৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ১২:৫৫

বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ

এক মাসে পৌনে দুই লাখ আক্রান্ত, মৃত্যু ৩৮ জনের

আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে শীতের। দেশের গ্রামাঞ্চলে আরও আগে শুরু হলেও গত এক সপ্তাহ রাজধানী ঢাকায়ও শীত পড়তে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে মানুষের স্বাস্থ্যগত নানা পরিবর্তন হয়। নানা সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালীন শুস্ক আবহাওয়ায় ধুলোবালির মাত্রাও বেড়ে যায় অনেকটা। শীতের শুরুতেই জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। ডায়রিয়া সংক্রমণও বাড়ে। সব মিলিয়ে শীতকালীন নানা রোগব্যাধির প্রকোপ শুরু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস। এই রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে তারা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত এক মাসে দেশে ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরপরই রয়েছে শীতকালীন বিভিন্ন রোগ ও শিশুদের নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগব্যাধি। একই সঙ্গে জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ. জ্বরসহ নানা রোগেও আক্রান্ত হয়েছে পৌনে এক লাখেরও বেশি মানুষ। শীতকালীন অসুস্থতাজনিত কারণে এই সময়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ করে। এবার ৬২ জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখান থেকে গত ১ নভেম্বর হতে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, একক রোগ হিসেবে ডায়রিয়ায় সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার ৫৫৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। দু'জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে। এরপরই অ্যাক্যুইট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (এআরআই) শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণে ২৬ হাজার ৭৯৪ জন আক্রান্ত ও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ ও জ্বরে ৭৮ হাজার ৫৬৮ জন আক্রান্ত এবং ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে ২০ জেলার তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেই বছরের ১ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় সাত হাজার ৩৭৬ জন ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে তিন হাজার ৬৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরের বছর ২০১৮ সালে ২১ জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এতে ডায়রিয়ায় ১৬ হাজার ৫৮ জন ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে ২৭ হাজার ৬৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার সমকালকে বলেন, 'বছরজুড়ে বিভিন্ন রোগব্যাধির হিসাব কন্ট্রোল রুমে সংরক্ষণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে শীতকালীন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই বছর ২০ জেলা, পরের বছর ২১ জেলা এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬২ জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহে বাকি দুই জেলাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শীতকালীন রোগের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে এবার। গত ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, একক রোগ হিসেবে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি পাওয়া গেছে তাতে। এরপরই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের শিকার হয়েছে মানুষ। এ ছাড়া জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বরসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। জেলাভিত্তিক তৈরি করা তালিকায় দেখা যায়, কোনো জেলায় ডায়রিয়া, আবার কোনো জেলায় শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। তবে বিগত বছরগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করলে দেখা যায়, সাধারণত নভেম্বর থেকে শীতকালীন রোগের প্রকোপ শুরু হয়। রোগী বেশি হয় ডিসেম্বরে। এরপর কমতে থাকে রোগীর সংখ্যা। মার্চে গরম শুরু হলে তখন এসব রোগের প্রকোপ কমে যায় বলে জানান তিনি।

ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগের প্রকোপ বেশি কক্সবাজারে, মৃত্যু পঞ্চগড়ে :সারাদেশে ৬৪ জেলার মধ্যে ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাঁচ হাজার ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। এরপর পর্যায়ক্রমে শীর্ষ চার জেলার মধ্যে সাতক্ষীরায় তিন হাজার ৯৭১ জন, ঢাকায় তিন হাজার ২৩৮ জন, মৌলভীবাজারে দুই হাজার ৬২৯ জন ও গোপালগঞ্জে দুই হাজার ৫৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে খাগড়াছড়ি ও লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়ায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বরসহ অন্যান্য রোগেও সবচেয়ে বেশি ২৩ হাজার ৯১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে কক্সবাজারে। এরপর শীর্ষ চার জেলার মধ্যে পর্যাক্রমে ভোলায় ৯ হাজার ৬০৩ জন, পাবনায় সাত হাজার ৭৬৩ জন, মেহেরপুরে তিন হাজার ৭২৭ জন ও ফরিদপুরে তিন হাজার ৩৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে এসব রোগে সবচেয়ে বেশি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে পঞ্চগড়ে। মাদারীপুর ও চাঁদপুরে চারজন করে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনায় তিনজন করে মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন এম এ মতিন সমকালকে বলেন, 'কক্সবাজারে ডায়রিয়ায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শীতকালে রোটা ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে এ ডায়রিয়া ছড়ায়। এ ছাড়া জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বরসহ অন্যান্য রোগীর সংখ্যা বেশি। দেশের অন্যান্য জেলায়ও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। কক্সবাজারে কেন বেশি, সেটি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) গবেষকরা বলতে পারবেন।' তবে ভৌগোলিক ও আবহাওয়াজনিত কারণে কক্সবাজারে রোগী বেশি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের শীর্ষে নেত্রকোনা, মৃত্যু বেশি খাগড়াছড়িতে :শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে নেত্রকোনা জেলায়। এরপর শীর্ষ চার জেলার মধ্যে নরসিংদীতে দুই হাজার ৩০৬ জন, ঢাকায় এক হাজার ৯৯২, ময়মনসিংহে এক হাজার ৬১০ ও শেরপুরে এক হাজার ৪৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আটজনের মৃত্যু হয়েছে খাগড়াছড়িতে। নীলফামারীতে দু'জন, পাবনা ও ভোলায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম খান সমকালকে বলেন, ভৌগোলিকভাবে নেত্রকোনো জেলাটি পাহাড় ও হাওরবেষ্টিত হওয়ার কারণে আবহাওয়া একটু বেশি ঠান্ডা থাকে। দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জও হাওরবেষ্টিত এলাকা। গরমের দিনে একটু বৃষ্টি হলেই ঠান্ডা পড়ে যায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে শীত বেশি থাকায় শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগ নিউমোনিয়া ও অ্যাজমায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আইইডিসিআর গবেষণা করতে পারে।

আইইডিসিআরের বক্তব্য: জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমগীর সমকালকে বলেন, 'শীতকালে শিশুদের মধ্যে কমন কোল্ড, অর্থাৎ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, বিশেষ করে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি গরম কাপড় পরিধান করলে এটি ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া শীতকালে পানির সংকট সৃষ্টি হয়। অনেক জায়গায় মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না। বিশুদ্ধ পানির অভাবে রোটা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তাই পানি পানের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সরাসরি পাওয়া না গেলে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে তা পান করতে হবে। এ ছাড়া শীতে তাপমাত্রা কম থাকে। তখন কোনো খাবার উন্মুক্ত স্থানে রাখা হলে তাতে রোগজীবাণুগুলো সহজে বেঁচে থাকতে পারে।'

কক্সবাজারে ডায়রিয়ার রোগী বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে ডা. এস এম আলমগীর বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব হয়তো সেখানে রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে প্রায় ১৫ লাখের মতো অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাসকারী এলাকায় বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি থাকতে পারে। এতে করেও সেখানে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

নেত্রকোনায় শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ ঠান্ডাজনিত ও ধুলোবালির কারণে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগী বেশি হয়। নেত্রকোনায় ঠান্ডা বেশি। সেখানে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হয়।

আইইডিসিআরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে রাস্তাঘাট, ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রচুর ধুলোবালি ছড়িয়ে পড়ছে এ কারণে। এই ধুলোবালি সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তাহলে সমস্যা কিছুটা হয়তো লাঘব হবে।

বিশেষজ্ঞ পরামর্শ : এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সমকালকে বলেন, 'শীতের কারণে মানুষের সাধারণ সর্দি-কাশি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ডায়রিয়াসহ কিছু ভাইরাসজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যায়। বাতাসের আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে, বাতাসে ধুলোবালি বেশি ওড়ে, তাই শীতকালে এসব রোগ বেশি হয়। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অ্যাজমা কিংবা হাঁপানি এবং শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে।'

এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে এই চিকিৎসকের পরামর্শ :যতটা সম্ভব ধূলিকণা এড়িয়ে চলতে হবে। এ জন্য মাস্ক ব্যবহার কিংবা প্রয়োজনে মুখমণ্ডল ঢেকে চলা যেতে পারে। ধুলোবালির মধ্যে খেলাধুলা করা থেকে বিরত রাখতে হবে শিশুদের। ভালো গরম কাপড় পরতে হবে, বিশেষ করে শিশুদের ভালো গরম কাপড় পরাতে হবে। মাথা ঢেকে রাখতে হবে। কানে শীত বেশি লাগে। কান ঢেকে রাখতে হবে এ জন্য। কুসুম গরম পানি খেতে দিতে হবে। যে কোনো ধরনের ঠান্ডা, বিশেষ করে আইসক্রিম ও ঠান্ডা কোমল পানীয় দেওয়া যাবে না তাদের। হাঁচি এলে নাক ঢেকে নিতে হবে হাত দিয়ে, যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। যাদের অ্যাজমা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। একই সঙ্গে রোটা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, শীতকালে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। অনেকে বিশুদ্ধ পানি পায় না। তাই পানিকে নির্দিষ্ট মাত্রায় ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে। তাহলে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে এসব রোগব্যাধি থেকে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, 'শীতকালীন রোগব্যাধি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতন করবেন তারা। এ ছাড়া খুব শিগগির শীতকালীন স্বাস্থ্য বার্তা নামে গণমাধ্যমে একটি গণচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। এতে করে মানুষ শীতকালীন রোগব্যাধি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।'

https://samakal.com/bangladesh/article/19126288/