১২ জুন ২০২৩, সোমবার, ৪:০৩

চিনির দাম ১৫০ টাকা করতে চান ব্যবসায়ীরা

খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। পাশাপাশি পাম তেলের দামও লিটারপ্রতি ২ টাকা কমানো হয়েছে। তবে চিনির দাম বাড়াতে চায় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের ৭ম সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। যা আগে প্রতিলিটার ১৯৯ টাকা ও ১৭৭ টাকা ছিল। আর খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা এবং বোতলজাত সুপার পাম তেল লিটারে ১৬৭ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬৫ টাকা করা হয়েছে। নতুন এই দাম আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে কার্যকর হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও কমতির দিকে। এ কারণে ১৫ দিন পর ভোজ্যতেলের দাম আরও কমানো যায় কিনা সে চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে এক মাস আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ১২০-১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ব্যবসায়ীরা তা মানেননি। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩৫ ও প্যাকেট চিনি ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছে। তবে এবার সরকারিভাবে খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম ১৪০ ও প্যাকেট চিনির দাম ১৫০ টাকা নির্ধারণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এ ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, চিনির প্রধান উৎস ব্রাজিল ও ভারত। তবে এই মুহূর্তে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ফলে টিসিবির আন্তর্জাতিক টেন্ডারের চিনিও দেশে আনা সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিকভাবে চিনির একটা সংকট যাচ্ছে। চিনির দাম প্রতি টন ৪৫০ ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ৭০০ ডলারে ঠেকেছে। বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল হলে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল করাটা খুবই কঠিন। বাণিজ্য সচিব বলেন, মাসখানেক আগে আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেটাও রক্ষা করা যায়নি। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছিল। এ কারণে আমাদের মিলাররা দাম বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আন্তর্জাতিক বাজারে দামটা আরও বেড়ে যায় কিনা এ নিয়ে সবার মধ্যে একটা শঙ্কা আছে। ব্যবসায়ীদের মূল্য বাড়ানোর নতুন প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের প্যারামিটার বিশ্লেষণ করে দেখব যে আসলে পরিস্থিতি কী? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যদি কমতির দিকে থাকে, আমি আশা করি দাম হয়তো আর বাড়বে না।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করেছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমি জানি না। তবে যখন আমদানি বন্ধ থাকে তখন হয়তো ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারেন যে-চাহিদা বেশি, আমরা দাম বাড়িয়ে দেব। ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/684920