২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৯:০৯

চালের দাম অসহনীয় : অর্থমন্ত্রী

বর্তমানে যে দামে বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে তা অসহনীয় বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে যে পরিমাণ বেড়েছে এটা অসহনীয়।’
গতকাল সচিবালয়ে তার দফতরে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গত কয়েক মাসে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিক রিপোর্ট শুড নট বি ট্রাস্টেড, বিকজ দরিদ্র কমছে না বাড়ছে এটার জন্য অন্ততপক্ষে বছরখানেক দেখা দরকার। ইউ সি, সো অ্যান্ড অব দ্য ইয়ার কি হবে আই ডোন্ট নো।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তবে চালের দাম বাড়ার কারণে কত শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে সেটা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা সঠিক চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে।’
এ দিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এ ছাড়া চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন দেশের পাঁচ লাখ ২০ হাজার মানুষ। গত শনিবার এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম।
সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তা গত অর্থবছরের পুরো আমদানির প্রায় পাঁচ গুণ। এ ক্ষেত্রে চাল রফতানিকারক দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের কৌশলগত চুক্তি করা দরকার বলেও সুপারিশ করে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, চালের দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল। সেটা ভালোই ছিল, কিন্তু ৫০ টাকার ওপরে ওঠে যাওয়াতে কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে।
চালের দামে স্থিতিশীলতার বিষয়ে কোনো ঠিক ঠিকানা নেই উল্লেখ করে উৎপাদন বাড়লেই চালের দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
সঠিক সময়ে চালের মজুদ গড়ে না তোলায় সরকারি ব্যর্থতা, অধিক শুল্ক হারের কারণে আমদানি বন্ধ থাকা, বোরো মওসুমে হাওরে বন্যায় ফসলহানি, মজুদে ঘাটতিসহ নানা কারণে গত চার মাস থেকেই চালের দাম বাড়তে থাকে। এর মধ্যে মোটা চাল প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, আর সরু চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় উঠে যায়। এখনো দাম প্রায় একই রকম রয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/279297