১২ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ১২:২৯

আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

ডিম সবজি মাছের বাজারে অস্থিরতাস্টাফ রিপোর্টার: নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। নতুন করে বাড়তে সবজির দাম। সেই সাথে মাছের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আবারও বাড়ছে পেয়াঁজের দাম। মুরগির দাম বেড়েছে গত সপ্তাহে। ডিমের দামও অস্বাভাবিক বাড়তি। সবজি বাজারে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব সবজিই কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশিতে। ক্রেতারা বলছেন, সরকারের মনিটরিংয়ের অভাবে সব কিছুর দাম বাড়ছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি। লাউ ৮০ টাকা, চালকুমড়া ৭০-৮০ টাকা পিস। কাঁচাকলা ৩৫-৪০ টাকা হালি। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সব সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। তবে শসার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। গত সপ্তাহে ৪০-৬০ বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এদিকে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০, দেশি রসুন ২২০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেশি পেঁয়াজ ১৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ডজনের কমে ডিম কিনলে প্রতিটির দাম ১৫ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম আয়ের লোকেদের জন্য এ যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও দাম চড়া। ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আধা কেজি থেকে এক কেজির ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। আগের বাড়তি দামেই গরুর গোশতের কেজি বাজারভেদে ৭৫০থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশতের কেজি এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির কেজি বাজারভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি প্রতি কেজি মুরগি বাজারভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে সব ধরনের মাছ আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের আমিষের জোগানদাতা সিলভার কার্পের কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। দেড় থেকে দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের সিলভার কার্পের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়ার কেজি ২০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙাশ মাছের কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। রুই ও কাতলার কেজি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, বাইম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা, বড় বোয়াল ৮০০ টাকা, ছোট ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের আইড় ৭৫০ টাকা। চাষের শিং মাছ ৫৫০ টাকা। পাবদার কেজি ৬০০ টাকা। মলা মাছের কেজি ৫০০ টাকা।
রাজধানীর চালের বাজারে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। আগে দাম বেড়ে যাওয়া প্রতি কেজি চিকন চাল বাজার ও ধরনভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৬৫ টাকা, পাইজাম ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, স্বর্ণা ও আটাশ চালের কেজি ৫৫ টাকা।

মসুর মোটা ডালের কেজি ১০০ টাকা, চিকন ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা। ছোলার ডাল ৯০ টাকা কেজি। চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, আলুর কেজি ৪০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা।

ভোজ্য তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা। খোলা দুয়েক জায়গায় ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailysangram.com/post/532454