২৯ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:০৫

শীতের আগাম সবজি চাষে বিপর্যয়

ঋতু বৈচিত্র্যের খেলায় এখন চলছে ভাদ্র মাস। বর্ষা শেষে শরৎ এলেও অনেক জেলা এখনও অথৈ পানিতে নিমজ্জিত। ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের চাষাবাদ। বাজারে শাক-সবজির অভাব চলছে। সব রকম সবজি ও তরিতরকারির দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় একটু উঁচু জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন অনেক কৃষক। শীতের সবজি আগাম চাষ করে বাজারে আনতে পারলেই ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাই শীতের আগেই শীতকালীন সবজি বাজারে আনতে কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত। কোনো কোনো এলাকার চাষি আগেভাগেই ক্ষেতে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, টমেটো, বেগুন, লাউ, লালশাক, করলা, ঢেঁড়শ, পালংশাক, পুঁইশাক এসব সবজি চাষ করছেন।

এই ভাদ্র মাসে ক্ষেতে চারা রোপণ করলে কার্তিকের শুরুতে সবজি বাজারে আনা যাবে। এতে সবজির ভাল দাম পাওয়া যাবে। সে আশায় কৃষক আগাম শীতের সবজি চাষ করছেন। তবে গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে এবারের আগাম শীতকালীন সবজি চাষে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে বীজ তলা। আবার অনেক এলাকায় সবজি ক্ষেতও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে শীতের আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লাভের আশায় আগাম চাষ করে অনেক কৃষক এখন দু’চোখে সরষে ফুল দেখছেন। শুধু সবজি নয় আমন চাষেও অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর বঙ্গে ভারি বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে তিস্তা পাড়ে তলিয়ে গেছে আমন ধানের এবংসবজির ক্ষেত। আমনের ক্ষতির ফলে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ব্যাহত হবে এবং তাতে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ভাদ্র মাসের এ বৃষ্টিতে শীতের আগাম সবজি চাষে কোন কোন জেলায় সামান্য ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে এটা কৃষির জন্য বেশ উপকারি। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে এ বৃষ্টি চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাদ্র মাসের এ বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কোথাও তেমন ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্র এখনো আসেনি। তবে টানা বৃষ্টিতে যাতে সবজির বীজতলার ক্ষতি না হয় সে জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ভাল করে ঢেকে রাখার জন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা সব সময়ই কৃষকদের সব বিষয় তদারকি করছেন।

তবে কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু এলাকায় প্রায় সারা বছরই আগাম জাতের শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, পুঁইশাক এসব চাষ হয়। এর ফলে এসব সবজি বাজারে সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে এবছর বর্ষায় অনাবৃষ্টি এবং বর্ষা শেষে হঠাৎ ভারি বৃষ্টির ফলে ওই এলাকার সবচি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন, কাঁচা মরিচ, পটল, ঢ্যাড়স, করলা এসব চাষে ব্যাঘাত ঘটেছে। আর তাই বাজারে এখন প্রায় সব জাতের সবজির দাম বেশ চড়া। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকার বেশি। বেগুন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি। করলার দাম ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি। অন্যান্য সবজির দামও ৬০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় ভাদ্রের এ বৃষ্টিতে সবজি চাষে যে ক্ষতি হয়েছে আগামীতেও তারও একটা বিরূপ প্রভাব থাকবে বাজারে।
শীতের আগাম সবজি চাষের মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট নিচে তুলে ধরা হলো।

রাজশাহী থেকে রেজাউল করিম রাজু জানান, এ অঞ্চলটি সব সময় শাক-সবজি উৎপাদনে উদ্বৃত্ত অঞ্চল। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। তবে এবার অনাবৃষ্টি, খরা এসব কারণে কৃষকরা আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। কেউ কেউ সেচ দিয়ে চাষ করছেন তাতে লক্ষমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। তবে ভাদ্রের এই সামান্য বৃষ্টি আগাম সবজি চাষে কিছুটা হলেও উপকার বলে বলে কৃষকরা বলছেন। এবার বরেন্দ্র অঞ্চলের (রাজশাহী, চাপাইনববাবগঞ্জ, নওগা, নাটোর) সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৩৮০ হেক্টরে। এরমধ্যে রাজশাহীতে চার হাজার হেক্টর, নওগায় ১৯৭০ হেক্টর, নাটোরে ৪৩১০ হেক্টর, নবাবগঞ্জে ২১০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে রাজশাহীতে ২৮৬৮ হেক্টর, নওগায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী ২০৫০ হেক্টর, নাটোরে ৩১৮০ হেক্টর, চাপাইনবাবগঞ্জে ১৫৮০ হেক্টরে। সবমিলিয়ে ৯৭৭৮ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় হাজার হেক্টর কম।

বগুড়া থেকে মহসিন রাজু জানান, ভাদ্র মাসের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশের মত বগুড়ায়ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের একদিনেই ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বগুড়ার আবহাওয়া অফিসের মতে এই বৃষ্টিধারা স্বভাবিক নয়। অপরদিকে কৃষি বিশেষজ্ঞদের অভিমত এই বৃষ্টি এ অঞ্চলের আগাম সবজি চাষের জন্য ক্ষতিকর।

বগুড়া কৃষি বিভাগের সুত্র জানায়, গত একদশক জুড়ে বগুড়া অঞ্চলের উঁচু জমিতে এসময় বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষাবাদের প্রচলন শুরু হয়েছে। এরফলে প্রায় সারা বছরই এ জেলায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, পালংশাক সবজি বাজারে সারাবছরই পাওয়া যায়। এবারের বৃষ্টিতে আগামজাতের শীতকালীন সবজিতো বটেই একই সাথে মৌসুমের ফসল, মরিচ, পটল, ঝিঙে, মেটে লাউ প্রভৃতিরও প্রভুত ক্ষতি হয়েছে। এরফলে বাজারে সবকটি সবজির দাম বেড়েছে। লাউ কুমড়ো, বেগুন পটল, করলার দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকার নীচে নয়। এই সুযোগে আলুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে মজুমদাররা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ থাকা সত্ত্বেও আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বগুড়ায় এখন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫/৬০ টাকা দরে।

বগুড়া সদরের শাখারিয়ার সবজি চাষী মামুন বলেন, আশা করে একবিঘা জমিতে পাতা ও ফুলকপি এবং পালংশাক বুনেছিলাম। কিন্তু অকালবৃষ্টিতে সব শেষ। এনজিও থেকে কিস্তি তুলে তিরিশ হাজার টাকা খরচ করে জমি প্রস্তত করেছিলাম। আশা ছিলো এক লাখ টাকার ফসল পাবো। কিন্তু বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। মামুনের মতই কয়েক হাজার সবজি চাষীর স্বপ্ন এখন অসময়ের অকাল বর্ষনে ধুয়ে গেছে।

যশোর থেকে শাহেদ রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন যশোরের সবজি চাষিরা। দেশের সবজি জোন হিসেবে পরিচিত যশোর সদরের চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর, লেবুতলা, ইছালী, নওয়াপাড়া ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ইতিমধ্যে শত শত বিঘা শীতকালীন সবজি আগাম রোপণ করেছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে। ভারি বৃষ্টিপাত না হলে তেমন ক্ষতি হবে না বলে অনেক কৃষকের অভিমত। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বীজতলার মালিকদের। সবজি রাজ্যখ্যাত যশোর জেলায় ৪ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। সবজিতে ভরে গেছে যশোরের ফসলের মাঠ। মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ নজর কাড়ছে সবার।
জেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ কৃষকদের রোপণকৃত বাহারি সব সবজি ক্ষেত। মৃদু বাতাসে দুলছে সব সবজির ক্ষেত। সবজির সাথে সাথে দুলছে কৃষকের স্বপ্নও। টানা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে সবজির ক্ষেতে জমতে শুরু করেছে পানি। চাষিরা ক্ষেত থেকে পানি সরাতে মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আব্দুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ বীজতলায় পানি জমেছে। হৈবতপুর গ্রামের কৃষক ইয়াদুল বলেন, এই বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে মূলা চাষিদের। মূলায় একটু বৃষ্টির পানি পেলেই পচন শুরু হয়। চুড়ামনকাটির কৃষক দিনার গাজী জানান, বৃষ্টি যা হয়েছে তাতে কৃষকদের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে এই বৃষ্টি আর অব্যাহত থাকলে পটল, সিম, মূলা, পাতা কপি, বাঁধা কপি ও বেগুন চাষিদেরও ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে থাকলে সবজি গাছের গোড়ায় দেখা দেবে পচন। আব্দুলপুর গ্রামের বাঁধাকপি ও ফুল কপির চারা তৈরিকারী সফল কৃষক রিকো জানান, আগাম চারা রোপণে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চারা রোপণকারী কৃষকদের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে।

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন জানান, শ্রাবণের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে ভাদ্রের প্রথমদিকেও টানা বৃষ্টিপাতে কুমিল্লার সবজিখ্যাত উপজেলাগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, লালমাই, বরুড়া, দাউদকান্দিতে ফসল চাষ করতে গিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। কোনো কোনো ক্ষেতে সবজির গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও বীজতলাতেই নষ্ট হচ্ছে চারা গাছ। যার ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যা পুষিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা। এসব উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকই এমন অবস্থায় পুঁজি হারিয়ে শঙ্কায়।

জানা গেছে, এসব উপজেলার সবজি চাষিরা লালশাক, পুইশাক, করলা, শশা, জিংগা, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, কইড়া, লাউ, পটল, দেড়শ, ফুলকপি, পুইশাকসহ চলতি মৌসুমের জন্য সবজির বীজ বা চারা রোপন করেছিলেন। কিন্তু গেলো কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় এবং কোন কোন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় এসব সবজি চাষে বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।

কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতে রোপা আমন ধানের জন্য ভালো হবে এবং ফলনও চমৎকার হবে। তবে ধান বাদে এসময়ে বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষতি হবে অনেক। ক্ষতি হতে পারে আগাম জাতের মুলা ও টমেটো চাষে।

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী জানান, এ জেলার ৯টি উপজেলার ১২টি থানার সবজি চাষীদের মাথায় বাজ পড়েছে। অবিরাম বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলে জেলার সবজি চাষীদের সিংহভাগ চাষী এখন দুঃচোখে সরিষার ফুল দেখছেন। জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত যেমন সবজি চাষীদের ক্ষতি হয়েছে তেমনি সদ্য বোনা আমন ধানের চারা ডুবে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্প্রতি ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিরাজগঞ্জ জেলার নদী তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নিন্মাঞ্চলে আমন ধানের চারা ডুবে গিয়ে কৃষকদের অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক দিনের সবজি আবাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও সংগৃহিত হয়নি। এদিকে মাঠ পর্যায়ের তথ্যমতে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ এলাকায় চলন বিল এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপুরণীয়। ভারী বৃষ্টিপাতে তাদের সবজি ডুবে গিয়ে পঁচে গেছে। চলন বিল এলাকার সবজি চাষী বাবু মন্ডল জানায়, আমাদের নিন্মাঞ্চলে সবজি চাষীদের মাথায় বাজ পড়েছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ জানান, এ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গত কয়েক দিনে লাগাতার প্রবল বর্ষণের ফলে আগাম শাকসবজির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে আগাম শীতের সবজি যেমন, লাউ, শিম, করলা ও ঝিংগা এসবের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এতে বাজারে হরেক রকমের সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ক্ষতির পরিমান কমপক্ষে ১০ হেক্টর। বেসরকারি হিসেবে অনুযায়ী আরও বাড়তে পারে বলে কৃষকরা জানান। সর্বনাশা বৃষ্টির ফলে সবজির ইউনিয়ন গুলোতে কলা বাগানের ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। অনেক কলাবাগান মরে গেছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাক সবজির ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত লাভ করছে, চরআলগী ইউনিয়ন, টাংগাবর ইউনিয়ন, রসুলপুর ইউনিয়ন, পাঁচবাগ ইউনিয়ন ও দত্তেরবাজার ইউনিয়ন। পাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাখচুড়া গ্রামের সবজি কৃষক মোঃ আবদুল আলি জানান, আমরা সবজি চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছি। চড়া দামে বিক্রি করছি সবজি। তবে এবার শীতের আগাম সবজি প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক লোকসান হবে। উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের পাঁচবাগ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম দিদারুল পারভেজ (রাসেল) জানান, আমি নিয়মিত ভাবে সরে জমিনে প্রতিটি কৃষকের বিভিন্ন সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধান দিয়ে থাকি। নিজ ব্লকে সরে জমিনে গিয়ে দেখা শুনা করে থাকি। সবজি এলাকা গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। টানা বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও কৃষক তা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

https://dailyinqilab.com/national/article/598299#google_vignette