২০ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১১:১৭

শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি

ইবনে নূরুল হুদা : সম্প্রতি আমাজান জঙ্গলে বিশেষ একপ্রকার প্রাণির সন্ধান মিলেছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এসব আজব প্রাণিরা অমাবশ্যার রাতে দল বেঁধে আত্মহত্যা করে। যা প্রাণিবিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মোবাইল ফোন আসক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরাও বোধহয় সে ধরনের আত্মঘাতকেই বেছে নিয়েছে। তারা এখন অতিমাত্রায় মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠেছে। আর মোবাইল ফোন আসক্তি বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের এখন মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অশুভপ্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ঘটনার ভয়াবহতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এতে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের পর ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় অধিক মনোযোগী হয়েছে এবং তাদের ফলাফলও আগের তুলনায় বেশ ইতিবাচক। ইংল্যান্ডের চারটি শহরের স্কুলে জরিপ চালিয়ে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স এই সমীক্ষাটি প্রকাশ করেছে। ফোন নিষিদ্ধ করার আগে ও পরের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও আমাদের দেশ শিক্ষার্থীদের মোবাইলের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যেসব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল অন্যান্য স্কুলের তুলনায় ৬% ভালো। গবেষকরা বলছেন, স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের উন্নতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃটেনে ৯০ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বলে পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবস্থার এতো অবনতি হয়েছে যে, এখন সবসময় শিক্ষার্থীদের কাছে স্মার্টফোন থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। মাথা নিচু করে স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে রাখা কিংবা কানে ইয়ারফোন দিয়ে কোনো গান শোনাই যেন একশ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধ্যান-জ্ঞান হয়ে পড়েছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে তাদের প্রাণশক্তি ও সৃজনশীলতা। যা বিশেষ কোন দেশের চিত্র নয় বরং তা এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস রিভিউ সাময়িকী দেয়া তথ্যমতে, ২০১০ সালের কর্মক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ তরুণ ম্যানেজারের মুঠোফোনে আসক্তি ২০১৪ সালে এসে ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তা ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সপ্তাহে স্মার্টফোনে তরুণ পেশাজীবীরা এখন ৪৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন, যা তাঁদের মেধা, মনন, কর্ম ও দক্ষতার গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার ওপরে মুঠোফোনে ডুবে থাকেন। যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয় বরং সার্বিকভাবেই উদ্বেগজনক।

মোবাইল আসক্তি শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যেই নয় বরং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে এখন মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে জানা যায়, ৪৬ শতাংশ মুঠোফোন ব্যবহারকারী ‘ফোন ছাড়া বাঁচবই না’ এমনটিই মনে করেন। মূলত এই আসক্তি তাদের রীতিমত মানসিক রোগে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা এখন মুঠোফোনকে তাঁদের শরীরের অঙ্গই মনে করে। ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন, মুঠোফোনে আসক্ত ব্যক্তিদের উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত সহ নানাবিধ জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। শতকরা ৬৩ শতাংশ মানুষ ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে আগে চোখ রাখেন। অবস্থা এতোই ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, মুঠোফোনে আসক্তিকে পিসিম্যাগ প্লেগ রোগের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সৃজনশীলতা থেকে দূরে থেকে মন্দের প্রতি আকর্ষিত হওয়া, পড়াশোনা বাদ দিয়ে অহেতুক ঘুরে বেড়ানো, মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা, ফেসবুক-টুইটারের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নেশায় শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আসক্ত হওয়ার বিষয়টি এখন কারোরই অজানা নয়। নতুন নতুন সফটওয়্যার আপডেট করার মতো প্রতি মুহূর্তে গেটআপ, মেকআপ, চলন-ধরন ও মতের পরিবর্তন তাদের মানসিক বিকাশ, স্বকীয়তাবোধ, ভবিষৎ জীবন গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে; নষ্ট হচ্ছে সৃজনী ও জীবনী শক্তি। এতে মোবাইল কোম্পানি ও ফাস্টফুডের দোকান মালিকসহ মধ্যস্বস্ত¡ভোগীরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অভিভাবক এবং আগামী প্রজন্ম। ফলে আমাদের জাতীয় জীবনের জীবনী শক্তি ক্রমেই দুর্র্বল ও প্রাণহীন হতে শুরু করেছে।

অবস্থার এতোই অবনতি হয়েছে যে, স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফোনের মাধ্যমে তারা বইয়ের স্টিল পিকচার নিয়ে আসছে পরীক্ষার হলে। সময় দেখার নাম করে মোবাইল ফোনের ইমেজ ভিউয়ার জুম করে দেখে নিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টস বা চিত্রগুলো। নকল করার আধুনিক মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে মোবাইল ফোনটিকে। কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পরীক্ষার কক্ষ থেকে বেরিয়ে ফেসবুকের ওয়ালে সার্কুলেশন করছে। ছোট স্পিকার কানে লাগিয়ে ওয়ারলেস কানেকশনে উত্তর চেয়ে নিচ্ছে বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে। এভাবে মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষায় অসদুপায় এখন জাতীয় মহামারীতে পরিণত হতে চলেছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, প্রতিভা ও সৃজনীশক্তি। কিন্তু এসব বন্ধে সংশ্লিষ্টদের উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেই।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মোবাইল ফোন আবিষ্কারে মানুষের জীবনযাত্রার মান যতটা বেড়েছে ঠিক ততটাই অনাচার ও অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে। মোবাইল ফোনের যথাযোগ্য ব্যবহারে যোগাযোগ যতটা সহজ হয়েছে তেমনি নানা অপকর্ম, কুকর্ম ও নেতিবাচক কাজে জনজীবন হয়ে উঠেছে। আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে অপরাধ প্রবণতাও। বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে কয়েক মিনিটেই ভয়েস কল, ডাটা কল, সার্কুলেশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে। ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ এবং বিনষ্ট হচ্ছে শৃঙ্খলাও। ছাত্র-ছাত্রীদের নকল প্রবণতা, উঠতি বয়সীদের যৌন প্রবণতা সবকিছু উপেক্ষা করেই মোবাইল ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।

এতে অনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের মোবাইল কোম্পানীগুলোও। ফলে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, দিনমজুর সহ সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যেই মোবাইলের গ্রহণযোগ্যতা ও আসক্তি অনাকাঙ্খিতভাবে বেড়েছে। ফলে আমাদের দেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোতে জাতীয় বিপর্যয় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে দেশের মানুষ মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারে না সে দেশে অতিমাত্রায় মোবাইল বিলাস কোনভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিচ্ছে মোবাইল ফোন। সুযোগ করে দিচ্ছে অতিব্যবহারেরও। শুধুমাত্র ব্যবসার কথা চিন্তা করে নানাবিধ বাহারী অফার দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এসব অপারেটররা।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের লক্ষ্য ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর ও গতিশীল করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সার্ভার কাউন্ট করলে দেখা যায় নিষিদ্ধ সাইটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, ভালো শিক্ষণীয় সাইটগুলোতে ক্লায়েন্ট সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফেসবুকে ভিডিও সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম মোবাইলফোনে চালু বেশ আগেই। শিক্ষার্থীরা এর পিছনে সময় নষ্ট করছে রাতের পর রাত। সেবা দেবার নাম করে বড় বড় মোবাইল কোম্পানি বুকে টেনে নিলেও, তাদের উদ্দেশ্য থাকে অর্থের দিকে। টিভি চ্যানেলে বড় বড় কনটেস্টে কোনো কোম্পানি স্পন্সর হলেও টাকাগুলো আমাদের কাছ থেকেই নিয়ে থাকে।

শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি ও কুপ্রভাব সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশী অবগত আছি। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সে অবস্থার আরও বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখন রীতিমত অলস সময় কাটাচ্ছে। প্রায় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা পড়াশোনায় তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তারা এখন অতিমাত্রায় স্মার্টফোন আসক্তিতে পড়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সহসায় কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও অতিমাত্রায় মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞমহল। কিন্তু সরকার সেদিকে খেয়াল না করে একের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়েই চলেছে।

এমতাবস্থায় সারাদেশে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নোটিশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুমের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। যদিও এই নোটিশের পরও সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা এ সময়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে, টিভি দেখে সময় ব্যয় করছে। এছাড়া মোবাইল ব্যবহার করে খারাপ অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই যুক্তিযুক্ত ও সময়োচিত পদক্ষেপ। যা সত্যিই প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য।

‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা’, ‘সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া’র আন্দোলনের মতোই শিক্ষাঙ্গন মোবাইলমুক্ত করার দাবি সকল অভিভাবক, শিক্ষিত ও আত্মসচেতন মানুষসহ সকল মহলের। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করে, ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি উঠেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কুপ্রভাব ও অতিমাত্রায় মোবাইল আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে অবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তাগিদ এসেছে। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না।

https://dailysangram.com/post/441142