১৮ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:৪২

অর্থপাচার আত্মসাত আর ঋণ জালিয়াতিতে ডুবতে বসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান : নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি নেই। প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতিতে নাজুক অবস্থায় ব্যাংকগুলো। শীর্ষ খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায় নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের নানা জাল-জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আত্মসাতের ঘটনার পর ডুবছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। হল-মার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির বোঝা বইছে সোনালী ব্যাংক। ঋণ জালিয়াতিতে এখনও বেহাল দসা বেসিকের। অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএলেরও একই অবস্থা। এসব ব্যাংকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। নানা সংকটে মূলধনও খেয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বর্তমানে নাজুক অবস্থায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো চলছে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায়। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও বেড়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক কর্তৃত্বও নেই এসব ব্যাংকে। ফলে বাড়ছে নানা জাল-জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আত্মসাতের ঘটনা। এতে নাজুক অবস্থায় পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। খারাপ অবস্থা থেকে এসব ব্যাংককে ফেরাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত করে সুশাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি ঋণ কেলেঙ্কারির নেপথ্যের নায়কদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে ২০০৭ সাল থেকে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমওইউতে খেলাপি ঋণ আদায়, ঋণ প্রবৃদ্ধি যথাযথ রাখা, লোকসানি শাখা ও পরিচালন ব্যয় কমানো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিন মাস পর পর ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে এসব লক্ষ্য অর্জনের মূল্যায়ন করা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ২০১৮ সালের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়নি। যেমন তাদের খেলাপিঋণ এখন উচ্চমাত্রায় রয়েছে। শীর্ষ খেলাপিদের থেকে আদায় সেভাবে বাড়েনি। এছাড়া মুনাফা অর্জনের টর্গেটও অর্জন হয়নি। এতে ব্যাংকগুলোর উপর সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে ২০১৮ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা খেলাপিঋণ জনতা ব্যাংকের, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৩৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির খেলাপিঋণ ছিল ৭ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। এ সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপিঋণ বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে যা ছিল ৫ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের খেলাপিঋণ কিছুটা কমে হয়েছে ১২ হাজার ৬১ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে যা ছিল ১৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এছাড়া রূপালী ব্যাংকেরও খেলাপিঋণ কিছুটা কমে হয়েছে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা ২০১৭ সালে ছিল ৪ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত এই চার ব্যাংকের ৩টিই প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৩ হাজার ৮৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ৫৯৩ কোটি ও রূপালী ব্যাংকের ৮৩৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি ছিল। এ সময়ে জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে ছিল। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ৫ হাজার ৮৫৩ কোটি ও অগ্রণী ব্যাংকের ৮৮৩ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। খেলাপি ঋণ বেড়েছে। প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের কারণে নাজুক অবস্থায় পড়েছে এসব ব্যাংক।

জনতা ব্যাংক: ক্রিসেন্ট ও অ্যাননটেক্স গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারিতে কোণঠাসা রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একসময় প্রচ- দাপটে থাকা ব্যাংকটি এখন খেলাপি ঋণের ভারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এখন সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে ওই দুটি গ্রুপের ঋণই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে চার হাজার ৮৮৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর ফলে ব্যাংকটি বড় লোকসানে পড়বে।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, খেলাপি ঋণ বেড়েছে, এর মূল কারণ ক্রিসেন্ট ও অ্যাননটেক্স গ্রুপ। ওই দুটি গ্রুপের ঋণ আদায় না হওয়ায় খেলাপি ঋণ অনেকে বেড়েছে। এজন্য মামলা ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে। আশা করছি, চলতি বছরে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।

সোনালী ব্যাংক: হল-মার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির বোঝা এখনও বাইছে সোনালী ব্যাংক। হল-মার্কের কাছে সোনালী ব্যাংকেরই আটকে আছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ঋণে জর্জরিত ব্যাংকটির আর্থিক সূচকেরও উন্নতি নেই। ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। ফলে প্রতিষ্ঠানটির মন্দ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ বা প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি তিন হাজার ৩৪০ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

বেসিক ব্যাংক: ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল, চার বছরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুট হয়। টাকার অঙ্কে দেশের ইতিহাসে এককভাবে এটাই সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি। ব্যাংকটির এ লুণ্ঠনে সরাসরি জড়িত ছিলেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু। তাকে সহায়তা করেন ওই সময়ের পরিচালনা পর্ষদ। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাংকটি। কিন্তু বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সেই মহাপুরুষ এখনও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৮০৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। খেলাপির চাপে ব্যাংকটি মূলধনও খেয়ে ফেলছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ২৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক: আলোচিত মুন গ্রুপ কেলেঙ্কারিসহ ঋণ বিতরণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ৫৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

রূপালী ব্যাংক: নানা অনিয়মের কারণে বিতরণ করা ঋণ ফেরত আনতে পারছে না রূপালী ব্যাংক। ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩৮০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মন্দ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ বা প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে ১৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

বিডিবিএল: অযোগ্য ব্যক্তি এবং ভুঁইফোড় কিছু প্রতিষ্ঠানকে জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে (বিডিবিএল)। আদায় হচ্ছে না বেনামে যাওয়া ঋণ। ফলে বাড়ছে খেলাপি। সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশই খেলাপি। ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিক ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। আর মন্দ ঋণের কারণে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ বা প্রভিশন রাখতে হয়েছে ৩৯১ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নাজুক পরিস্থিতির মূল কারণ হলো, সুশাসনের অভাব। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, প্রভাবশালীদের চাপ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ তো রয়েছে-ই। তিনি বলেন, প্রভাবশালীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত দেন না। বিভিন্ন চাপের কারণে ব্যাংকগুলোরও কিছুই করার থাকে না। এ কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলো মূলধনও খেয়ে ফেলছে। খেলাপি ঋণ না কমলে ব্যাংক খাত স্বাভাবিক হবে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর হতে হবে। সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে। একই সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর পর্ষদ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা অনিয়মের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে ছিটকে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। সংস্থাটি বলছে, একসময় দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য (আমদানি-রফতানি) সেবা প্রদানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকই ছিল চালকের আসনে। কিন্তু ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতায় এ স্থান দখলে নিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। ২০১৮ সালে দেশের মোট রফতানির মাত্র ৭ শতাংশ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে। বছরটিতে রফতানি বাণিজ্যের ৭৪ শতাংশই হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের হাত ধরে।

বিআইবিএম বলছে, লাগামহীন খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংক ঋণে কর্পোরেট গ্যারান্টিতে ব্যাংকারদের আরও সতর্ক থাকাতে হবে। কর্পোরেট গ্যারান্টির ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের সর্তকতা বেশি জরুরি। কর্পোরেট ঋণের ঝুঁকিগুলো সর্ম্পকে ধারণা থাকলে ঋণ প্রদানে দুর্বলতাগুলো ব্যাংকারদের নজরে পড়বে। ব্যাংকারদের কর্পোরেট গ্যারান্টি বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা নেই। এ ব্যাংকারদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োগে দুর্বলতা কাটাতে হবে। শুধু জমি-জমা জামানত নিয়ে কর্পোরেট ঋণ দেয়া ঠিক নয়। আইনি কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন যাতে ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা পায়। আদালতে একটি আলাদা বেঞ্চ প্রয়োজন যা কর্পোরেট গ্যারান্টি সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ঋণখেলাপি ব্যাংকিং খাতের পরিচালনা এবং মুনাফার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভাবছেন, পরিস্থিতি উত্তোরণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণে সতর্কতার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকটা বিবেচনায় রাখতে হবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে হবে যাতে ব্যাংকও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় একইসঙ্গে প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন হয়।

https://www.dailysangram.com/post/383211