১ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৯:৪৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ

করোনা আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নিন্ম আয়ের মানুষ সংকটে ছিল বছর জুড়েই। এর প্রভাবে বেকার আর দারিদ্রতা বাড়লেও তা কাটিয়ে উঠবে দেশ এমনটা আশা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে লকডাউন থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। সারা বছর ধরেই টালমাটাল ছিল দেশের বাজার ব্যবস্থা। তবে নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কিত অর্থনীতিবিদরা। যা ২০২২ সালে আঘাত হানতে পারে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে।

মহামারির কারণে দীর্ঘদিনের জড়তা কাটিয়ে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকা- গতি পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায়। বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা বাড়াচ্ছে রপ্তানি আয়। এতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হচ্ছে আমদানিতে। ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ায় সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়তে শুরু করেছে।

করোনাকালে নতুন করে দেশে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। এক জরিপে দেখা গেছে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ ভাগ। জরিপে উঠে এসেছে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দেশে দরিদ্র ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জরিপে যারা সাধারণত দারিদ্র্যসীমার ওপরেই বসবাস করেন, কিন্তু যেকোনো অভিঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন, তাদের নতুন দরিদ্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত যেখানে শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৫৯ শতাংশ, সেখানে গ্রামাঞ্চলে তা ৪৪ শতাংশ। জাতীয় পরিসরে নতুন দরিদ্রের হিসাব (১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ) করা হয়েছে। ফলে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার সামগ্রিকভাবে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

জানা গেছে বছর জুড়েই উর্ধ্বগতি ছিলো নিত্য পণ্যের বাজার। ৯০ টাকার সয়াবিন তেল বছর শেষে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গেলো বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার দাম উঠা নামা করেছে পেঁয়াজের বাজার। বেড়েছে চালের দাম। এ তালিকায় রয়েছে আটা,চিনি,ডাল,মুরগিসহ বেশ কয়েকটি পণ্য। এ নিয়ে সারা বছর সরকার চেষ্টা করেও কোন সুফল পায়নি।

আমদানি-রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির অন্যান্য সূচক বিশ্লেষণ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা নিশ্চিত বলা যায় যে, কোভিডের অচলাবস্থা ভেঙে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বস্তিকর গতি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

উৎপাদন পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে না গেলেও কাছাকাছি পর্যায়ে গেছে। এটা একটা ইতিবাচক পর্যায়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের প্রথম ৩/৪ মাসের মধ্যে হয়তো আমরা কোভিডের বিরূপ প্রভাব থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারবো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আমদানি ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমদানিতে এক হাজার ২৬৭ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম চার মাস শেষে রপ্তানি আয়ে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে মোট রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৫৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকা-ে গতি আসার এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান ঝুঁকিগুলো কমিয়ে এনে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তারা।

আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি ফিচ সম্প্রতি বাংলাদেশের রেটিং আগের মতো ‘বিবি মাইনাস’ বজায় রেখেছে। গত ৮ নভেম্বর প্রকাশিত পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের কোভিড পূর্ববর্তী প্রবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে মহামারী পরবর্তী সময়ে জিডিপি অনেক ভালো হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী বছর ২০২২ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আভাস প্রতিষ্ঠানটির। তবে বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতির অবনতি হলে তা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ফিচের পর্যবেক্ষণে।

এতে বলা হয়েছে, আগস্টের পর থেকে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ কমছে এবং টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে টিকার সরবরাহের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ হতে শুরু করেছে। তবে টিকাদানের হার খুবই কম। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ পুরোপুরি টিকার আওতায় এসেছে।

এসময়ে সরকারের বড় প্রকল্পগুলোও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই ৩/৪টা বড় বড় প্রকল্প চূড়ান্তভাবে শেষ হবে। মেট্রোরেল, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডুয়েল ট্র্যাক লাইন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেলগুলো মনে হয় শেষ হবে। এগুলো বড় প্রকল্প, এগুলোর একটা প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে।

আমদানি-রপ্তানির উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হলেও আমদানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫০ কোটি ৩০ লাখ (৬.৫ বিলিয়ন) ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তা তিন গুণেরও বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এ তিন মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২০৪ কোটি (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামও বলছেন বাংলাদেশে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় অর্থনৈতিক কর্মকা- বেশ গতিশীল হয়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কাঙ্খিত মাত্রায় না আসায় কিছুটা সতর্ক পর্যবেক্ষণ তার।

তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে, বিশেষ করে ইউরোপে এখনও স্বাভাবিক চলাফেরায় অনেক সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণে কাঙ্খিত পরিমাণ নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি।তবে যেসব বিদেশি কোম্পানির আগে থেকেই এ দেশে বিনিয়োগ রয়েছে তারা প্রয়োজন মতো নতুন বিনিয়োগ করছে। আবার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কোভিডের মধ্যেও ‘ভার্চুয়াল কনফারেন্স’ করে বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, কিন্তু ভ্রমণে বিধিনিষেধ থাকায় অনেক কিছুই থেমে আছে। সে কারণে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোভিডের প্রভাবমুক্ত হতে আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শুধু পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। অর্থমূল্যের হিসাবে এ সময়ে ৪৮৪ কোটি ডলার সমমূল্যের কাঁচামাল আমদানি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ২৮৭ কোটি ডলার।

অন্যান্য শিল্পপণ্যের মধ্যে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানি হয়েছে ২৪ কোটি ডলার, যা আগের বছর ছিল ১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। তৈল বীজ আমদানি হয়েছে ২৯ কোটি ডলার যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৬ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ।

অন্যান্য আমদানি পণ্যের মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য এসেছে ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ৭২ কোটি ৭০ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। প্লাস্টিক ও রাবার পণ্যের কাঁচামাল এসেছে প্রায় ৯৫ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ৫৩ শতাংশ। আয়রন, স্টিল ও অন্যান্য ধাতব পণ্যের কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ১৬৬ কোটি ৯ লাখ ডলারের যা আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল মাত্র ৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ৭৪ শতাংশ।

এছাড়া শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মূলধনি পণ্য আমদানিতেও হয়েছে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এ তিন মাসে ৩৬৯ কোটি ডলার সমমূল্যের মূলধনি পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৬৩ কোটি ডলার।

শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল- ইপিজেডগুলোর জন্য বিশেষভাবে আমদানি হয়েছে ১১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য, গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এসেছিল মাত্র ৬৯ কোটি ৪০ লাখ।

অর্থনৈতিক কর্মকা-ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক রপ্তানিতেও অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পণ্য রপ্তানির পর অক্টোবরেও তা আরও বেড়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকায় ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে রপ্তানিখাত।

ইপিবির তথ্য বলছে, অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের অক্টোবরে আয় এসেছিল ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরেও একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে রপ্তানি আয় হয়েছে এক হাজার ৫৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

অর্থনৈতিক কর্মকা- চাঙা হওয়ায় কর্মসংস্থানের বন্ধ দুয়ারও খুলছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। অধিকাংশ কারখানাতেই নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে থেমে থাকা সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে।

রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ খাতে নতুন দক্ষ কর্মীরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বড় কারখানায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের চাহিদা তৈরি হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে।

শুধু তৈরি পোশাকে ২৫ লাখ শ্রমিক হিসাব করলেও এ খাতে নতুন করে আরও তিন লক্ষাধিক মানুষের কর্মস্থল তৈরি হয়েছে, যদিও এর সুশৃঙ্খল কোনো তথ্য নেই।তবে চীনের কাঁচামালনির্ভর উভেন পণ্যে ক্রয়াদেশের বিপরীতে কাঁচামাল ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশাঙ্কা প্রকাশ করে নজরুল ইসলাম বলেন, চীনে কারখানাগুলো বন্ধ রেখে রেশনিংয়ের মাধ্যমে সপ্তাহে ২/৩ দিন করে উৎপাদন করছে। ফলে উভেন ফেব্রিক্সের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

https://dailysangram.com/post/476100