ছবি: সংগৃহীত
৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ১২:৫২

এক ভবনে দুই হাসপাতাল, পৃথক ক্রয়ে দুর্নীতির শঙ্কা

৩৬ হাজার জোড়া সু’কভার দাম ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা * পাঁচটি পণ্যের কোনো দামই ধরা হয়নি * ব্যয় যেমন বাড়বে তেমনি পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হবে

করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এক ভবনে দুটি হাসপাতাল করা হচ্ছে। এর একটি আড়াইশ’ এবং অপরটি এক হাজার শয্যার। হাসপাতাল দুটির জন্য পৃথক সরঞ্জাম কিনতে দুটি আলাদা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে এক হাজার শয্যার জন্য ৮৯ এবং আড়াইশ’র জন্য ৪৪ ধরনের চিকিৎসা ও সহচিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার কথা বলা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩২ টাকা। পণ্য ও দামের তালিকায় দেখা গেছে ৩৬ হাজার জোড়া সু’কভার কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

দাম ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পাঁচটি পণ্যের কোনো দামই ধরা হয়নি। বেশকিছু সরঞ্জাম আছে যা আলাদা না করে একসঙ্গে কেনা যেত। এতে ব্যয়ও কম হতো।

মহাখালী বাস টার্মিনালের কাছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ভবনে একটি সরকারি অপরটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হাসপাতাল দুটি স্থাপন করা হয়েছে। একই ভবনে কেন আলাদা দুটি হাসপাতাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পৃথক তালিকা ধরে কেনাকাটায়ও দুর্নীতির শঙ্কা প্রকাশ করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে শয্যা খালি পড়ে আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলছেন, ৪শ’ ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩৫০টিই ব্যবহার হচ্ছে না। করোনা হাসপাতালে ৪০ শতাংশ শয্যা এখনও খালি। এরপরও কেন একই ভবনে দুই হাসাপাতাল এবং এর জন্য আলাদা কেনাকাটাই বা কেন তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।

জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে হবে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল। এর জন্য কেনাকাটায় ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। সরঞ্জাম কেনার জন্য ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পৃথক উৎস থেকে অর্থ এলেই একই স্থানে দুটি হাসাপতাল করতে হবে এর কোনো মানে নেই বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, হাসপাতাল পরিচালনায় এখানে যেসব সরঞ্জামের কথা বলা হয়েছে এর প্রতিটিই প্রয়োজনীয়। চাহিদা অনুযায়ী খুব দ্রুত এগুলো সরবরাহ করা হলেও কমপক্ষে তিন মাস লেগে যাবে।

বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ থেকে ৬ মাসও লাগতে পারে। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্থাপিত এসব হাসপাতাল কবে প্রস্তুত হবে আর কবে এসব স্থানে মানুষ চিকিৎসা পাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি সর্বসাধারণের জন্য এবং ২৫০ শয্যার হাসপাতাল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। ওই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে প্রদান করা হয়েছে।

এজন্য ইতোমধ্যে তারা যে ক্রয় তালিকা দিয়েছেন তা সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরেজ ডিপার্টমেন্টে (সিএমএসডি) পাঠানো হয়েছে। সিএমএসডির কাছে যেসব মালামাল রয়েছে সেগুলো আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর যেগুলো নেই সেগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিনে নেবে। সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল চালু করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

একই ভবনে দুটি হাসপাতাল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি সরকারি অর্থায়নে করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান যুগান্তরকে বলেন, একই ভবনে দুটি হাসপাতালের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। দুটি পৃথক তহবিল থেকে টাকা আসতেই পারে, তাই বলে এভাবে টাকা অপচয়ের কোনো কারণ নেই। এটি চরম সমন্বয়হীনতা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কেনাকাটা হলেই সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। কেনাকাটায় অব্যাহত দুর্নীতি হোক এটা আমরা দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের কোভিড পরিস্থিতি এখনও অনিয়ন্ত্রিত, সামনে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেজন্য হাসপাতাল তৈরি বা শয্যা বাড়ানো অভিনন্দনযোগ্য। কিন্তু একই ভবনে দুটি হাসপাতালে, একই জিনিস বারবার কেনাকাটা এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সম্প্রতি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল পরিচালকের পক্ষে স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন এক কর্মকর্তা। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ডিএনসিসি মার্কেট মহাখালীতে স্থাপিত করোনা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য মেডিসিন ও ইলেক্ট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট চাহিদাকরণ প্রসঙ্গে’ এই স্মারক প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ক্রয় প্রস্তাব দেন তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদাপত্রে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বালিশ থেকে শুরু করে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন পর্যন্ত প্রায় ৮৯ ধরনের সরঞ্জাম চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি ইলেক্ট্রিক কেটলি, ৫০টি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ট্রলি, এক হাজার ম্যাট্রেস, এক হাজার বালিশ, ২ হাজার রোগীদের পোশাকের কোনো মূল্য ধার্য করা হয়নি।

বাকি ৮৪ ধরনের পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষে সেগুলো স্থাপনের পর হাসপাতাল চালু করতে আরও কমপক্ষে ৬ মাস লাগবে। ততদিনে দেশে কোভিড আইসোলেন সেন্টার বা এ ধরনের হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা থাকবে কিনা সেটিও ভাবার বিষয়।

প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকায় যেসব পণ্য রয়েছে সেগুলো হল- সাকসেশন মেশিন ৪০টি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা, পালস অক্সিমিটার (ফিংগার টাইপ) ৫০টি এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা, মাল্টি প্যারামিটার মনিটর ৫০টি ৩৪ লাখ টাকা, ১০০ এমএ এক্স-রে মিশন (এক্সেসরিজসহ) দুটি ২০ লাখ টাকা, মোবাইল এক্স-রে মেশিন (ডিজিটাল) ৩টি ৪৫ লাখ টাকা, থ্রিডি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ৪টি এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, সিআর মেশিন ৩টি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, অক্সিজেন সিলেন্ডার ইউথ অক্সিজেন ফ্লোমিটার ২০০টি ৭৬ লাখ টাকা, অক্সিজেন কনসানট্রেটর ২০টি ২০ লাখ টাকা, সিরিঞ্জপাম্প ১০০টি ৫৭ লাখ টাকা, ইনফিউশন পাম্প ৫০টি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্যালাইন স্ট্রান্ড ৫০০টি ১১ লাখ টাকা, নেবুলাইজার মেশিন ৫০টি এক লাখ ৩২ হাজার ৫শ’ টাকা, ইসিজি মেশিন (থ্রি চ্যানেল) ১০টা ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, হুইল চেয়ার ১০০টা ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পেশেন্ট ট্রান্সফর ট্রলি ২০টা ১৫ লাখ টাকা, মেডিসিন ট্রলি ৫০টা ২ লাখ টাকা, বেড সাইট টেবিল ১০০০টা ৬০ লাখ টাকা, ওভার বেড টেবিল ১০০০টা ৩০ লাখ টাকা, বেডসাইড বিন ১০০০ হাজারটা ৫ লাখ টাকা, গার্বেজ বিন ৪০টা এক লাখ ২০ হাজার টাকা, পেশেন্ট স্ক্রিন ৩০টা এক লাখ ৫ হাজার টাকা, রেফ্রিজারেটর (২ থেকে ৮ ডিগ্রি) ২০টা ২৮ লাখ টাকা, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর ১০টা ৭৫ লাখ টাকা, আইসিইউ ভেন্টিলেটর ২টা ৩৭ লাখ টাকা, আম্বু ব্যাগ ইউথ মাস্ক ৩০টা এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা, হাইফ্লো নজেল ডিভাইস ৫টা ৩৮ লাখ টাকা, পিনিয়ম মাস্ক ১০টা ৭৫ হাজার টাকা, এন্টিব্যাক্টেরিয়াল/ভাইরাল ফিল্টার ৫০টা ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, পোর্টেবল সিসটেম একটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, রিব্রিদিং মাস্ক ২০টা ১১ হাজার ৬শ’ টাকা।

এই তালিকায় বেশকিছু ল্যাবরেটরি আইটেম যুক্ত রয়েছে। সেগুলো হল- রেফ্রিজারেটর (-১৬ ডিগ্রি থেকে -২৬ ডিগ্রি সে.) ২টি ৯ লাখ টাকা, অটোমেটেড হোমেটোলজি এনালাইজার ২টি ১৫ লাখ টাকা, অটোমেটিক বোয়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার ২টা ২০ লাখ টাকা, এবিজি/ব্লাড গ্যাস এনালাইজার ২টা ১৫ লাখ টাকা, ভর্টেক্স মিকশ্চার ২টা ৯০ হাজার টাকা, কুলার ৩টা এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা, কোয়াগ্লুমিটার ২টা ১০ হাজার টাকা, ইলেক্ট্রো ফরেসি মেশিন ২টা ৬০ লাখ টাকা।

এই তালিকায় রোগীদের রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিছু ডিসপোজেল সামগ্রী রয়েছে সেগুলো হল- ভ্যাকুটাইমার ১০ হাজারটি ৫ কোটি টাকা, টোরিকুইটস্ ৫ হাজার ৩০ লাখ টাকা, স্যাম্পল কেরিয়ার ৫শ’ টা ২৭ লাখ ৫০ টাকা, স্যাম্পল স্ট্রান্ড ২শ’টা ৩২ হাজার টাকা, ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও অ্যালকোহেল প্যাড (এখানে ইউনিট প্রাইজ ১০ টাকা লেখা রয়েছে) তবে মোট পরিমাণ ও দাম উল্লেখ নেই। বাটারফ্লাই নিডেল ১০ হাজার পিস এক লাখ টাকা, এস ইলেক্ট্রোলাইট রিয়েজেন্ট ২০টা ১২ লাখ টাকা, এস ইউরিয়া ২০টা ৫ লাখ টাকা, এস ক্রিয়েটিনিন ২০টা ৬ লাখ টাকা, পিসিআর কিট ২০ হাজারটি ৫ কোটি টাকা, সিবিসি ১ লাখ ৩০ লাখ টাকা, ইউরিন আর/ই ১ লাখ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, লিপিড প্রোফাইল ২০টা ৬ লাখ টাকা, এলএফটি ৫০টা ৫০ লাখ টাকা, এফবিএস ২০টা ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ইউএসজি পেপার এক হাজার ১১ লাখ টাকা, ইউএসজি জেলি এক লাখ এক লাখ টাকা।

এরপর রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধী ডিসপোজেবল সামগ্রী লান্ডি ট্রে ৫০টা ৫ হাজার ৫শ’ টাকা, স্টিলের গামলা এক হাজারটা ৪ লাখ টাকা, ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার একশ’টি ১৫ হাজার টাকা, আইআর থার্মোমিটার ২০টা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, টর্চলাইট ৫০টা ১২ হাজার ৫০০ টাকা, টাঙ্ক ডিপ্রেন্সর ৫০টা ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, পিপিই ৫ হাজারটা ৩৩ লাখ টাকা, সংক্রমণ প্রতিরোধী চশমা ৫শ’টা ২ লাখ টাকা, ফেস শিল্ড ৫শ’টা এক লাখ টাকা, ডিসপোজেবল গাউন ৩৬ হাজারটা ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সু-কভার ৩৬ হাজার জোড়া ২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ডিসপোজেবল এন৯৫ মাস্ক ৫শ’টা ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ডিসপোজেবল ক্যাপ ২০ হাজারটি এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, ডিসপোজেবল মাস্ক ৫০ হাজারটি ৭ লাখ টাকা, এক্সমিনেশন গ্লাবস ৩০ হাজারটি ৩ লাখ টাকা, হেভি ডিউটি গ্লাবস ৫শ’ পিস এক লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা, হেভি ডিউটি বুট ৫শ’ পিস ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা, ড্রাম স্টেলাইজার ১০টা ৮০ হাজার টাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৫ হাজার বোতল ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ডিজইনফেক্টিভ স্প্রেয়ার ৫টা ১৫ হাজার টাকা, ব্লিচিং পাউডার ৫শ’ কেজি ৫০ হাজার টাকা।

তবে অপর একটি হিসাবে দেখা যায়, ৪৪ ধরনের সরঞ্জামসহ কনস্ট্রাকশন ব্যয়, আসবাবপত্র, এমএসআর এবং এইচআর ব্যয়সহ ৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সেই তালিকায় মেডিকেল সরঞ্জাম, এমএসআর, রিয়েজেন্টমেডিসিন এন্ডভ্যাক্সিন আইসিইউ সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতির পৃথক তালিকা করে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

তবে এগুলো সবই প্রস্তাবিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান। তিনি বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি মূলত বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প। তাই প্রস্তাবনাটি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী করা।

এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ যুগান্তরকে বলেন, একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে একই ভবনে দুটি হাসপাতাল কেন করা হল আমার বোধগম্য নয়। এতে ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনি পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/322075