২০ জুন ২০২১, রবিবার, ১২:৫৯

দেড় মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু

করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। ঢাকায় দ্বিগুণ হারে রোগী বাড়ছে। দেশে গত সপ্তাহের তুলনায় করোনা রোগী শনাক্ত ৫৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে। সংক্রমণের কারণে আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যু বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৪৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৪৬৬ জনে। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৭ জন। মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণ বাড়লেও দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

সরকার দফায় দফায় বিধি নিষেধ বাড়ালেও তা মানাতে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই শনিবার থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া আবার শুরু হয়েছে। চীন থেকে পাওয়া সিনোফার্মের টিকা প্রথম দিন শুধু মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে। ওদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, ৫২৮টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৪৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৬ হাজার ৯৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৫ হাজার ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৭ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন নারী রয়েছেন। এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৫৭ জন এবং নারী ৩ হাজার ৮০৯ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের উপরে রয়েছেন ২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ জন, সিলেটে ১ জন, রংপুর বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে ৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৭ জন এবং বাসায় ৩ জন মারা গেছেন।

এদিকে ঢাকা বিভাগেও শনাক্ত বাড়ছে প্রতিদিনই। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণ। একই সময়ে ঢাকা জেলায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। একদিনে খুলনা বিভাগে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

আবার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু: চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান শুরুর প্রথম দিন শুধু বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। শনিবার টিকা দেয়া হয়েছে সারা দেশের ৬৭টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে চারটি ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায়, বাকি ৬৩ জেলায় একটি করে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ’র লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন এমন নাগরিকদের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা টিকা পাচ্ছেন। যেসব জেলায় মেডিকেল কলেজ নেই সেখানে নার্সিং বা মিডওয়াইফারি বা হেল্‌থ টেকনোলজিস্টরা টিকা নেবেন। কিন্তু আগামী ৩-৪দিন আমরা শুধু স্বাস্থ্যখাতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদেরই টিকা দেবো। পরের বিষয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যদের টিকা দেওয়া শুরু করলে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ কারণে আগে তাদের দিয়ে শেষ করে দেবো, তিন-চার দিন পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি আমরা। সিনোফার্মের মোট ১১ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে। তা দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া যাবে।

সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫শে মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চমবর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা আসে। দেশে ৭ই ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তির পর দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যায়। এরপর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ডোজ দেয়া নিয়ে বেকায়দায় পড়ে। ফলে টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ দেওয়া ২৫শে এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিতে হয়। এখন শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হলেও মজুত শেষ পর্যায়ে।

ওদিকে ফাইজার-বায়োএনটেকের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার (২১শে জুন) থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু হবে।

নিবন্ধন করেও যারা টিকা পাননি, তাদের মধ্য থেকে আপাতত ১২০ জনকে দেয়া হবে ফাইজারের ডোজ। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ উদ্বোধনের দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এদিন টিকা গ্রহীতা ১২০ জনের বেশির ভাগই থাকবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী।

জানা গেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাতদিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একযোগে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা।

কোথায় আছে বিধিনিষেধ: করোনায় তাণ্ডব ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। দীর্ঘ হচ্ছে এই সংখ্যা। প্রতিদিনই ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী। সরকারের নানা পদক্ষেপেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে টানা বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলেও একের পর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাড়ানো হয়েছে এ বিধিনিষেধ। গত বুধবার যা আরও এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ বাড়ালেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া খোলা রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শর্ত যোগ করে মেয়াদ ১৬ই জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ই জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিধিনিষেধের সময় বৃদ্ধি করে সবকিছু খুলে দেয়ায় সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সবকিছু খোলা রয়েছে। তাহলে কোথায় আছে বিধিনিষেধ। মানুষ ইচ্ছামতো বাসা থেকে বের হচ্ছেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাহিরে আড্ডা দিচ্ছেন। সভা-সমাবেশ করছেন। শপিংমল, হাটবাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাচলও করছেন। সবকিছুই যখন চলছে, তাহলে কোথায় আছে বিধিনিষেধ? সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো নিয়ম কানুন মানা হচ্ছে না। সরকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করায় জনগণ করোনাভাইরাসকে পাত্তাই দিচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শপিংমল, সড়ক, ফুটপাথ, গণপরিবহন ও নৌপথে বাড়ছে মানুষের চাপ। হোটেল-রেস্তরাঁয় বেড়েছে আড্ডা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। যে যেভাবে পারছেন, পূর্বের ন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিচ্ছেন। কার্যকর হচ্ছে না ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কার্যক্রম।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একের পর এক বের হয়ে আসছে লাশ। স্বজনের কান্না ও আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হলেও, কেউ কেউ ফিরছেন লাশ হয়ে। আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির এলাকায় আতঙ্কিত অনেকে। আছে ভয়ও। বেশকিছু এলাকায় ইতিমধ্যে লকডাউন করেছে সরকার। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনো সচেতন হয়নি মানুষ। মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মার্কেট, শপিংমলে কেনাকাটাসহ গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন কেউ কেউ। করোনা সংক্রমণের ভয় থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখাচ্ছেন তারা। এতে বার বার বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও মানানো যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজার ও শপিংমলগুলোতে বেড়েছে ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি। তাদের অধিকাংশই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাচল করছেন তারা। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করলে মাস্ক পরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও, পরক্ষণে সবাই মাস্ক খুলে নিচ্ছেন। গণপরিবহনে এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করার কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। এখনো প্রায় সকল বাসেই সিট পূর্ণ করে যাত্রী পরিবহন করছে। বিআরটিসি বাসে যাত্রী ঝুলিয়ে নিতেও দেখা যায়।

গতকাল বিকালে কাওরান বাজার সিগন্যালে রাশেদুল ইসলাম শিহাব নামের একজন জানান, সরকার শুধু বিধিনিষেধ জারি করে। তবে তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। বাসের চালক-হেলপারের মুখে নেই মাস্ক। প্রতিটি সিটে যাত্রী তুলেও ভাড়া নিচ্ছে দেড়গুণের বেশি। বাসে ওঠানামার সময় একজনের গায়ে লেগে আরেক জনকে যেতে হয়। মো. কাউছার মিয়া নামের একজন বলেন, শুরু থেকে সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতো তাহলে করোনার বিস্তার ঘটতো না। ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধির কারণেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে। বারবার বিধিনিষেধ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। সবকিছু চলমান থাকায় দেশের মানুষ বুঝতে পারছেন না, আসলে বিধিনিষেধ কি?।

কাওরান বাজারে আম বিক্রেতা সবুজ বলেন, বিধিনিষেধ থাকলে এতো মানুষ বাহিরে কেন?। নারী পুরুষ বাজারে, মার্কেটে ভিড় করছে। মাস্ক ছাড়া সবাই চলাচল করছেন। এখনো অর্ধেকের বেশি মানুষের মুখে নেই মাস্ক। খাবার হোটেলগুলোতে বসে খাওয়ার জন্য সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সবকিছু খোলা রেখে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। বিধিনিষেধ দীর্ঘসময় ধরে চলার কারণে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যার কারণে সংক্রমণ কমছে না। শপিংমল, হাটবাজার আগের মতোই চলছে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে বিধিনিষেধের প্রতি জোর দিতে হবে। সংক্রমণ কমাতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিকল্প কিছু নেই। সবাইকে ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে। সচেতন জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনা সম্ভব হয়। এ ছাড়া যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, শুধু বিধিনিষেধ দিয়েই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি রক্ষা করতে হবে। সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন অফিস খোলা রেখে শুধু আইসোলেশনের ওপর জোর দিলে করোনার প্রভাব সহজে কমবে না। পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন, টেস্ট, নমুনা শনাক্তের ওপর জোর দিতে হবে। তবে সরকার বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই এটাকে ভালো মনে করছেন।

https://mzamin.com/article.php?mzamin=279502&cat=2