৯ মার্চ ২০২০, সোমবার, ১১:৫৪

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের ওপর যুবলীগের হামলা

দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবলীগের কর্মীরা জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসককে পিটিয়ে আহত করেছে। এ সময় দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তারা।

জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের জিনু মার্কেটের পল্লীচিকিৎসক শাহ আলমকে সম্প্রতি দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে অপহরণ করে নিয়ে যায় যুবলীগের কর্মীরা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। তার আগে যুবলীগ কর্মীরা একই বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মিজানকে মারধর করে। তাকে রক্ষার জন্য তার বাবা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে মিজানকে উঠিয়ে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিয়ে আরেক দফা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। তার আগের দিন একই বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হাসেমের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ কর্মীরা।

একই ইউনিয়নে অবস্থিত তিতুমীর আইডিয়াল একাডেমি ও চাইল্ড কেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থীদের বের করে প্রতিষ্ঠান দু’টি বন্ধ করে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার রাতে বাজারের একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন এক গ্রুপের লোকজন। হঠাৎ ৮টার দিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে স্থানীয়রা দিগি¦দিক ছুটোছুটি করে। এর মধ্যে কয়েকজন দোকানে ঢুকে কয়েকজনকে কুপিয়েও আহত করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। গুরুতর আহত অবস্থায় রাকিব হোসেনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ স্থানীয় শিবিরকে দায়ী করে বলে শিবিরকর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগের পাঁচজন হতাহত হয়েছে। শিবির জানায়, এ ঘটনার সাথে শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। বিগত দিনের হামলা মামলায় শিবিরের কোনো লোক এলাকায় নেই। শিবির আরো বলেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

https://www.dailynayadiganta.com/bangla-diganta/486560/