২৮ মার্চ ২০২০, শনিবার, ১:০২

দেশপ্রেমের চশমা: করোনা ও পাঁচ শতাংশ ভোটের গল্প

নির্বাচন কমিশনের শরীরে আরও একটি কালো পালক যুক্ত হল। তিনটি শূন্য সংসদীয় আসনের নির্বাচনে ইসির তিনটি নতুন রেকর্ড গড়ার মধ্য দিয়ে ২১ মার্চ এ পালকটি যুক্ত হল।

ইসির এ তিনটি রেকর্ড হল : ১. এই প্রথম কোনো নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাস্ক পরে দায়িত্বপালন করেন; ২. এই প্রথম কোনো সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের জন্য ভোটকেন্দ্রে হাত জীবাণুমুক্তকরণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয় এবং ৩. এই প্রথম বাংলাদেশে একটি সংসদীয় আসনে (ঢাকা-১০) ৫.২৮ শতাংশ তথা সবচেয়ে কম ভোট কাস্ট হয়।

অবশ্য করোনাভাইরাসের মধ্যে ইভিএমে ভোট হওয়ার কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না আসায় অনেকে এই সোয়া ৫ পারসেন্ট ভোট নিয়েও সন্দেহ করেছেন। এত কম ভোট কাস্ট হওয়ায় সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচন চেয়ে রিট করেছেন। কমিশন একগুঁয়েমি করে করোনাভাইরাসের মধ্যে এ নির্বাচন করে নিন্দনীয় কাজ করেছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে তিনটি সংসদীয় আসনের নির্বাচন করে ইসি প্রমাণ করেছে, একগুঁয়েমির প্রতিযোগিতায় তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বিশ্বব্যাপী যখন বিভিন্ন দেশ তাদের শহরের পর শহর লকডাউন, শাটডাউন করছে, বাংলাদেশও তখন ৮ মার্চ এ ভাইরাস সংক্রমণের খবর সুনিশ্চিত করে। এ রকম দুঃসময়ে ইসি ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে সুশীলসমাজ, দেশবাসী ও ভোটারদের অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্বাচন করেছে। এ কথা ঠিক, নির্বাচনী সিডিউল আগে ঘোষণা করা হয়েছিল; কিন্তু দেশে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণের সংবাদ জানার পর ইসির সতর্ক হয়ে এ নির্বাচন বন্ধ করা উচিত ছিল; কিন্তু তারা তা করেনি। এ ব্যাপারে ইসি সচিবের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ইসি প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন বন্ধ করার অভিযোগ পায়নি। তাছাড়া প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন বন্ধ করলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। অর্থাৎ ইসি সচিবের ব্যাখ্যায় প্রমাণিত হয়, ইসির কাছে কয়েকজন প্রার্থীর টাকার মূল্য বেশি। লাখ লাখ ভোটারের জীবনের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণ মানুষের যখন ঘরে থাকার কথা, সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রেখে চলার কথা, এমন সময় ইসি একগুঁয়েমি করে এ তিনটি নির্বাচন করার আহাম্মকি করল।

ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন করা। ইসি নির্বাচন করবে। তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু এ তিনটি নির্বাচন কিছুদিন পরে করলে কি দেশ অচল হয়ে যেত? সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়ত? সংবিধান লঙ্ঘন করা হতো? নির্বাচনগুলো কি পরে করার সুযোগ ছিল না? অবশ্যই সুযোগ ছিল। সংবিধানেও এমন সুযোগ দেয়া আছে। সংবিধানের ১২৩

(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দৈব দুর্বিপাকের কারণে ইসি নির্ধারিত ৯০ দিনের পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করলে আইনের কোনো ব্যত্যয় হতো না। কিন্তু ইসি সচিব সেসব কথা বলেননি। করোনাভাইরাসকে তারা দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করেননি। ভোটারদের জীবন তাদের কাছে মূল্য পায়নি। করোনাভাইরাসকে তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন।

এখন এ তিনটি নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো প্রচারণাকারী বা ভোটদাতা করোনায় আক্রান্ত হন, তবে নির্বাচনের কারণে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে না পারায় সে সংক্রমণ হয়েছিল কিনা তা বুঝে দেখতে হবে। আর তেমনটি হলে সে দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর পড়বে। না বললেও চলে, ইসি নির্বাচন বন্ধ না করায় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রচারণা করতে হয়েছে। আর নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা যায় না।

আগে থেকে বলা যাবে না যে, ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ এলাকায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। আমরা আন্তরিকভাবে তা চাইও না। আমরা চাই বাংলাদেশের সব মানুষ করোনামুক্ত থাকুন। সুস্থ থাকুন। কিন্তু উল্লিখিত তিনটি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২১ তারিখ থেকে দুই বা আড়াই সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো নেতাকর্মী বা ভোটদাতা করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে ইসিকে দায়ী করার সুযোগ থাকবে। কারণ নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ইসি কেন একগুঁয়েমির মাধ্যমে দুঃসময়ে নির্বাচন করে নিজ শরীরে একটি কালো পালক যুক্ত করল তার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা তাদেরই দিতে হবে।

সরকারের সঙ্গে এ নির্বাচন করার ব্যাপারে ইসির কোনো অঘোষিত বোঝাপড়া ছিল কিনা আমরা তা জানি না। কাজেই এ ব্যাপারে সরকারকে দোষ দেয়া যাবে না। কারণ সরকারদলীয় নেতারা সব সময় এ বিষয়টি সম্পর্কে বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। নির্বাচন করা না করা বিষয়ে তারা যা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। আমরা কমিশনের কাজে নাক গলাব না।’

অবশ্য এ কমিশনের গায়ে কালো পালকের সংখ্যা একটি নয়। আরও অনেক কালো পালক ২০১৭ সালে দায়িত্বে আসার পর এ ইসি তার শরীরে সংযুক্ত করেছে। ক্ষমতায় আসার পর কমিশনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল স্বচ্ছতার সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা; কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে সিইসি তার প্রধান ক্লায়েন্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার আগেই ২০১৭ সালের ৩১ মে এবং ৬ জুন আলোচনা করলেন যথাক্রমে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকের সঙ্গে।

অর্থাৎ নির্বাচনী খেলার বিষয়ে রেফারি ও খেলোয়াড়দের চেয়ে দর্শক বা পর্যবেক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিলেন। পরে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ এবং ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একগুঁয়েমি করে সংসদ নির্বাচনে ৬টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমে নির্বাচন করে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেন। অথচ, দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই মাস পর একবার এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে আরেকবার কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ইসি সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এভাবে ইসি একটির পর একটি কালো পালক নিজ শরীরে যুক্ত করে। তবে ইসির সবচেয়ে চকচকে কালো পালকটি হল একাদশ সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন নৈশ ভোট প্রতিহত করতে না পারা। আবার দিনের ভোটেও কারচুপি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়ে এ নাইট-ডে নির্বাচনকে ইসি নির্বাচন গবেষকদের একাডেমিক গবেষণার খোরাকে পরিণত করে।

ফলে ৮০.৮০ শতাংশ কাস্টিং রেট ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। ওই নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা দেখে বর্ষীয়ান ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রশাসন একচেটিয়াভাবে সরকারি দলের পক্ষে মাঠে নেমেছে। পুলিশ প্রশাসন এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ক্যাডার।’ এদেরই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এ নির্বাচনে ২১৩টি ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ভোট পড়ে।

৯০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়ে ৯ হাজার ৩২০টি কেন্দ্রে। ফলে এ সংসদ নির্বাচন করে ইসির অর্জিত কালো পালকটি ছিল সবচেয়ে চকচকে। পক্ষীকুলে কেবল দাঁড়কাক বা কোকিল ছাড়া অন্য কোনো পাখির শরীরে এমন পালক দৃশ্যমান নয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের নেতিবাচকতা নিয়ে আগেও লেখা হয়েছে। এ সম্পর্কে জনগণ অবগত যে, ভোটের নামে সেখানে কী হয়েছিল। ইভিএমে ভোটদানের নামে কীভাবে কাপড়ঘেরা অংশের মধ্যে ইসির সহায়তাকারীরা(?) ভোটারদের প্রাইভেসি নষ্ট করে কী করেছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে করোনা সংক্রমণের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনের প্রশ্নবিদ্ধ সোয়া ৫ শতাংশ ভোটপড়া নির্বাচনেও।

অন্য প্রসঙ্গে আসি। ব্যক্তিগতভাবে আমি তিনবার আমেরিকা গিয়েছি। প্রথমবার আমেরিকা সরকারের আমন্ত্রণে দেশটির ছয়টি স্টেটে। আর পরের দু’বার ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বস্টনে। প্রাসঙ্গিকতার কারণে প্রথম সফরের একটি অংশ এখানে তুলে ধরব। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে ২০০২ সালে আমরা চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর প্রোগ্রামে যোগ দিই।

আমরা তিন সপ্তাহব্যাপী ওয়াশিংটন, সাউথ ক্যারোলিনা, নিউ মেক্সিকো, ইলিনয়, ফিলাডেলফিয়া এবং নিউইয়র্কে বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদান করি। এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আমরা ইলিনয়ের ছোট্ট শহর স্টার্লিং সিটিতে ২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করি। এ চার দিনের বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে আমাদের প্রথম প্রোগ্রামটি ছিল স্টালিং ও রক ফলস সিটির মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে একটি আলোচনা। সকালে মেয়র মহোদয়ের অফিসে পৌঁছালে আমাদের স্বাগত জানিয়ে সামান্য উপহার দেয়া হয়। কুশলাদি বিনিময়ের পর শুরু হয় আলোচনা।

আমি মেয়র মহোদয়ের কাছে জানতে চাই, তিনি কীভাবে মেয়র পদে এসেছেন। মেয়র বলেন, তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র। আমি জিজ্ঞেস করি, যে নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি মেয়র হয়েছেন ওই নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছিল? হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিষ্প্রভ করে তিনি বলেন, অ্যারাউন্ড টুয়েন্টিফাইভ পারসেন্ট।

আমি এবার জানতে চাই, প্রদত্ত ভোটের কত শতাংশ ভোট তিনি পেয়েছিলেন। যতদূর মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন ৩৮ বা ৪০ শতাংশের মতো। তখন আমি দুঃখ করে বলেছিলাম, হায়! এ গণতন্ত্র দেখতেই কি আমরা আমেরিকায় এসেছি? আপনি তো আপনার এলাকার ১০ শতাংশ লোকের সমর্থন নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেছেন। ৯০ শতাংশ লোক তো আপনাকে সমর্থন দেননি। মেয়র ম্রিয়মাণ ভঙ্গিমায় বলেন, দেখুন আমাদের জনগণ ভোট দিতে আসতে চান না। আমি বললাম, তাদের ভোটকেন্দ্রে আনতে কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন? তিনি বললেন, আমরা এ লক্ষ্যে অনেক কিছু করি। ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ি। তাদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করি।

তাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করি। তারপরও তারা ভোটকেন্দ্রে আসতে চান না। আমি তখন গর্বভরে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বর্ণনা দিলাম। বললাম, কীভাবে মানুষ ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উৎসবের মতো অংশগ্রহণ করেন। কীভাবে ৮০ বা ৮৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়। হাজার হাজার লোক কীভাবে প্রচারণা মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। মেয়র মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনলেন। তারপর বললাম, আমরা ক্লাসে আমেরিকার গণতন্ত্র পড়ার সময় আগে শিক্ষার্থীদের যেমন ধারণা দিতাম, এবার ফিরে গিয়ে তাদের তেমন ধারণা দেব না। এবার আমরা আমাদের লেকচার শিট পরিবর্তন করে আপনাদের গণতন্ত্রের এসব দুর্বলতা তুলে ধরব।

আমি খোশনসিব যে এখন করোনা সংক্রমণের ভয়ে ঘরে আছি। বিদেশে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিশেষ করে আগামী দিনগুলোতে আমেরিকা যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকত, আর যদি আবার শিকাগো বিমানবন্দরে নেমে স্টার্লিং শহরে যেতাম, আর যদি দুর্ভাগ্যক্রমে ওই মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হতো, তাহলে বিষয়টি কেমন হতো? ঢাকা-১০ আসনের সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নবিদ্ধ সোয়া ৫ পারসেন্ট কাস্টিং রেট উল্লেখ করে যদি তিনি আমাকে বলতেন, আপনাদের গণতন্ত্রের এ কি অবস্থা! গতবার সাক্ষাতে তো আপনি আমাকে ভিন্ন চিত্র দেখিয়েছিলেন। তাহলে আমার অবস্থা কেমন হতো? লজ্জায় কোথায় মুখ লুকাতাম?

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/293352