যানজটে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ। ফার্মগেট এলাকার
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ১০:৩২

মূল সড়ক বন্ধ বিকল্প পথে তীব্র যানজট

স্বল্পোন্নত অবস্থান থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজধানীতে মূল সড়কগুলো বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই সব রাস্তায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৯টি স্থান থেকে ৫৭টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও অধীনস্থ দফতরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রা নিয়ে যোগ দেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি-আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেক মানুষ এসেছেন। বাংলা ট্রিবিউন।

শোভাযাত্রাগুলোর নির্বিঘেœ প্রবেশের সুবিধার্থে স্টেডিয়ামের চারপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর চারপাশে বিভিন্ন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মৎস্য ভবন হয়ে কদম ফোয়ারা, জাতীয় প্রেস কাব হয়ে পল্টন, শিশু একাডেমি থেকে আবদুল গণি রোড হয়ে জিপিও এবং বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামমুখী প্রতিটি পথে যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে এসব এলাকার যানবাহনের চাপ কমাতে শাহবাগ, কাকরাইল মসজিদ, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল, শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চাঁনখারপুল, বকশিবাজার, পলাশী, নীলেেত বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাস, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ থাকায় এসব রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

সরেজমিন দেখা যায়, গুলিস্তান মোড়ে যানজটের তীব্রতা থাকায় যাত্রীরা পরিবহন থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। সাধারণ পথচারীদের অনেকে জানান, সড়কে গাড়ি তেমন চলাচল করছে না। তাই হেঁটেই তারা এগিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে কাকরাইল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন শোভাযাত্রা এই পথে প্রবেশ করছে। এ জন্য এদিক থেকে যানবাহনগুলোকে পুরানা পল্টনের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
গুলিস্তান মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এমটিসিএল পরিবহনের চালক জহির উদ্দিন জানান, যাত্রী নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসার পরপরই সড়ক বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘এরপর থেকে কয়েক ঘণ্টা একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে নেমে চলে গেছেন। কখন এই যানজট ছাড়বে জানি না।’

অবশ্য দেশের অগ্রগতিতে যানজটকে তেমন দুর্ভোগ মনে করছেন না অনেকে। রফিকুজ্জামান তাদেরই একজন। তিনি বললেন, ‘অনেকটা পথ হেঁটে এসেছি। তবে দেশ এগিয়ে চলছে, এ জন্য একদিনের একটু ভোগান্তি কোনো ব্যাপার না। সাধারণ মানুষও আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে বেরিয়েছেন। দেখে ভালোই লাগছে। শোভাযাত্রা দেখতে দেখতে ভালোই লাগছে হাঁটতে।’
অবশ্য অন্য সড়কগুলোতে যানজট খুব একটা দেখা যায়নি। গণমাধ্যমকর্মী তোফাজ্জল হোসেন রুবেল বলেন, ‘বেলা ৩টার দিকে বনশ্রী থেকে রামপুরা ব্রিজ হয়ে মৌচাক ফাইওভার দিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসেছি। এর মধ্যে শান্তিনগর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত কিছুটা যানজটে পড়েছি।’

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/304052