নারীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৪ মার্চ সব জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ
১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:১০

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫-এর দাবি, নতুন কর্মসূচির ঘোষণা

• ৩১ মার্চ চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়ে ঢাকায় সমাবেশ
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে করার আন্দোলনে পুলিশের হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। আজ সোমবার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সংগঠনটির পক্ষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত শনিবার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলন করে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক সঞ্জয় কুমার দাস লিখিত বক্তব্য দেন।
সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাবে আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এতে বলা হয়, নারীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৪ মার্চ সব জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। ৩১ মার্চ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে ঢাকায় সমাবেশ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা গত শনিবার শাহবাগে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে র্যা লি নিয়ে বাংলামোটরে এলে আন্দোলনকারীদের পেটায় পুলিশ। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া সেদিন সেখান থেকে প্রায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের মধ্যে ছিলেন ছয়জন নারী। এ সময় সাধারণ ছাত্রীরা পুলিশের কাছে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর; যখন ৫০ ছাড়াল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা হলো ৩০ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর হলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এখনো অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে জনবল (অভিজ্ঞতা ছাড়া) নিয়োগ দেয় না, যার ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অবশ্যই ৩৫ বছর করা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সরকারের কোনো প্রকার আর্থিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটি হবে খুবই জনকল্যাণমুখী। ফলে উপকৃত হবে কোটি কোটি শিক্ষিত শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবার, সর্বোপরি দেশ। দেশের উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের পিছিয়ে রেখে দেশ কখনো সামনের দিকে এগোতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, শফিকুর রহমান, এনামুল হক প্রমুখ।

http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1448826