১২ জুন ২০২৩, সোমবার, ৪:০৮

যানজট নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন ও প্রেসক্লাব। এই এলাকায় প্রতিদিন লাখো মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। এই এলাকাতে প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয় অবস্থিত। আরও রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়সহ শাখা কার্যালয়। আছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোর্কারমের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও এই এলাকায় অবস্থিত। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের অফিস অবস্থিত এই এলাকাতেই। এই এলাকায় রাস্তার পাশে রয়েছে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের শোরুম এমনকি রাস্তার ফুটপাতেও জমজমাট হকার মার্কেট। ফুটপাতর সামান্য জায়গাও ফাঁকা নেই। প্রতিদিনই লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত থাকে রাজধানীর এই মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকা।

এদিকে, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এতে গুলিস্তান এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। একারণে এই এলাকা পুরোপুরি যানজটের মধ্যে থাকে প্রতিদিন। আর মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এর প্রভাব পরার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেলের যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের নিবিঘেœ চলাচলের ব্যবস্থা না করে শুধু মেট্রোরেল চালু করাকেই গুরুত্ব দিলে মানুষের ভোগান্তি রয়েই যাবে। এতে যানজট নিরসনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

রাজধানী ঢাকা এই এলাকার সঙ্গে মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এ কারণে সরু হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক। যার জন্য দীর্ঘ ৬ বছর যাবত ভুগতে হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। সবচাইতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে। এই প্রকল্প নির্মাণে পুরো ঢাকা শহরে হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ির মহাযজ্ঞ। কাজের কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে কর্মব্যস্ত মানুষকে।

মেট্রোরেল চালু হওয়ায় ঢাকার রাস্তায় নিত্য যাতায়াতকারীদের একটি অংশ অন্তত স্বস্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তবে রাজধানীবাসী জানিয়েছেন, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে ব্যাপক সুবিধা ভোগ করবে কর্মজীবী লোকজন। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না, যা সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। মেট্রোরেল ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় সফলতা আনার জন্য পারিপার্শ্বিক অন্যান্য সেবা বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

তবে মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় এমনিতেই ব্যস্ত এলাকা তার উপর নভেম্বরে মেট্রোরেল চালু হলে আরো ব্যস্ত এলাকায় পরিণত হবে। বিশেষ করে মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসা ও যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে লোকজনের ভিড় থাকবে। স্টেশনের বাইরে বের হবেন অনেকে এতে জনজটের সৃষ্টি হতে পারে এতো লোকজনের এক সাথে নামা ও ওঠার কারণে সৃষ্টি হবে যানজটের। এতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন মেট্রোরেলের যাত্রীসহ সাধারণ লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যস্ত এই এলাকার রাস্তার পাশের দোকান ও অবৈধ স্থাপনা না সরালে সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে যাত্রী চলাচল শুরু করলেও এখনো বাকি রয়েছে আরো দুই ধাপ। কমলাপুর পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রো রেল চলবে ২০২৫ সাল নাগাদ। তবে চলতি বছর নভেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। নভেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বর্তমানে চালু রয়েছে মেট্রোরেল। আগে দিনে ছয় ঘণ্টা চলাচল করলেও সময় বাড়িয়ে এখন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা চলছে। আর সাপ্তাহিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করলেও মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলের জন্য প্রস্তুত করতে মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান আগামী জুলাই থেকে শুরু হবে। অপারেশনাল সব কাজ ঠিক রেখে উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচলের জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই অক্টোবরের শেষ কিংবা নভেম্বরের শুরুর দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রো চলাচল পুরোদমে শুরুর আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে মেট্রোরেলের ওপরে ও নিচের স্টেশনগুলোর প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জায়গায় শেষ মুহূর্তের কাজ।

মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া ইতোমধেই জানিয়েছেন, ভৌত অবকাঠামোর কাজ শেষ হলে শুরু হবে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। এরপর জুলাই মাসে পুরো পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ডিসেম্বরে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর লক্ষ্য ছিল আমাদের। তবে সরকার নভেম্বরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়ায় এখন আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরিচালনা করার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা থাকলেও আমরা এর আগেই যাত্রী পরিবহন শুরু করতে কাজ করছি। অক্টোবরের শেষের দিকে না হলেও নভেম্বরের শুরুর দিকে পুরোদমে চলাচল শুরু হবে বলে ধারণা করছি। যাদের এমআরটি পুলিশের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেবো। আমরা চাই যাদের এমআরটি পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা যেন প্রযুক্তিগত দক্ষ হন, এ বিষয়টি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীর যানজট কমাতে ২০১২ সালে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে প্রকল্প নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা), বাকি পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে মতিঝিল থেকে বাড়িয়ে মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত কাজ হয়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো কাজকে ৯টি প্যাকেজে বিভক্ত করে কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ ৫-এর অধীন আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট। বর্তমানে এই প্যাকেজের আওতাধীন মেট্রো রেলস্টেশনগুলোয় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের কাজ করা হচ্ছে। প্যাকেজ-৬-এ কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে রুফ শিট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। মতিঝিল মেট্রো রেলস্টেশনে রুফ শিট বসানোর কাজ চলছে। এই প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেসব স্টেশন রয়েছে, সেসব স্টেশনে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। মাটির নিচেও বেশ কিছু কাজ রয়েছে এবং ওপরেও কিছু রয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে সচিবালয় এলাকায় মেট্রোরেলের স্টেশন পড়েছে, তা একেবারে সচিবালয়ের দেয়ালের ভেতরের অংশে গিয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে যে দেয়াল দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া হয়ে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশনে মেট্রো চলাচল করছে। মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশন হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে মেট্রো।

আগামী জুলাই মাস থেকে পারফরম্যান্সের টেস্ট ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট রয়েছে। তারপর ট্রায়াল রান শুরু হবে। মেট্রোরেল চলাচলের সবচেয়ে বড় বিষয় অপারেশনাল, সেটি ঠিক রাখতে হবে। টেস্ট ও ট্রায়ালগুলো একই সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পর থেকে মে মাস পর্যন্ত অনেকেই মেট্রোরেল চলাচলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর অনেকেই নতুন ব্যবহারকারী হওয়ায় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এখনও অবগত হতে পারছেন না। তারা আস্তে আস্তে মেট্রোরেল ব্যবহার করলে এসব বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন। এ জন্য সেবা সহায়ক হিসেবে স্কাউট ও মেট্রোরেলের দায়িত্বরত সদস্যরা প্রতিটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় টিকিট পাঞ্চ এবং টিকিট রাখার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে।

বর্তমানে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে স্টেশনের ভেতরের কাজ। এর মধ্যে রয়েছে স্টেশন কন্ট্রোলরুম স্থাপন, বিদ্যুতের সাবস্টেশন স্থাপন এবং প্ল্যাটফরমের অবকাঠামোর কাজ। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মতিঝিল পর্যন্ত রেললাইন বসানোর কাজ। বর্তমানে চলছে স্টেশনের ভেতর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে। এরপর ৪৫ দিনের পরিচালনগত পরীক্ষা শেষে যাত্রী নিয়ে এই পথে চলতে শুরু করবে মেট্রোরেল।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, এখনো আমাদের দেশের গণপরিবহনগুলো গণমানুষের পরিবহন হতে পারেনি। হোক এটা মেট্রোরেল, এটাকে গণমানুষের উপকারে আসতে হবে। আমি মনে করি মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আসলে যানজট কমে আসতে পারে। তবে অবকাঠামোগত সকল কাজ হতে হবে সাধারণ যাত্রী বান্ধব। আর যাত্রী বান্ধব ব্যবস্থাপনা না থাকলে এই উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হতে পারে। ট্রাফিক বিভাগ ও সড়ক বিভাগের সকল ইউনিটকে মানুষের কাল্যাণে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক ইনকিলাবকে বলেন, একটি মেট্রো পুরো শহরের যানজট নিরসন করতে পারবে না। মেট্রো প্রকৃতপক্ষে সেবাধর্মী ও একটি শহুরে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটা ঘনঘন বিভিন্ন স্টেশনে থামবে এবং শহরের মাঝেই সেবা দেবে। কিন্তু এটার একটি নেটওয়ার্ক যখন হবে তখন মূল্যায়নটা করা যাবে। তবে মেট্রোরেল করিডোরে যারা বসবাস করছেন তারা অবশ্যই যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য ও নির্ভরতা পাবেন। যানজট নিরসন, মানুষের কর্মঘণ্টা ঠিক রাখা ও পরিবেশ ভালো রাখার জন্য মেট্রোরেলের উদ্যোগ। মতিঝিল, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় মানুষের চলাচল বেশি থাকে। মেট্রোরেল চালু হলে এক সাথে অনেক মানুষ ওঠা-নামা করবে। সেক্ষেত্রে যানজটের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। এছাড়া মেট্রোরেলের পাশে রাস্তায় পরিবহনগুলো যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করানো হলে যানজট বেড়ে যাবে। আবার ফুটপাথের উপর পিলার থাকার কারণেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। মূলত রাস্তার মোড়গুলো বিজ্ঞান ভিত্তিক উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

https://dailyinqilab.com/national/article/580469