২৩ জুন ২০২১, বুধবার, ১২:৫১

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা

৮ দিন ধরে পানিবন্দী ডিএনডির লাখো মানুষ

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫, ৬৬, ৬৭ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় গৃহবন্দী রয়েছে ডিএনডির অভ্যন্তরের লাখো মানুষ। গত ১০ দিন ধরেই আকাশজুড়ে চলছে সাদা-কালো মেঘের লুকোচুরি খেলা । আষাঢ়ের আট দিন পার হলেও নিয়মিত বর্ষণ কমেনি। তবে কখনো পরিষ্কার আকাশ আবার কখনো কালো মেঘের ভেলায় এসে নামছে বৃষ্টি। গত ৩ দিনের টানা বর্ষণে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর গত আট দিনের দফায় দফায় বৃষ্টিতে ডেমরার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিএসসিসির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল পূর্ব-ডগাইর, ডগাইর গ্রিন সিটি এলাকা, সানারপাড়, পশ্চিম সানারপাড়, কোদালদোয়া দেইল্লা-বামৈল, মুসলিমনগর, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব-বক্সনগর, হাজী রোড এলাকা, আমতলা, পশ্চিম বক্সনগর ও মাকাশরোডসহ ৭০ নং ওয়ার্ডের পাইটি এলাকার প্রতিটি নিম্নাঞ্চলই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষণের পানিতে তলিয়ে আছে এখানকার বহু রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা, দোকানপাট, ফসলি জমি, নার্সারি, সবজিক্ষেত, এমনকি মানুষের বসবাসের ঘরে পর্যন্ত পানি ঢুকে গিয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে দিনমজুর ও সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ কোনো কাজে বের হতে পারছেন না। এতে সংসার, ঘর ভাড়া ও মাসের বাড়তি খরচ জোগান দিতে দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এসব নিম্নাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতি বৃষ্টি তো দূরের কথা সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বেশি জলাবদ্ধতায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এই এলাকায়। এ দিকে ডেমরার বিভিন্ন নিচু এলাকাগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। তা ছাড়া বর্ষণের পানির সাথে কলকারখানার ও বাড়িঘরের বর্জ্য পানি মিশে জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কিন্তু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ দিকে আষাঢ়ের মাঝামাঝিতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৬৬, ৭০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ ও আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, ওয়ার্ডের নি¤œাঞ্চলগুলোতে দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রয়েছে নানা পরিকল্পনা যা দ্রুত বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। তবে প্রতি বছরের মতো এবারো লাগাতার বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি জমে তলিয়ে গেছে কিছু এলাকা। সিদ্ধিরগঞ্জ পাম্প হাউজ পানি থেকে পানি টানা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার পানি চলে যাবে। তবে অতি বৃষ্টি হলে সমস্যা কিছুটা হতে পারে। তা অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/590026/