১০ জুন ২০২০, বুধবার, ১০:২৫

ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া চালক

ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতা

করোনাকালে সীমিত পরিসরে চলছে যানবাহন। রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। এই ফাঁকা রাস্তাতেও বেপরোয়া বাস চালকরা। এতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকদের বেপরোয়া আচরণের জন্য ট্রাফিক পুলিশও কম দায়ী নয়। তাদের গাছাড়া ভাবে রাস্তায় এখন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই ওভারটেকিং, সিগনাল না মানাসহ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রাফিক পুলিশ এখন গাড়ি ধরে মামলার দেনদরবার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রাস্তার যানবাহনের দিকে তাদের নজর কম।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করছেন পেশাদার চালকরা। এ কারণে অপেশাদারদের দিয়েই বাস চালাতে বাধ্য হচ্ছে মালিকরা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে তারা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যাত্রীর পাওয়ার জন্য কার আগে কে যাবে-এমন অশুভ প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হচ্ছে তারা। গতকাল দুপুরেও রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় কয়েকটা বাসের মধ্যে এমন প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এসময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে একজন পথচারিও একটি চলন্ত বাসের নীচে পড়ে ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন। একজন মোটরসাইকেল চালকের সহযোগিতায় পরে ওই বাসটিকে আটক করে স্থানীয়রা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে বাস চলাচল শুরু হয়। এরই মধ্যে ঢাকায় বাস চাপায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলামোটরের ট্রাফিক সিগন্যাল পার হয়ে বিহঙ্গ পরিবহণের বেপরোয়া গতির একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-১৯৯০) চালক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটির চাপায় ফুটপাত ঘেঁষে চলা একটি মোটরসাইকেলের চালক ও এক পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। করোনা পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে বাসসহ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। শর্তে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শৃঙ্খলা আনার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। চালকরা যে এখনো আগের মতোই বেপরোয়াভাবে বাস চালাচ্ছেন। ভুক্তভোগিদের মতে, এজন্য পুলিশ যেমন দায়ি তেমনি চালকরাও দায়ী। জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ ঢাকা দক্ষিণের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে। এর মধ্যেও বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য চালকের সাথে পথচারিও কম দায়ী নয়।

https://www.dailyinqilab.com/article/298067/