৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৫২

মূল্যস্ফীতির মাথাচাড়া

১১ বছরে সর্বোচ্চ : শহরে ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। গত মার্চ থেকে সাধারণ মূল্যসূচক পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৯ শতাংশের উপরে। আর মে মাসে এই মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে খাদ্য খাতে। তবে শহরে ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করছে। গত এপ্রিলে এই হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) গতকালের হালনাগাদ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, সার্বিকভাবে মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, গোশত, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এ ছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়তি।
মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) খাতে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার মে মাসে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা এপ্রিলে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা এপ্রিলে ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে এই মূল্যস্ফীতি মে মাসে বেড়ে হয়েছে ৯ দশকি ৮৩ শতাংশ। এপ্রিলে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

শহরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার বেশি। সাধারণ মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর খাদ্য খাতে এই হার ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে এই হার কমে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে। যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বলে বিবিএস জানায়।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/753380