২৭ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১০:০৬

নিখোঁজের ৫ দিন পর রূপগঞ্জে বালু নদী থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর চাল ব্যবসায়ী মাসুদ রানার লাশ উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে বালু নদীর দক্ষিণপাড়া ইস্টার্ন পেপার মিলের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে হেলেনা আক্তার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৯টায় তার কাছে মোবাইল আসে। পরে তিনি বের হয় যান। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

পরিবারের লোকজন আরো জানান, তার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তার মাদরাসা রোডে চালের আড়ত, বরুণা বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা ও অটো রিকশার ব্যবসায় ছিল। এ ছাড়া তিনি জমি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই দুর্বৃত্তরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে পারিবারিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালকের বরাত দিয়ে পরিবারের লোকজন জানান, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাঝিনা বটতলা এলাকায় কালো শার্ট ও জ্যাকেট পড়া চার যুবকের সাথে কথাকাটাকাটি করতে দেখা যায় তাকে। তাদের মধ্যে খিলগাঁও থানার ইদারকান্দি এলাকার ওয়াসকুরণি নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তার সাথে নিহত মাসুদ রানার জমিজমার ব্যবসায় ছিল।

প্রসঙ্গত, ইদারকান্দি গ্রামটি বালু নদীর তীর ঘেঁষা। অপর একটি সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে যে কল আসে তা ছিল রাতালদিয়া এলাকার বেগম ওরফে বিন্দু মাসি। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশের কাছে বারবার ধরনা দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারো শত্রুতা ছিল না। তিনি ব্যবসায় করতেন, আর বাড়িতে সময় কাটাতেন। কেউ পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন বলেন, এখনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/271854