১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১১

ছয় মাসে ৫৭২ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন কমিটির তথ্য

গত ছয় মাসে সারাদেশে ৫৭২ শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর ২৩ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে তিন ছেলে শিশুসহ মোট ৭৫ শিশু। নিহতদের মধ্যে একটি ছেলে শিশুও রয়েছে।

আজ ১৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের প্রতি নির্যাতনের এ তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় কমিটির সদস্য তামান্না রহমান।

এতে বলা হয়, শিশুদের ওপর চালনো যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শিশু যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের মতোই বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনায় দেখা গেছে, শিশুরা নিকট আত্মীয়, নিকটকজন অথবা প্রতিবেশী দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

জাতীয় কমিটির সভাপ্রধান শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট। সচিবালয় সমন্বয়কারী ফেরদৌস আরা রুমীর সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সদস্য তামান্না রহমান। এছাড়া জাতীয় কমিটির সদস্য মাহবুব আলম ফিরোজ, ঢাকা জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দা শামীমা সুলতানা, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল, ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মূল বক্তব্যে তামান্না রহমান বলেন, গত ছয় মাসে সারাদেশে ৫৭২ শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর এই শিশুদের মধ্যে একজন ছেলে শিশুসহ ২৩ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে তিন ছেলেশিশু মোট ৭৫ শিশু। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর মমতাজ বেগম বলেন, শিশুদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নির্ভরতা দিয়ে তার জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জাতীয় মহিলা সংস্থা দেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে। শিশুদের সুস্থ-সুন্দর মানসিক বিকাশের জন্য সংস্থাটি এই কমিটির সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

শামীমা আক্তার বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুদের সম্পর্কে মানসিক চিকিৎসকরা বলেছেন, যেসব শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তারা পরবর্তী জীবনে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগে। কেউ কেউ পরবর্তীতে যৌন নিপীড়কও হয়ে ওঠে। এই শিশুরা ট্রমায় থাকে বলে এদের বিশেষ সেবার প্রয়োজন হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/448300/