১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ১১:১৭

শিশু ধর্ষণ ও রাষ্ট্রের দায়

দেশে অপরাধপ্রবণতা এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা। তার সাথে যুক্ত হয়েছে শিশুধর্ষণ ও হত্যার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও। এক ঘটনার জের শেষ না হতেই নতুন করে দুঃখজনক ঘটনার অবতারণা হচ্ছে। সম্প্রতি বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানীর ওয়ারীতে ৭ বছরের শিশু সায়মা আফরিন সামিয়া ধর্ষণ ও হত্যার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নারীত্বের বিকাশহীন অবুঝ শিশুর প্রতি এমন নৃশংসতা প্রমাণ করে আমাদের অবক্ষয়ের স্তর কত নিচে নেমে গেছে।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের হলেও রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখাতে পারছে না। ফলে আমাদের দেশে ধর্ষণসহ অপরাধপ্রবণতা বেড়েই চলেছে। আইনের ত্রুটি, প্রায়োগিক জটিলতা, রাষ্ট্রযন্ত্রের দুর্বলতা; নিষ্ক্রিয়তা ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতি এ জন্য প্রধানত দায়ী বলে মনে করা হয়। আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মহলবিশেষে অপরাধ ও অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দান, অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রভাব; আশ্রয়-প্রশ্রয়, রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা, গণতন্ত্রহীনতা ও ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এ জন্য প্রধানত দায়ী। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী

ম্যাকআইভারের মতে, ‘রাষ্ট্র এমন একটি সঙ্ঘ, যা সরকারের ঘোষিত আইন অনুসারে কাজ করে। সরকার আইন ঘোষণা করার এবং তা পালন করার শক্তির অধিকারী। ওই শক্তির সাহায্যে সরকার নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে সামাজিক শৃঙ্খলার বাহ্যিক ও সর্বজনীন অবস্থা বজায় রাখে।’ তাই কোনো অজুহাতেই রাষ্ট্র বা সরকার দেশে ক্রমবর্ধমান অপরাধপ্রবণতাসহ সামিয়াদের ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না।

দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতাসহ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা যে এখন নিয়ন্ত্রণহীন তা সর্বসাম্প্রতিক অপরাধপ্রবণতা পর্যালোচনা করলেই উপলব্ধি করা যায়। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) দুই হাজার ১৫৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৮৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের অপমৃত্যু এবং ৭২৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে শিশুধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ হারে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৬ শিশু। যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ৩৫১। এপ্রিল এবং মে এই দুই মাসেই শিশুধর্ষণ হয়েছে ২৪১টি, যা কি না মোট ধর্ষণের অর্ধেকেরও বেশি। এই ৪৯৬টি ধর্ষণ হওয়া শিশুর মধ্যে ৫৩টি শিশুকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, ২৭টি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৩টি শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এই ছয় মাসে ১২০টি শিশু অপহরণ হয়েছে এবং ৭২টি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। অপহরণ হওয়া শিশুদের মধ্যে ৬১ জনকে অপহরণের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দ্বারা জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু নিখোঁজ হওয়া শিশুদের মধ্যে ২৪ জনকে মৃত বা হত্যা করা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বিগত বছরগুলোর নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতাবিষয়ক অপরাধপ্রবণতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এসব অপরাধ বাড়ছে গাণিতিক হারে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২০১৮ সালে সারা দেশে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪৩৩ শিশু। এর মধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৫৬ জন। ধর্ষণজনিত নির্যাতনে মারা গেছে ২২ শিশু। আর যৌন নির্যাতন, হত্যা ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছে ২৪৯ শিশু। এ ছাড়া ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণচেষ্টা ও নির্যাতনের ফলে আক্রান্ত হয়েছে ১০০৬ শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৫৩ জনের ওপর। জাতীয় গণমাধ্যমে ২০১৮ সালে প্রকাশিত খবর পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে সাত থেকে দুই বছর বয়সের শিশুরা এবং সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা। নেতিবাচক ঘটনায় গত বছর ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে শুধু শিক্ষকদের দ্বারা ১২৯টি শিশু নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছে। শিক্ষকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭টি শিশু, শারীরিকভাবে নির্যাতিত শিশুর সংখ্যা ৭০টি, যৌন হয়রানির শিকার ৩৩টি, ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে সাতজনের ওপর।

এ ছাড়া ২০১৮ সালে ২২৭টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাচেষ্টায় আহত হয় ৪৯টি শিশু। ২০১৭ সালে যার সংখ্যা ছিল ১৯৬ ও ২৮ জন। সে হিসাবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে শিশু হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে ধর্ষণ চেষ্টার হার বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আমাদের দেশে যে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে, উপরের পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মূলত আমাদের দেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কারণেই রাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সফল ও সার্থক হতে পারছে না। ক্ষমতাকেন্দ্রিকতার কারণে আমাদের দেশের রাজনীতি গণমুখী চরিত্র হারিয়েছে বলে মনে করা হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের পুরো সমাজব্যবস্থার ওপর। ফলে রাষ্ট্র দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পারছে না। গণমানুষের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করা রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব হলেও এ ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোনো সাফল্য নেই। ফলে আমাদের সমাজে অবক্ষয় বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, মূল্যবোধের অনুপস্থিতি ও বাঁধভাঙা অক্ষয়ের কারণেই অপরাধপ্রবণতাও লাগামহীন। নারী ও শিশুধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা এর একটি অনুষঙ্গ মাত্র।

ধর্ষণ অভিনব কোনো অপরাধ নয় বরং সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথেই ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আর তা দমন, নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত পরিসরে রাখতে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এই অপরাধকে দণ্ডবিধির আওতায় আনা হয়েছে। বিভিন্নভাবে এই অপরাধকে সংজ্ঞায়ন ও অপরাধের ধরন মোতাবেক দণ্ডবিধিতে শাস্তির ধরনও বিধৃত হয়েছে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা হলো ধর্ষণবিষয়ক ধারা। এ বিষয়ে আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনও রয়েছে। দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ষণজনিত কারণে ভিকটিমের মৃত্যু হলে প্রাণদণ্ডের বিধানও রয়েছে আইনে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের দেশে ধর্ষণবিষয়ক আইন বেশ সময়োপযোগী বলেই মনে করা যায়। কিন্তু আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ও দণ্ডবিধির ইনসাফপূর্ণ প্রয়োগের অভাবেই এই অপরাধ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিশে^র অপরাপর দেশেও এই অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দণ্ডবিধিতে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

চীন : চীনে আইন রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ধর্ষককে সরাসরি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার।

ইরান : ইরানে ধর্ষণের শাস্তি হলো জনসম্মুখে ফাঁসি কিংবা গুলি করে হত্যা।

নেদারল্যান্ডস : দেশটিতে ধর্ষণসংক্রান্ত অপরাধে ভিকটিমের বয়স বিবেচনায় ধর্ষককে ৪ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।

ফ্রান্স : ফ্রান্সে প্রাথমিকভাবে ধর্ষককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় যে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর, সে ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ বছর, এমনকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশও দেয়া হতে পারে।

আফগানিস্তান : শাস্তি প্রদানে এ দেশে কোনো বিলম্ব করা হয় না। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার চার দিনের মধ্যে ধর্ষকের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।

উত্তর কোরিয়া : এ দেশে একটি স্কোয়াড আছে, যারা অভিযোগ প্রমাণের সাথে সাথেই ধর্ষকের মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করে।

রাশিয়া : রাশিয়ায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সাজা মাত্র তিন বছর। তবে ভুক্তভোগীর অবস্থা বিবেচনা করে সাজার মেয়াদ ক্রমান্বয়ে বাড়াতে বাড়াতে ৩০ বছর পর্যন্ত নেয়া যেতে পারে।

সৌদি আরব : অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে, বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষককে জনসম্মুখে শিরোñেদের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত : ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির সাজা এ দেশে সরাসরি ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু। কোনো রকম দেন দরবার বা ক্ষতিপূরণের সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণের ৭ দিনের মধ্যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ভারত : ২০১৩ সালে ধর্ষণবিরোধী আইন পাসের পর ভারতে ধর্ষণের সাজা কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। এখন সেখানে ধর্ষককে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।

মিসর : মিসরে শুধু ধর্ষককে শাস্তিই দেয়া হয় না, পাশাপাশি চেষ্টা করা হয় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার যাতে পরবর্তীতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পর্যন্ত না পায়। আর তা নিশ্চিত করতে জনসমাবেশের মতো করে, সবার সামনে ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র : এখানে দুই ধরনের আইনি ব্যবস্থা বিদ্যমান। স্টেট ল’ আর ফেডারাল ল’। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ফেডারাল ল’-এর অধীনে অভিযোগ জমা দেয়, তাহলে ধর্ষককে জরিমানা করা হয়, কিংবা কখনো সখনো মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়। কিন্তু স্টেট ল’-এর নিয়মকানুন প্রতিটি রাজ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন।

নরওয়ে : আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে এখানে ধর্ষককে ৪ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ইসরাইল : এখানে একজন ধর্ষকের সর্বনি¤œ ৪ বছর, আর সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
দণ্ডবিধির প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত পরিসরে রাখা সম্ভব হলেও আমাদের দেশে সর্বসাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গোটা দেশই এখন ধর্ষকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতিই এর অন্যতম কারণ। মূল্যবোধের বিচ্যুতি ও মাত্রাতিরিক্ত অবক্ষয়ও এ জন্য কম দায়ী নয়।

যেহেতু আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রই নাগরিকের সব কিছুই দেখভাল করে, তাই মূল্যবোধের লালন ও চর্চার পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্বও রাষ্ট্রের। অবক্ষয়ের মূলে রয়েছে সুশাসনের অভাব, ধর্মবিমুখতা, অসহিষ্ণুতা এবং সর্বগ্রাসী অশ্লীলতার মতো আরো কিছু বিষয়। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধই মানুষের জীবনপ্রণালী ইতর প্রাণী থেকে আলাদা করে; মানুষকে সভ্য, সংবেদনশীল ও পরিশীলিত রূপ দেয়। পক্ষান্তরে ধর্মহীনতা মানুষকে নামিয়ে দেয় পশুত্বেরও নি¤œ পর্যায়ে। তাই দেশকে নারী ও শিশুধর্ষণের ভয়াবহতা রোধসহ অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, দণ্ডবিধির যথাযথ প্রয়োগ, নৈতিক শিক্ষার সম্প্রসারণ সর্বোপরি সর্বসাধারণের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রতকরণের কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে আমাদের এই ভয়াবহ অভিশাপ থেকে রক্ষা করতে।

মূলত প্রতিটি সভ্যতাই গড়ে উঠেছিল কোনো না কোনো ধর্মকে আশ্রয় করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটি সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেটি ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই একটি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠন, অবক্ষয়হীন ও অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধের সম্প্রসারণ, লালন ও অনুশীলন করতে হবে। অন্যথায় সামিয়াদের ভাগ্যবিড়ম্বনার অবসান হবে না। হ
ংসসলড়ু@মসধরষ.পড়স

http://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/424716