৩০ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৭

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত: বাস্তবায়ন হয়নি এক যুগেও

অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্যামপুরে ২ হাজার গুদামের বিপরীতে প্রস্তুত ৫৪টি এবং টঙ্গীতে আরও ৫৩টি তৈরির কাজ চলমান

একযুগ পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ২ হাজার কেমিক্যাল গুদামের বিপরীতে শ্যামপুরে অস্থায়ীভাবে মাত্র ৫৪টি প্রস্তুত হয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত যায়নি একজনও ব্যবসায়ী। পাশাপাশি টঙ্গীতে আরও ৫৩টি অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদাম তৈরির কাজ চলমান। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থায়ীভাবে ৩০০ একর জায়গায় কেমিক্যালপল্লি তৈরির কাজ চলছে ‘কচ্ছপগতি’তে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা না থাকার কারণেই মূলত কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুরান ঢাকায় যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

তাদের আরও অভিমত-যেখানে-সেখানে কেমিক্যাল গুদাম তৈরি করলে হবে না। স্থানান্তরের স্থানে গুদাম গেলে ব্যবসা হবে কিনা-তা বিবেচনা করতে হবে। সরকার যেখানে গুদাম স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে যদি ব্যবসা না হয় তাহলে তো ব্যবসায়ীরা যেতে চাইবেন না। পাশাপাশি আইনের প্রয়োগেও কঠোর হতে হবে। পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা জমজমাট চলছে। এমন পরিবেশ থেকে তারা সহজে সরতে চাইবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে শ্যামপুরের উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৬ একর জমিতে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর এই গুদাম তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গুদাম তৈরির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জুনে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। একেকটি গুদামের আয়তন ১ হাজার ৪৪৪ বর্গফুট। সেখানে দুটি অফিস ভবন, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, মসজিদ, গভীর নলকূপ, পানির ট্যাংকসহ কিছু স্থাপনা রয়েছে। প্রতিটি গুদাম ঘরের মাঝে একটি করে ফায়ার হাইড্রেন্ট বা আগুন নেভানোর পানির কল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টির বেশি সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকার ওপর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হয়েছে ৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাজ করেছে। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস।

আরও জানা গেছে, শ্যামপুরের অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদাম বরাদ্দ পেতে হলে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইমপোর্টার অ্যান্ড মার্টেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ অ্যাসিড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে। এসব ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যবসার অন্তত ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে সমিতির সদস্য হননি-এমন ব্যবসায়ীরাও আবেদন করতে পারবেন। ৪ জুন উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত সেখানকার একটি গুদামঘর ভাড়া হয়েছে। যে গুদামঘরটি ভাড়া হয়েছে, সেটিও পুরান ঢাকা এলাকা থেকে আসেনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীর অগ্নিদুর্ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যুর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩১টি সুপারিশ দেয়। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় নিমতলীর ঘটনার ৯ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জন প্রাণ হারান। গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ ছিল পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেওয়া। ওই সময়ে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম সরানোসংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ২০১১ কেরানীগঞ্জে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদামগুলো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আলোকে সেখানে ২০ একর জমি চিহ্নিত করে। সেখানে ১৭ তলা কয়েকটি ভবন নির্মাণ করে সেখানে রাসায়নিক কারখানা ও গুদামের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবও করেছিল। সে সময় ব্যবসায়ীদের সম্মতি না পাওয়ায় ওই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি।

এছাড়া পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর করতে মেয়র, শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আন্তঃমন্ত্রণালয়সংক্রান্ত কমিটি দফায় দফায় গত এক দশকে কয়েকশ সভা করেছে। তাদের পরামর্শের আলোকে সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিসিক কেমিক্যালপল্লি ঢাকা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের আকার ধরা হয় ২০১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বিসিকের এই প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণকীর্ত্তা মৌজায় ৫০ একর জমি চিহ্নিত করে ৯৩৬টি প্লট তৈরির কথা বলে। প্রকল্প সংশোধন করা হয় চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর। এরপর স্থান চিহ্নিত করা হয় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে। এখানে ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি নিয়ে বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কবে নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তা সরকারসংশ্লিষ্টরাও বলতে পারছেন না।

অস্থায়ী গুদামে যেতে চান না ব্যবসায়ীরা : কয়েকজন কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্যামপুর বা নির্মাণাধীন টঙ্গীর অস্থায়ী গুদাম ব্যবহারে তারা আগ্রহী নন। কারণ কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের ব্যবসায়ীদের তুলনায় গুদামের সংখ্যা অনেক কম। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে। তবে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে যেতে আগ্রহী তারা।
ওই ব্যবসায়ীরা আরও জানান, পুরান ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় কারখানা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯২৪টি। আর শ্যামপুরে গুদামঘর করা হয়েছে মাত্র ৫৪টি। পাশাপাশি ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া টঙ্গীর গুদামঘর তৈরির কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া মৌজায় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থার (বিএসইসি) ৬ একর জমিতে ৫৩টি অস্থায়ী গুদাম তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি ১ লাখ গ্যালন ধারণ ক্ষমতার একটি ওভারহেড, একটি আন্ডারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হবে। এই স্বল্প পরিমাণ গুদাম পুরান ঢাকা থেকে স্থানান্তর করে পুরান ঢাকার পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে না। এজন্য সরকারকে মুন্সীগঞ্জের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান তারা। এছাড়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেলে তাদের ব্যবসায়িকভাবেও ক্ষতির শিকার হতে হবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফা যুগান্তরকে জানান, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বৈধ ব্যবসায়ী। সরকারের অনুমোদন নিয়ে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, পুরান ঢাকার অগ্নিদুর্ঘটনার পর সিটি করপোরেশন ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না। এখন আমরা অবৈধ হয়ে গেলাম।

তিনি জানান, সরকার মুন্সীগঞ্জে আমাদের জন্য শিল্পপল্লি তৈরির কাজ শুরু করেছে। তার কাজ কবে শেষ হবে তা অজানা। তাহলে এই সময় পর্যন্ত আমাদের ব্যবসায়িক অনুমোদন কেন বন্ধ রাখবে। শ্যাপুর বা টঙ্গীর অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদামে পুরান ঢাকার ১ ভাগ কারখানাও স্থানান্তর হবে না। তাহলে এটা সরিয়ে কি হবে। এতে করে যারা সেখানে যাবেন তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিশেষজ্ঞ অভিমত : বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) প্রকৌশলী আলী আহমেদ খান যুগান্তরকে বলেন, পুরান ঢাকার অগ্নিদুর্ঘটনা কমাতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ব্যবসায়ী, ভবন মালিকরা শুধু লাভ চিন্তা করছেন। অগ্নিনিরাপত্তা যে তার চেয়েও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, তারা সেটা আমলে নিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকা থেকে সরকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা না শুনলে তাদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপার তেমন কোনো কার্যকর তৎপরতা নেই। ফলে পুরান ঢাকায় যে কোনো মুহূর্তে ফের বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা থাকছেই।

অগ্নিনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য লাভ করা। সরকার পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের যেখানে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে সেখানে হয়তো লাভজনক নয়। এজন্য তারা যেতে চাচ্ছেন না। সরকার যেটাই করুক না কেন, সেটা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর হলে তাদের সেখানে নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল জাতীয় ব্যবসাকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। হঠাৎ করে এটা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, পৃথিবীর উন্নত দেশেও অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। আমেরিকাতেও অগ্নিদুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যান। অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে কোনো ব্যবসা বন্ধ করে ফেলা বা স্থানান্তর করে ফেলার বিষয়গুলো আরও ভালো করে ভাবতে হবে। নইলে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়বে।

তিনি জানান, অগ্নিদুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যাবে না। অসতর্কতা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটবে। তবে তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে হতাহত কমে যাবে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম যুগান্তরকে বলেন, শ্যামপুরে প্রায় ৬ একর জায়গায় ৫৪টি গুদামঘর গড়ে তোলা হয়েছে। ৪ জুন শ্যামপুরের অস্থায়ী রাসায়নিক গুদাম উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখানে যাচ্ছেন না। অন্য এলাকা থেকে সেখানে একজন কেমিক্যাল ব্যবসায়ী এসেছেন। এখন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সভা করে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ দেওয়া হবে। কেননা, তাদের অনেক বোঝানো হয়েছে, তবুও তারা সরছেন না।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যালপল্লি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তবে তার কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। এজন্য আপাতত দাহ্য কেমিক্যাল কারখানাগুলো হলেও সরকার সরাতে চায়। এসব করতে সরকারের বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। এটা ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা কেমিক্যালের সঙ্গে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নিচে কেমিক্যাল রেখে উপরে ঘুমান তারা। এখান থেকে বের হতে পারছেন না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মুখপাত্র মো. আবু নাছের যুগান্তরকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসসিসি পুরান ঢাকায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে। তারপর কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়নসংক্রান্ত কিছু কাজ দিয়েছিল, সেটাও করে জমা দেওয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে।

তিনি বলেন, এখন সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো কাজ নেই। শিল্প মন্ত্রণালয় গুদাম তৈরি করে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সেখানে স্থানান্তর করবে। তবে আন্তঃমন্ত্রণালয়সংক্রান্ত কমিটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে ডিএসসিসি। ভবিষ্যতে ডিএসসিসিকে কোনো কাজ দিলে তা যথাযথভাবে পালন করতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা। কেননা, পুরান ঢাকা বাসযোগ্য করতে ডিএসসিসি মেয়র নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কেমিক্যাল গুদাম বা কারখানাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিলে মেয়রের কাজ বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে। পুরান ঢাকার মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/790316