১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৩:১৪

রাজধানীতে থানায় থানায় বাঙ্কার পুলিশের হাতে মেশিনগান

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হামলা ঠেকাতে অন্যান্য জেলার মতো এবার রাজধানীর ঢাকার কয়েকটি থানায় বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি থানায় বসানো হয়েছে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) ও চাইনিজ রাইফেল সম্বলিত চৌকি। এগুলোতে ২৪ ঘণ্টা লাইট মেশিন গান তথা এলএমজি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা গেছে।

গতকাল মতিঝিল বিভাগের ডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, মতিঝিল বিভাগের সবক’টি থানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, পল্টন মডেল, রামপুরা, মুগদা ও শাজাহানপুর থানায় বালুর বস্তা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে থানার বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটিও থানারও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মূলত মাদরাসা অধ্যুষিত এলাকা এবং তুলনামূলক জরাজীর্ণ থানায়গুলোর নিরাপত্তা বেশি দেয়া হচ্ছে। ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, ওয়ারী বিভাগের সব থানায় নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানা, ডেমরা থানা, শ্যামপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, গেন্ডারিয়া থানা ও কদমতলি থানায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।

বংশাল থানার ওসি শাহিন ফকির বলেন, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গত ১০ এপ্রিল থানায় বাংকার তৈরি করা হয়। এসব বাংকারে ২৪ ঘণ্টা এলএমজি নিয়ে প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালায় হরতাল সমর্থনকারীরা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও ঢাকায় হামলা-ভাঙচুর চালায়। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, ভ‚মি অফিস, সড়কে থাকা গাড়ি ও বসতবাড়। এরপরই পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের সবগুলো থানার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার থানার আশেপাশে সবসময় একাধিক দলের টহল ও ঢাকার সব থানার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

এদিকে, গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে বিধিনিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। দুইজন সাংবাদিকদের বলেছি মামলা করতে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছি। থানা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, জাতীয় কোনো ইস্যু না। স্থানীয় প্রশাসন মনে করেছে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো প্রয়োজন তাই করা হয়েছে।

https://www.dailyinqilab.com/article/373699/