২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:৫৪

'৫ম শ্রেণির ভর্তির ফল ফাঁসে জড়িত ৬ জন'

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল ফাঁসে দুই শিক্ষকসহ ছয়জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত দল।
সোমবার জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) আনিছ ফারুকের ফল ফাঁসে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্কুলের উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক আহমেদ ও কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হককেও এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়াও 'বাবলা স্যার কোচিং সেন্টারের' পরিচালক বাবলা দে ও 'মামুন কোচিং সেন্টারের' পরিচালক মামুনেরও এতে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে রিদুয়ানুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা করেছে জেলা প্রশাসন।
সরকারিভাবে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল ২১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এর আগেই ফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনার তদন্তে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসকের বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ফল প্রক্রিয়াকরণের পর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরের জন্য কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে কেন্দ্রের কম্পিউটারে সংরক্ষিত ফলের সফট কপি ফের প্রিন্ট করে শিক্ষক-কর্মচারী ও কিছু অভিভাবকের সহায়তায় 'বাবলা স্যার কোচিং সেন্টার'-এর পরিচালক বাবলা দেকে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও মামুন কোচিং সেন্টারের পরিচালক মামুনের সহায়তায় বাবলা দে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারিভাবে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফল একই হওয়ায় তা স্থগিত কিংবা বাতিল করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এ ফল প্রস্তুত করা হয়েছে।

http://samakal.com/whole-country/article/17121511