৩ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ২:৩০

অর্থনীতির সঙ্কট কাটাতে বেসরকারি সেক্টর

-ড. মো: মিজানুর রহমান

দেশের অর্থনীতির সব সেক্টরের বেহাল দশার বিষয় এখন সর্বজনস্বীকৃত। স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতি এতটা সঙ্কটে পড়েনি। তবে সঙ্কট নিয়ে বেসরকারি এবং সরকারির সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা রয়েছে। বেসরকারি সংস্থার দৃষ্টিতে এ সঙ্কট মারাত্মক এবং এ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে যেকোনোভাবে, অন্যথায় দেশে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা এমনকি দুর্ভিক্ষ লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে, সরকারি সংস্থা তাদের উন্নয়নের রঙিন চশমা দিয়ে দেখছে দেশ উন্নয়নে সয়লাব। তাদের মতে, ২০২০-২২ সালের করোনা অতিমারী বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে সারা পৃথিবীর অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু ক্ষতি হলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। এখনো দেশের অর্থনীতি বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়ে ভালো আছে। অর্থনীতি ঠিকপথে চলছে ইত্যাদি।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা শীর্ষক’ একটি সেমিনার হয়ে গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চেম্বারে। সেমিনারে সভাপতি আশরাফ আহমেদ মূল প্রবন্ধে বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে ট্রিলিয়ন ডলারের স্মার্ট অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাচ্ছে সরকার অথচ জিডিপিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের অবদান কমে যাচ্ছে যা উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় হ্রাস, সহনীয় মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানিপ্রাপ্তি ও সরবরাহ খাতের উন্নয়ন জরুরি। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় হ্রাস, ব্যবসায় পরিচালনা সূচকের উন্নয়ন, টেকসই নীতিসংস্কার, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন ও সর্বোপরি বেসরকারি খাতে ঋণ প্রাপ্তির সহজলভ্যতা একান্ত অপরিহার্য। এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে আমাদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, বাজার সম্প্রসারণ ও দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষি পণ্যের সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরী পোশাক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে যেতে হবে। চামড়া খাতে দ্রুততম সময়ে ইটিপি স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন, এপিআই পার্কে সব সেবা নিশ্চিতের মাধ্যমে চালু করা, সিএমএসএমই খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

সরকারের অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের মতে, গত কয়েক দশকে আমাদের অর্থনীতির মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, তার মধ্যে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ অন্যতম। ব্যক্তি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনাকে মূল্যায়ন না করে যদি নীতি প্রণয়ন হয়, তাহলে যেকোনো নীতির সফল বাস্তবায়ন হবে না বলে তিনি মনে করেন। গত কয়েক দশকে আমাদের অর্থনীতির মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, তার মধ্যে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ অন্যতম। সেই সাথে বেসরকারি খাতকে সব সমস্যা সমাধানে সরকারের ওপর নির্ভর করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যাগুলো কোনো দেশ এককভাবে সমাধান করতে পারবে না। সুতরাং কর ব্যবস্থাপনার পুরনো বিষয়টি নিয়ে আরো গভীরভাবে পর্যালোচনাা প্রয়োজন। দেশের জাতীয় আয় ও রাজস্বের অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কর ব্যবস্থার হারের গরমিলের কারণে করদাতাকে অনেক সময় নির্ধারিত করের চেয়ে বেশি কর দিতে হচ্ছে, যা কাম্য নয়। বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটাতে বিদেশী বিনিয়োগের আকর্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তবে বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে প্রাপ্তিতে সরকারের এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে নীতির স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। রফতানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে কারো কোনো দ্বিমত নেই। তবে নতুন পণ্য এবং নতুন বিনিয়োগ বিষয়ে নানামুখী চাপও রয়েছে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। স্থানীয় অর্থনীতিতে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, জাতীয় বাজেট ও মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন অবস্থা, বেসরকারি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কৃষি, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, সিএমএসএমই, তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ সময় কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) ঋণপ্রাপ্তিতে গুরুত্বারোপ ও বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটাতে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিআইডিএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, কর ব্যবস্থাপনা ও কর আদায় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন অপরিহার্য। শিল্প খাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে আমাদের শিক্ষা খাতের সংস্কার, বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষার ওপর আরো বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমরা এখনো প্রস্তুত নই, যেটি উদ্বেগের বিষয়। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বেজা, বেপজা ও ইকোনমিক জোনগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়াতে হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের কারণে দেশের বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে নন পারফর্মিং লোন কেউ বলছে, অনেকে ৯ থেকে ১০ শতাংশ বলছে। তবে আইএমএফের আর্টিকেল ফোর অনুযায়ী, রি-স্ট্রাকচার লোন প্লাস রিসিডিউল লোন প্লাস নন পারফর্মিং লোন অ্যাড করলে ২২ শতাংশের বেশি। দেশের ২২ শতাংশের বেশি ঋণ সমস্যাযুক্ত। তাহলে একটা ব্যাংকিং সেক্টরের ২২ শতাংশ ঋণ যদি ট্রাবল অ্যাসেট হয় তাহলে এর প্রভাব সুদের হারকে প্রভাবিত করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ডিসেম্বর মাসে প্রমিজ নোটের উপরে টাকা ছাপিয়ে দিলো ২২ হাজার কোটি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিলো ১৬ হাজার কোটি। এই যে ৩৮ হাজার কোটি হাই পাওয়ার মানি ছাপিয়ে দেয়া হলো এর প্রভাব আমরা কোন্ উইন্ডোর ড্রেসিং বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি দ্বারা এগুলো ঢাকব? সমস্যাটা একটা জায়গায় চলে গেছে যে, আমাদের একটি সিরিয়াস ডিসিশন নিতে হবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য। তবে আমরা যদি সেই সিরিয়াস ডিসিশনটি নিতে পারি তা হলে এই সমস্যা সমাধান অবশ্যই সম্ভব। আমাদের দেশে আশির দশকে অনেক নন-পারফর্মিং লোন ছিল। আমরা দেখেছি এক দশকে অনেক কমেছে; এটি সম্ভব।

গত দুই বছরের অনেক দেশ ম্যাক্রো-ইকোনমিক্যাল ইনস্টাবিলিটি কাটিয়ে বের হয়েছে; বাংলাদেশ কি এখনো বের হতে পেরেছে? আমরা বলি না যে, আমরা রেড জোনে আছি তবে অরেঞ্জ জোনে আটকে আছি। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি জানুয়ারি মাসে বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ হয়ে গেছে। আমাদের মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্ট ৮ শতাংশ পলিসি রেট যথেষ্ট মনে হয়নি। ৮ শতাংশ পলিসি রেট দিয়ে ১০ শতাংশ ইনফ্লেশনকে মোকাবেলা করা বেশ কঠিন হবে। আমাদের রিজার্ভ ডিপ্রেশন যদি দেখি, এই ব্যাপারে আমরা একটি অরেঞ্জ জোনে আছি।
আমরা নয়-ছয় সুদের হারে আটকে ছিলাম। যখন গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে গেল আমরা তখনো নয়-ছয়ে আটকে ছিলাম। এটি কেন হলো- এটি একটি পলিসি ক্যাপচার ফেনোমেনা। তো আমরা ইনস্টিটিউশনের রেগুলেটরি অথরিটি নিয়ে কথা বলি কিন্তু ইনস্টিটিউশন যদি পলিসি ক্যাপচারের দ্বারা ভালনারেবল হয় তাহলে কিভাবে অর্থনীতি চলবে? যাকে রেগুলেট করবেন সে যদি আপনাকে ডিক্টেট করে দেয় যে কত ইন্টারেস্ট রেট হবে, এটি ব্যাংকের ডাইরেক্টর কয়জন হতে পারবে ফ্যামিলির, সে যদি বলে দেয়, তার টার্ম কত লেংথ কত হবে যদি বলে দেয় তাহলে আপনি কী করে রেগুলেট করবেন? এই প্রবলেমগুলো তৈরি হয়েছে এবং আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের যে প্রবলেমগুলো এখন সেটি আমাদের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে যা আমাদের বিবেচনা করতে হবে।

আমাদের ট্যাক্স এডমিনিস্ট্রেশনে প্রবলেম রয়েছে। সেভেন ফাইভ ইয়ার্স প্লানে কর-জিডিপি অনুপাত ২০২৪ সালে ১৮ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল, অথচ এখন এটি কোনো মতে ১০ শতাংশ। মানে আমরা এই ১৫ বছরে ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিওতে কোনো দৃশ্যমান ইমপ্রুভমেন্ট আনতে পারিনি। আমরা যতটুক এগিয়েছি তার থেকে বেশি পিছিয়েছি। এর কারণে সেন্ট্রাল ব্যাংকের উপরে প্রেসার পড়েছিল গত জুন মাসে; টাকা ছাপিয়ে গভর্নমেন্টকে সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। তো একদিকে আমরা কন্ট্রাকশনারি মনিটরি পলিসির কথা বলছি আরেক দিকে মনিটরি এবং ট্যাক্স এডমিনিস্ট্রেশনের দুর্বলতার কারণে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি না।

এ ছাড়াও আমাদের এক্সপোর্ট গ্রোথের মধ্যে একটি ডাউনওয়ার্ড ট্রেড অলরেডি ভিজিবল। আমরা এখন বেশির ভাগই সিঙ্গেল ডিজিট এক্সপোর্ট গ্রোথ অ্যাচিভ করছি। প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট অব জিডিপি, এটি ২৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের স্বপ্ন হচ্ছে একটি উন্নত দেশ হওয়ার। মিডেল ইনকাম ট্রাপ বলে একটি কথা আছে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে আটকে আছে, এমন অনেক দেশ আছে। এখন প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশ কি ওই সব দেশের মতো হবে নাকি সাউথ কোরিয়া, যারা ওই মিডেল ইনকাম ট্রাপটা ভেঙে আরো সামনে গেছে, তাদের মতো হবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো: হাবিবুর রহমান অবশ্য বলেন ভিন্ন কথা। তার মতে, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে আমদানি-রফতানি ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পণ্যমূল্য বেড়েছে এবং বিদ্যমান অবস্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে বিবির চলতি হিসাব দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে সমন্বয় আনয়নে বিবি কাজ করে যাচ্ছে। ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, ফলে এ ক্ষেত্রে স্বস্তি আসবে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সঙ্কোচনমুখী নীতি অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি। আগামী দুই বছরের মধ্যে শিল্প খাতে খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রোডম্যাপ গ্রহণ করেছে।

সরকারের প্রয়োজন মেটাতে বিবি টাকা ছাপাচ্ছে- এই সংবাদের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। বিবির ব্যালেন্স শিটের আকার গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে) হয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ যত টাকা বিবির ভল্টে প্রবেশ করেছে, তার চেয়ে কম টাকা বাজারে ছাড়া হয়েছে। কাজটি সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। ফলে টাকা ছাপিয়ে বাজারে দেয়া হচ্ছে, এ কথা সঠিক নয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে সমন্বয় আনতে বিবির ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগে স্বস্তি আসবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, আগামী দুই বছরে শিল্প খাতে খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার জন্য বিবি একটি রোডম্যাপ গ্রহণ করেছে।

পরিশেষে বলতে হয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের মতের যত ভিন্নতা থাকুক না কেন, দেশের বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিনিয়োগ আকর্ষণে কৃষি, ওষুধ, ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, তথ্য-প্রযুক্তিসহ উচ্চমূল্যের তৈরী পোশাক শিল্পে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সম্ভাব্য দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক কূটনীতি, একমুখী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সমৃদ্ধ করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে দেশের অর্থনীতির সঙ্কট কাটানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com

https://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/818260