২৭ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৪৭

২৮ বছরেও সংস্কার হয়নি কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লেক

স্থানাভাবে ৫৮০০ নিদর্শন প্রদর্শন করা যাচ্ছে না

স্থানের অভাবে প্রদর্শন করা যাচ্ছে না দেশের প্রধান লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘরের পাঁচ হাজার ৮০০টি নিদর্শন সামগ্রী। পাশাপাশি ১৯৭৮-৮৯ সালে খনন করা লেকটি গত ২৮ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। ফলে এটি এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। নতুন করে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এখন ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন জনপদ হলো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও। ঐতিহাসিক সোনারগাঁওয়ের অতীত স্মৃতিকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৫ সাল থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্পের সুরক্ষা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, গবেষণা ও পুনরুজ্জীবনের কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট।
মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফাউন্ডেশনের সংগৃহীত নিদর্শনের সংখ্যা হলো ৬ হাজারটি। ২০১২ সালে সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় বর্তমান জাদুঘর ভবনের একতলা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ২০০ নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু স্থানাভাবে আরো প্রায় ৫ হাজার ৮০০টি নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ফাউন্ডেশনের কোনো অডিটোরিয়াম নেই। যার কারণে উন্মুক্ত লোকজ মঞ্চে লোকজ অনুষ্ঠানসহ লোকশিল্পভিত্তিক সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিপুলসংখ্যক কারুশিল্পীদের নিয়ে কর্মশালাসহ কারুশিল্পী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনও করা সম্ভব হচ্ছে না। এসবের জন্য প্রয়োজন অডিটোরিয়াম।
এ দিকে ফাউন্ডেশন এলাকাজুড়ে প্রায় ৫০ বিঘা আয়তনের লেক বিদ্যমান। ১৯৭৮-৮৯ সময়ে ফাউন্ডেশনের লেক খননের পর এ পর্যন্ত লেকের আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। লেকটি দ্রুত পুনঃখনন করে লেকের দুই পাশে প্রটেকশনসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ফাউন্ডেশনের যে স্থানে অর্থাৎ যে মাঠে প্রতি বছর মাসব্যাপী বেশ কয়েকটি মেলার আয়োজন করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ছোট। এখানে প্রতিনিয়ত বিদেশী অতিথিরা আসছেন।

ওই অতিথিদের সাময়িক বিশ্রাম বা রাত্রি যাপনের জন্য কোনো উপযুক্ত রেস্ট হাউজ নেই। তাই এখানে আট কক্ষবিশিষ্ট একটি দ্বিতল রেস্ট হাউজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এখানে বছরে প্রায় ১০ লাখ দর্শনার্থী আসেন। তাদের খাবারের জন্য কোনো রেস্তোরাঁ নাই।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/305229