গরুর মাংস। ছবি: সংগৃহীত
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ৮:৩১

সাপ্তাহিক বাজার দর

ঈদের পরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস

রোজার আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকায় বিক্রি হলেও রমজান ও ঈদে তা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় ঠেকে। কিন্তু ঈদের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও তা বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

তবে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এলাচসহ একাধিক মসলার দাম কমছে। বেড়েছে আলু ও ডিমের দাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. মাসুম যুগান্তরকে বলেন, রোজা ও ঈদে বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফা করতে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকার উপরে বিক্রি করেছে। বাজার তদারকির অভাবে সেই বাড়তি দরে এখনও বিক্রি হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক। যে কয় কেজি চাহিদা সে পরিমাণ কেনা যাচ্ছে, তবে বেশি দামে।

কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা ওলি মিয়া যুগান্তরকে বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে পরিবহন সংকটে সরবরাহ কমার কারণে গরুর মাংসের দাম বেড়েছিল। তা এখনও বজায় রয়েছে। তবে এখন সরবরাহ বাড়ছে। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।

এদিকে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি হালি (৪ পিস) ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৪ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৫-২৮ টাকা। মান ভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৮-৩০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৫-২৮ টাকা।

নয়াবাজারের ডিম বিক্রেতা লাবলু বলেন, পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। পাইকাররা বেশি দামে এনে আমাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। আর আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ, আদা-রসুন, এলাচসহ একাধিক মসলার দাম। এ দিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা।

আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১০-১৩০ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৭০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ২০০-২২০ টাকা।

মানভেদে আমদানি করা প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ১৭০-২০০ টাকা। প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ৫৫০ টাকা। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ৪৫০-৪৬০ টাকা। প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩০০০-৩২০০ টাকা কেজি। যা সাত দিন আগে ছিল ৪০০০-৪১০০ টাকা।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/312566/