১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ৪:৩৫

রাজধানীর মানুষ বধির হয়ে যাচ্ছে

শব্দ দূষণকে বলা হয় নীরব ঘাতক। আর বিশেষ করে ঢাকা শহরে শব্দ দূষণের বহু উৎস রয়েছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্পকারখানা কোন ক্ষেত্রেই শব্দ দূষণ বিষয়ে যেসব নিয়ম রয়েছে তা মানা হচ্ছে না। শ্রবণজনিত সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশে ৫৭ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন। এরমধ্যে শব্দদূষণের কারণে শহর এলাকার মানুষের শ্রবণশক্তি বেশি নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরো ঢাকা শহরই এখন শব্দ দূষণের শিকার। ঢাকা শহরে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে শব্দের মাত্রা স্বাভাবিক আছে। শহরের প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ঢাকার জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ কোনো-না-কোনো ধরনের বধিরতায় আক্রান্ত হবেন। শব্দের মাত্রার একককে বলা হয় ডেসিবেল। দেশে বধিরতার কারণে বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষ কর্মহীন জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনো মাত্রার শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন। বধিরতা সমস্যার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে মধ্যকর্ণের প্রদাহ, আঘাতজনিত সমস্যা, উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে সৃষ্ট বধিরতা। শব্দদূষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার শব্দে হেডফোন দিয়ে গান শোনা, উচ্চমাত্রার হর্ন বাজানো, লাউডস্পিকারের শব্দ ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ঢাকায় সাধারণভাবে যানবাহন ও হর্নের শব্দই শব্দদূষণের মূল কারণ। তবে এর বাইরে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার আরেকটি বড় কারণ। আর রাস্তা ছাড়া বাড়ি বা আবাসিক এলকায় বিয়েসহ নানা সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার এবং গানবাজনাই প্রধান কারণ। কেউ কেউ নিজের বাসায় উচ্চশব্দে গান শোনেন বা অন্য কোনো সাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করেন। এর বাইরে ঢাকাসহ সারাদেশে শিল্পকারখানা এবং যানবাহনকে শব্দ দূষণের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ অনেকে নিজের বাসায়, কমিউনিটি সেন্টারে সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান বাজানোকে কোনো অপরাধই মনে করেন না। এর প্রতিবাদ বা প্রতিকার চাইতে গেলে উলটো হেনস্থার শিকার হতে হয়। এমনকি প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে রাজধানীতে।

হর্ন বাজানো সম্ভবত বাংলাদেশে গাড়ি চালকদের বড় বদভ্যাস। ট্রাফিক সিগনাল ও জ্যামে আটকে থাকার সময় সামনে এগুনো যাবে না জেনেও হর্ন বাজান তারা। সামনে কেউ ধীর গতিতে চললে, পথচারীকে উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত হর্ন বাজানো হয়। যদিও বিধিমালায় বলা আছে কোন ধরনের মোটরযানে শব্দের মান অতিক্রমকারী হর্ন ব্যাবহার করা যাবে না। নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু গাড়ির হর্নে রীতিমতো বধিরতার হার বেড়ে গেছে ঢাকায়। কয়েক বছর আগে পরিবেশ অধিদফতরের এক জরিপে দেখা যায়, দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় শব্দের মাত্রা ১৩০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে গেছে। যা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে আড়াই থেকে তিনগুণ বেশি। আর শব্দের মাত্রা এখন তার থেকে একটুও কমেছে সেটা বলার কোন উপায় নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনের বেলা ৫৫ ডেসিবেল, রাতে ৪৫ ডেসিবেল হওয়া উচিত; বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডেসিবেল, রাতে ৫৫ ডেসিবেল; শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবেল, রাতে ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকা উচিত। আর হাসপাতালে সাইলেন্স জোন বা নীরব এলাকায় দিনে ৫০, রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রা থাকা উচিত। বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের শব্দ পরিমাপ করে দেখেছে, ঢাকায় নির্ধারিত মানমাত্রার চেয়ে গড়ে প্রায় দেড়গুন শব্দ সৃষ্টি হয়। জরিপে দেখা গেছে, উত্তরার শাহজালাল অ্যাভিনিউতে শব্দমাত্রা সর্বোচ্চ ৯৩ দশমিক ৫ ডেসিবেল, মিরপুর-১ এ সর্বোচ্চ ৯৬ ডেসিবেল, পল্লবীতে সর্বোচ্চ ৯১ দশমিক ৫ ডেসিবেল, ধানমন্ডি বালক বিদ্যালয়ের সামনে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ১, ধানমন্ডি ৫ নম্বর সড়কে সর্বোচ্চ ৯৫ দশমিক ৫, নিউমার্কেটের সামনে সর্বোচ্চ ১০৪ দশমিক ১, শাহবাগে সর্বোচ্চ ৯৭ দশমিক ৩ এবং সচিবালয়ের সামনে সর্বোচ্চ ৮৮ ডেসিবেল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন শ্রবণ সমস্যার কবলে পড়বে। অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে শ্রবণশক্তি হ্রাস একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৫৭ লাখ ৬০ হাজার মানুষ কোনো না কোনো ধরনের শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত ডিজিজ, জন্মগত, বয়স ও পরিবেশগত কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়। বেশি শ্রবণশক্তি নষ্ট হয় শহর এলাকার মানুষের। শহর এলাকায় উচ্চ আওয়াজসম্পন্ন গাড়ির হর্ন ব্যবহারে শহরের মানুষের বেশি শ্রবণ সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া মাইক ব্যবহার, জনসভা, শিল্পকারখানা ও পরিবেশগত কারণেও যে শব্দ তৈরি হয়, তার দ্বারা শ্রবণজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শব্দ দূষণ কমিয়ে আনার বিষয়ে মানুষকে সচেতনতা করার কাজ করতে হবে। শহরে যেন গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন ও উচ্চ আওয়াজসম্পন্ন হর্ন ব্যবহার না করা হয়। কারণ এটা ধীরে ধীরে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট করে।

নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু গণমাধ্যমকে বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে এইভাবে শব্দদূষণ অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ কানে কম শুনবে। একটি অংশ পুরোপুরি বধির হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ঢাকার শাহবাগ, মহাখালী বা ফার্মগেট এলাকার শব্দের মাত্রা ১২০ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু ওইসব এলাকায় ৬০ ডেসিবেলের বেশি শব্দের মাত্রা গ্রহণযোগ্য নয়। পুরো ঢাকা শহরে এমন কোনো জায়গা পাওয়া যাবে না, যেখানে শব্দের মাত্রা স্বাভাবিক আছে।
ডা. মনিলাল আইচ লিটু গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থাৎ ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো মাত্রার শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন। ৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ প্রায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী, তাদের দুই কানেই সমস্যা। ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ তীব্র বধিরতায় এবং শতকরা ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ মারাত্মক বা সম্পূর্ণ বধিরতায় আক্রান্ত। উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, বিরক্তি সৃষ্টি হয়। এমনকি গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দদূষণে ক্ষতির শিকার হয়। বয়স্ক এবং রোগীরা এই শব্দ দূষণের বড় শিকার। বিশেষ করে যারা হার্টের রোগী, তারা আরো বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এছাড়াও উচ্চ শব্দের হেডসেট বা হেডফোনের বেশি ভলিউম এবং আতশবাজির শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ক্ষমতাবলে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন করা হয়। বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে আইন অমান্য করলে প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের তেমন প্রয়োগ দেখা যায় না। আইনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ আরো কিছু বিষয়ে ব্যতিক্রম আছে। তবে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা এবং রাত ১০টার পর কোনোভাবেই উচ্চ শব্দের কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।

আইন অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের বাইরে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই আইন প্রয়োগের অথরাইজড অফিসার। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি জানেন না। আবার যারা জানেন, তারা থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না বলে জানা যায়। ডিএমপি'র এক নির্দেশনায় বলা হয়, পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনো বাড়ির প্রাঙ্গন, ছাদ, রাস্তা বা উন্মুক্ত স্থানে মাইক্রোফোন অথবা লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে কনসার্ট বা সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। ঢাকা মহানগরীর সাধারণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরী অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর ২৭ ও ৩১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) ঢাকা মহানগরীর ৪৫টি স্থানে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরব এলাকায় দিনের বেলা শব্দের মাত্রা সহনীয় মাত্রার (মানমাত্রা) চেয়ে দেড় থেকে দুই গুন, আবাসিক এলাকায় দিনের বেলা শব্দের মাত্রা দেড় গুন ও রাতে শব্দের মাত্রা দেড় থেকে প্রায় দুই গুন, মিশ্র এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা দেড় গুন ও রাতে শব্দের মাত্রা দেড় থেকে দুই গুনেরও বেশি। এছাড়া বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা দেড় গুন বেশি। নীরব এলাকায় দিনের বেলা শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ইডেন মহিলা কলেজের সামনে, ১০৪ দশমিক ৪ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি পল্টনে ১০৫ দশমিক ৫ ডেসিবেল। আর রাতে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি কলাবাগানে ১০৬ দশমিক ৪ ডেসিবেল। অন্যদিকে বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে, ১০৮ দশমিক ৯ ডেসিবেল।

পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ডা.আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে আইনই মূখ্য নয়। আইন আছে, প্রয়োগ নাই। আর সচেতন করারও কোনো উদ্যোগ নাই। ফলে যা হবার তা-ই হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একজন চিকিৎসক। শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি, মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়। আর হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। আর এর প্রধান শিকার শিশু এবং বয়স্করা।

নাক, কান ও গলা রোগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষের শ্রবণজনিত সমস্যা হয়। শব্দ দূষণ, কানপাকা, কানের পর্দা ফুটা, দুর্ঘটনা ও বার্ধক্যজনিত এর মধ্যে অন্যতম। তবে বেশি শ্রবণ সমস্যা হয় শব্দ দূষণের কারণে। শব্দের স্থিতি ক্ষণস্থায়ী হলেও শব্দদূষণ মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্রবণজনিত সমস্যা প্রতিরোধে শব্দদূষণ কমাতে হবে। এর পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তাই শ্রবণজনিত যে কোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরিবেশ বিষয়ে আইনজীবীদের সংস্থা বেলার সদস্য বাহ্রীন খান গণমাধ্যমকে, বাংলাদেশে যে পরিবেশ আদালত রয়েছে তাতে আছে তিন ধরনের আদালত। যার একটি হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। শুধুমাত্র এই কোর্টের মাধ্যমেই একটু কিছুর করার সুযোগ আমি দেখি। আর বাকি যে দুটো আদালত সেখানে শব্দ দূষণের অভিযোগে কোন মামলার নজির আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি। কাছাকাছি সময়ে শব্দ দূষণ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।

https://dailysangram.com/post/449241