অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি চার লেন করার সময় নতুন করে দুটো সেতু নির্মাণ করা হলে এমন দশা হতো না। বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কারনে দিন দিন মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের ভাড়া বেড়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সাধারন মানুষ এর খেসারত দিচ্ছে।
যানজটে শুধু যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে তা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যানজট ৯ ধরনের মানবিক আচরণকে প্রভাবিত করছে। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব থেকে শুরু করে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো যানজটে প্রভাবিত হচ্ছে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর) সাবেক পরিচালক প্রফেসর মুহম্মদ সিরাজ-উল-ইসলাম বলেন, যানজটে বসে থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। নানান রকম দুশ্চিন্তা ভর করে। এই মানসিক চাপ সব ধরনের রোগের উৎস। চাপের ফলে নাগরিকদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, যুদ্ধংদেহী মনোভাব চলে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারাহ্ দীবা বলেন, যানজটের কারণে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে পরিবারসহ বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্কে। ব্যক্তির কর্মদক্ষতা, কর্মস্পৃহা নষ্ট হয়ে যায়। যে চালকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা গাড়ি চালান, তাঁদের দুর্ঘটনা ঘটানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিত্য যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল রবিবার সকালে যানজট কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রাজারহাট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় চার লেনের মধ্যে বাম পাশের দুই লেনের সংস্কার কাজ চলছে। বাকি দুই লেন আসা-যাওয়ার জন্য খোলা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দুই লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্র ও শনিবার দুদিন ছুটির পর গতকাল রবিবার সকালে অনেকে নিজ এলাকা থেকে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের মহাসড়কে আটকে থাকতে হয়। এ অবস্থায় অনেককে যানবাহন থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। এদিকে যানজটের কারণে গতকাল রবিবার উপজেলাভিত্তিক এক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু করা হয়েছে বলে দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুল হাসান ইনকিলাবকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটায় সৃষ্টি হওয়া যানজটটি কখনো কমছে, কখনো বাড়ছে। নোয়াখালী, লাকসাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকাগামী একাধিক যানবাহনের চালক বলেন, দাউদকান্দির রাজারহাট এলাকায় এসে তাঁরা একটানা তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে আছেন। গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিমা আক্তার ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার জানান, তাদের সন্তানেরা উপজেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্র দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থেকে শেষ পর্যন্ত তারা হাঁটা শুরু করেন। পারভীন আক্তার জানান, প্রায় চার কিলোমিটার পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান। তার মতো অনেকেই এভাবে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল নয়টায়। তবে তীব্র যানজটের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষা দেরিতে শুরু করা হয়। এদিকে রবিবার রাতের মধ্যে যানজট নিরসনে করতে হাইওয়ে পুলিশ ব্যর্থ হলে আজ সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হত্তয়া এইচএসসি পরীক্ষায় যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবে না শত শত শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে সারোয়ার, নাইমুল, মহাসীন, ফরিদ নামের কয়েকজন অভিভাবক শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় চারলেনের মহাসড়কে দিনের পর দিন যদি এভাবে যানজটে আটকে থাকতে হয় তাহলে তাদের সন্তানরা পরীক্ষা কেন্দ্রে কিভাবে পৌঁছাবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত। তবে পরীক্ষার বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

টানা চার দিন এ যানজটে আটকে পরে দূর-দূরান্ত থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসগুলো রাস্তায় এক জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তীব্র যানজটের কারণে অ্যাম্বুলেন্সের অসুস্থ যাত্রীসহ হাজার হাজার যাত্রীর চরম দূর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। ঢাকাগামী এশিয়া লাইন বাসের যাত্রী কাউসার ও রুমেল জানান, কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ এসে যানজটে আটকা পড়েন তারা। বাস থেমে থেমে চলার কারণে দীর্ঘ ২ ঘন্টায় গৌরীপুরে এসে পৌঁছেন। ওই দুই যাত্রী ইলিয়টগঞ্জ থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত রাস্তায় কোন পুলিশকে দেখতে না পেয়ে হতবাক হয়েছেন।
অন্যদিকে, যানজটে আটকা পড়েছে হাজার হাজার পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় মেঘনা, মেঘনা-গোমতী ও কাঁচপুর সেতুর কাজ চলায় প্রায়শই সে পথ দিয়ে যানবাহন ধীর গতিতে চলে। ফলে এ পথে যানজট আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় চলমান সড়ক সংস্কার কাজ, দাউদকান্দি গোমতি ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি, মালবাহী ট্রাক-লরি থেকে টোল আদায়ের সময় অতিরিক্ত ওজনের নামে চাঁদা আদায়, এসব পরিবহনের চালক-হেলপারের সঙ্গে টোল কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটির ফলেই মহাসড়কজুড়ে এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাসের চালক জামির হোসেন, বান্দরবান থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক হারুন অর রশিদ, রাঙামাটি থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক তাজুল ইসলাম, ডলফিন পরিবহনের বাসের চালক মজিবুর রহমান ও যাত্রী সঞ্জয় তঞ্চঙ্গ্যাও শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা যানজটে আটকে ছিলেন। শনিবার রাতে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত শাফিন জোবায়ের। তিনি বলেন, ১৪ ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় তিনি ঢাকা পৌঁছেছেন। মহাসড়কের ভবেরচর, মদনপুর এলাকায় ছিলেন প্রায় ১০ ঘণ্টা। ওই দিন সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে শিক্ষক আবুল বাশার কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত যানজটে আছেন ভবেরচর এলাকায়। তিনি বলেন, এক মিনিট গাড়ি একটু সামনে চললে পরে আধাঘণ্টা এক জায়গায় থাকে। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।

যানজটের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানকেও। গতকালও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটে আটকা পড়ে কয়েকজন বিদেশগামী যাত্রী তাদের ফ্লাইট ধরতে পারেন নি। সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিমানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এ যুক্তি উপস্থাপন করা হয় বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কাছে। বিমানের আসন খালি থাকার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ কারণ হিসেবে ছয়টি যুক্তি উপস্থাপন করেছে তার মধ্যে অন্যতম কারনগুলোর মধ্যে একটি কারন হলো সড়ক-মহাসড়কে যানজট।

https://www.dailyinqilab.com/article/124324