২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ৪:১৪

করোনাভীতিতে অনেক স্থানেই চিকিৎসা ব্যাহত

হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ডাক্তার না পাওয়ার অভিযোগ বাড়ছে

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষকে ঘরে রাখার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে সরকার। এখন ঘরে থাকা কোনো মানুষ করোনাভাইরাসের উপসর্গ বা একই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে কী করবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে। চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। একদিকে চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণের সংকট, অন্যদিকে চিকিৎসকদের অনেকেই নানা অজুহাতে দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখাতে শুরু করেছেন।

সারা দেশ থেকে চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালন না করার খবর দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করার পরপরই খেপে ওঠেন চিকিৎসকরা। রটে যায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটে যাওয়ার আশঙ্কার খবর। ফলে মন্ত্রণালয় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

চিকিৎসাবিদ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ঝুঁকি থাকবেই। রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবনবাজি রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। তবে সেই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করাও জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাঁদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। চিকিৎসকদের ভয় কাটাতে না পারলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে সব চিকিৎসকই দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা যথাসাধ্য তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উপকরণ সরবরাহ করেছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, সারা দেশে সরকারের সব স্তরের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রোগীদের সেবায়। অন্য রোগীদের সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর রেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ চলছে। আগেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণ ছিল, এর পরও ঢাকা থেকে পর্যায়ক্রমে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসকদের রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম ২৩ মার্চ কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁকে নেওয়া হয় স্থানীয় মুন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শপত্রে করোনাভাইরাসের উপসর্গ উল্লেখ করা হয়। ঢাকায় এনে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন অজুহাতে। পরে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। রোগীর ফুফু হাসনা আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে খুবই অসহায় লাগছে। অর্থ খরচও অনেক বেশি হচ্ছে। এর দায় কে নেবে?’

সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথাসহ সাধারণ অসুখগুলোর জন্য বগুড়া শহরের বেশির ভাগ মানুষ শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিত। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ওই হাসপাতালকে কভিড-১৯ এর জন্য পুরোপুরি আইসোলেটেড করা হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিতে শহরের লোকজন আশপাশের ক্লিনিকগুলোতে গেলেও প্রায় ক্লিনিকেই চিকিৎসকদের দেখা মিলছে না।

বগুড়া জেলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাকলায়েন জানান, ক্লিনিকগুলোতে গত তিন-চার দিন থেকে চিকিৎসকরাও ঠিকমতো আসছেন না, রোগীর সংখ্যাও ৮০ শতাংশ কমে গেছে, সাধারণ চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসকের কাছে এখনো পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নেই। করোনাভাইরাসের কারণে তাই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই জ্বর সর্দি-কাশি দেখলে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। এ কারণে তাঁরা যতটা সম্ভব টেলিসেবা দিতে চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, এখন আমরা টেলি স্বাস্থ্যসেবাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। এ জন্য প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং জনবহুল এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার জন্য হটলাইন নম্বর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকেয়া খাতুনের স্বাক্ষরিত গত বুধবারের এক প্রজ্ঞাপনে সব পর্যায়ের হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা, জরুরি চিকিৎসাসেবা, আগত নতুন রোগী ও ও ভর্তীকৃত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এতে কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশ অমান্য করলে ভুক্তভোগীকে তাত্ক্ষণিক স্থানীয় সেনাবাহিনীর টহলপোস্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তা/ নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। সেই সঙ্গে এ আদেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলা হয়। এরপরই চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিলের জন্য চাপ দেওয়া হয়। পরে গতকাল একই উপসচিবের স্বাক্ষরে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে আগের আদেশটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় নানা রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং প্রসংশা করা হয়, সেখানে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয় দেখিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এটা আমাদের কাছে খুবই অগ্রহণযোগ্য, অপমানজনক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। আমি ওই প্রজ্ঞাপন দেখেই মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছি। পরে মন্ত্রণালয় তা-ই করেছে।’

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন না, রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন, প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখছেন—এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের কী হবে জানতে চাইলে চিকিৎসক নেতা ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা চিকিৎসাকর্মীদের এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মানসিক ও নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুত করতে পারিনি। এখন নিরাপত্তা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। তাই কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসকদের অনীহা থাকার কথা নয়।’

একই প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকদের সাহস জোগানোর চেষ্টা করছি। তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল, সংকট ছিল, শত্রুপক্ষের তুলনায় অস্ত্র-গোলাবারুদও কম ছিল, তবু শুধু মনোবল শক্ত রেখেই যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছি। এখনো পরিস্থিতি অনেকটা তেমনই। তাই আমাদের কী আছে না আছে, সেদিকে না তাকিয়ে ঝুঁকি নিয়েই মানুষের সেবা দিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের সাধ্যমতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।’

এদিকে রোগীদের সেবায় কী ব্যবস্থা আছে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই আছে। প্রতিদিনই আমরা যাদের বেশি ঝুঁকিতে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদেরকে পিপিই দিচ্ছি। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ ধরেই আমরা জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার রোগীদের জন্য আলাদা কর্নার করেছি। এমনকি আজ (গতকাল) বন্ধের মধ্যেও আমাদের আউডডোর খেলা ছিল, রোগীরা সেবা নিয়েছে।’

শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমত আরা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা অনেক আবেদন-নিবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত নার্সরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক উপকরণ পায়নি। ফলে অনেক এলাকাতেই নার্সরা ভয় পাচ্ছেন।’

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নেতা সেলিম মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডাক্তার-নার্সরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছে। কিন্তু আমরা তো আরো বেশি ঝুঁকিতে আছি। আমাদের রোগীকে সরাসরি ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হচ্ছে না।’

গতকাল আইইডিসিআরের পরিচালক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ব্রিফিংয়ে জানান, আরো যে নতুন কয়েকটি পরীক্ষা সেন্টার করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়াধীন, সেগুলোতে সন্দেহজনক রোগীরা সরাসরি না গিয়ে আগে স্থানীয় হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। এ জন্য হটলাইন নম্বরও বাড়ানো হয়েছে।

এর পরও গতকাল বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক উপসর্গধারী কালের কণ্ঠ’র কাছে অভিযোগ করেন, তাঁরা কোনোভাবেই আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আবার কেউ যোগাযোগ করতে পারলেও তাঁদের পরীক্ষার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আইইডিসিআরের পরিচালক এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি সবার ঢালাওভাবে পরীক্ষার দরকার নেই। উপসর্গ অনুসারে পরীক্ষা করা যাবে। আইইডিসিআর এত দিন রোগীর কাছে গিয়ে যেভাবে নমুনা সংগ্রহ করত সেই প্রক্রিয়া চলার পাশাপাশি এখন অন্য হাসপাতালগুলোও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আমাদের কাছে কিংবা নির্ধারিত নতুন কেন্দ্রগুলোতে পাঠাতে পারবে। ঢাকার বাইরে যেসব নতুন কেন্দ্র চালু হয়েছে সেখানেও রোগীরা আগে হটলাইনে কল করে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবেন।’

আইইডিসিআর বা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা নমুনা সংগ্রহ করবে না বরং বিভিন্ন হাসপাতালে বা বাড়িতে সন্দেহজনক রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠাতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলাম ২৫ মার্চের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে গতকাল দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছিল তা আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করেছি। পত্রটি যথাযথ ছিল না বিধায় তা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে কেউ মনঃকষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি আলোচ্য পত্র নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই, স্বাস্থ্য বিভাগ সব চিকিৎসকসহ সেবা প্রদানকারীর নিরাপত্তাসহ সব কাজে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2020/03/27/891139