১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:২১

রোগী ২৩৮৭০, মৃত্যু ৩৪৯

করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ও পরীক্ষা বাড়ছে

২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২১, চিহ্নিত ১৬০২, পরীক্ষা ৯৭৮৮ * মোট নমুনা পরীক্ষা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৬টি * সুস্থ হয়েছেন ৪৫৮৫ জন

শিথিল লকডাউনে মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়ে আসায় দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সঙ্গে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও। অধিকাংশ স্থানে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ১৬০২ জনের দেহে নতুন করে করোনার সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ৯৭৮৮টি নমুনা। সংক্রমণের ৭২তম দিনে এসে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু ও শনাক্তের হিসাব। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট শনাক্ত হল ২৩ হাজার ৮৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ২১২ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৫ জন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু, শনাক্ত ও পরীক্ষা তিনটিই বেড়েছে।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি এ সময় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ৯ হাজার ৯৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল এক লাখ ৮৫ হাজার ১৯৬টি। মোট ৪২টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন মারা যান। ৮ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৭৩ জন শনাক্ত হয়। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল, ১৯ জন। আর সর্বশেষ একদিনের রেকর্ড সংখ্যক শনাক্ত হয় সোমবার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ, আর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মানুষকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে ঘরের বাইরে যাওয়ার পরমার্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনা প্রায় কোথাও প্রতিপালিত হচ্ছে না।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত ২১ জনের ১৭ জনই পুরুষ। বাকিরা নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, দুজন ত্রিশোর্ধ্ব, ছয়জন চল্লিশোর্ধ্ব। আর আটজন পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং পাঁচজন ষাটোর্ধ্ব। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা যান ১৭ জন। বাকিরা বাসায় মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং রাজশাহী বিভাগের একজন আছেন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানীর ছয়জন, ঢাকা জেলার দুজন, গোপালগঞ্জের একজন, মুন্সীগঞ্জের একজন, টাঙ্গাইলের একজন, মানিকগঞ্জের একজন আছেন। আর চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার দুজন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন, ফেনীর দুজন, নোয়াখালীর একজন, কুমিল্লার একজন আছেন। এছাড়া সিলেটের একজন এবং বগুড়ার একজন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৩১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৩৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জন আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ছাড় পেলেন ১ হাজার ৭০০ জন।

অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪১২ জনকে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯০৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪১ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেলেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫০ হাজার ৮৮ জন।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/308451