বাজেট। ছবি: যুগান্তর
১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:২৩

ভ্যাটের ভার সর্বত্রই

চারটির কথা বলা হলেও প্রকৃত স্তর ৮টি

প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাটের ভার পড়েছে প্রায় সর্বত্রই। ১ হাজার ৪৩টি ভোগ্যপণ্য ও সেবা ছাড়া প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভ্যাটের জাল বিস্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে নিত্য ব্যবহার্য, ভোগ্য, বিলাসী পণ্য, আমদানি ও দেশে উৎপাদিত শিল্প ও কৃষিপণ্যও রয়েছে। শুধু তাই শিল্পের উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রেও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ভ্যাটের প্রভাবে এসব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে বাজারে এগুলোর দাম বাড়বে।

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজেট উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অর্থবিলে বলা হয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব পণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হবে। এমনকি স্থানীয়ভাবে যারা পাইকারি ব্যবসা করেন তাদেরকেও ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। এতে ভ্যাটের আওতা আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে।

বাজেটে ওষুধ ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ওষুধের স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে ২ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। ফলে খুচরা পর্যায়ে ওষুধের দাম বেড়ে যাবে। এতে চিকিৎসা ব্যয়সহ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে। একই সঙ্গে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করায় এটি কেনার খরচ বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে সব খাতে।

কারণ পেট্রোলিয়াম পণ্য অন্যান্য প্রায় সব পণ্য ও সেবার খরচকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রভাবিত করে। আর পণ্য ও সেবার পরিবহন, বিপণন, সংরক্ষণ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া আগের হারে ভূমি উন্নয়ন সংস্থার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। ভবন বিক্রি বা হস্তান্তরে নিয়োজিত সংস্থার ক্ষেত্রেও ভ্যাট দিতে হবে। এর মধ্যে ১ থেকে ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ২ শতাংশ এবং এর উপরের ক্ষেত্রে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।

যে কোনো আকারের ভবন বা ফ্ল্যাট পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভ্যাট হবে ২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ স্তরে ভ্যাট আরোপের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে (অর্থবিলে) ভ্যাটের স্তর দাঁড়াচ্ছে ৮টি। এর মধ্যে নিয়মিত স্তর হচ্ছে ৪টি। এগুলো হচ্ছে, ৫, সাড়ে ৭, ১০ ও ১৫। বিশেষ স্তর রয়েছে আরও ৪টি। এগুলো হচ্ছে- ২, ২ দশমিক ৪, ৩ এবং সাড়ে ৪ শতাংশ। তবে বিশেষ স্তরে ভ্যাট আরোপযোগ্য পণ্যের সংখ্যা খুবই কম।

দেশে উৎপাদিত শিল্প, কৃষি, আমদানি পণ্য ও সেবাসহ মোট প্রায় ২০ হাজার পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে আমদানি পণ্য সাড়ে ৭ হাজার। বাকিগুলো দেশীয় পণ্য ও সেবা। এর মধ্যে ভ্যাটের আওতার বাইরে রয়েছে ১ হাজার ৪৩টি পণ্য ও সেবা। এসব পণ্যের বেশির ভাগই ভোগ্যপণ্য। ভ্যাটের আওতা বাড়াতে গিয়ে সরকার প্রায় পণ্য সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করেছে।

কিছু পণ্য ও সেবার ক্ষ্যেত্রে ভ্যাট আরোপ করা না হলেও এসব খাতে ব্যবসায়ীদের অনেকে টার্নওভার ট্যাক্সের আওতায় পড়ে যাবেন। ফলে সব মিলে ব্যবসা খাতে করের কক্ষ বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে এলপি গ্যাসের মতো নিত্য ব্যবহার্য পণ্যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। ফলে এর দাম যেমন বেড়ে যাবে, একই সঙ্গে এর প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে।

এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব যুগান্তরকে বলেন, নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক প্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে এসব পণ্যে ভ্যাট তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলাম। বাজেটে দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভ্যাটকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৫ শতাংশকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেড়ে গেছে। এতে করে ভোক্তা হয়রানি হচ্ছে।

যেসব পণ্যে ৫ শতাংশ ভ্যাট : ৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতায় যেসব পণ্য পড়েছে আগে এসব অনেক পণ্যে ভ্যাট ছিল না। কিছু পণ্যে আগে থেকে ভ্যাট ছিল। তবে কম হারে। এবার ভ্যাটের আওতা বাড়াতে ভ্যাটের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি নতুন পণ্য ভ্যাটের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে এমন সব পণ্যের মধ্যে রয়েছে :

দুধ : তরল দুধ, গুঁড়া দুধ।

মসলা : গুঁড়া মরিচ, ধনিয়া, আদা, হলুদ, সব ধরনের মসলার মিশ্রণ।

তেল : রেপসিড অয়েল, কোলজা সিডস অয়েল, কোনালা অয়েল, সরিষার তেল।

বিস্কিট : মেশিনে প্রস্তুত বিস্কিট, হাতে তৈরি বিস্কিট, হাতে তৈরি কেকসহ সব ধরনের বিস্কিট জাতীয় পণ্য।

আচার : বোতলজাত ও প্যাকেটজাত আচার, চাটনি, বোতলজাত ও প্যাকেটজাত টমেটো মেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প, তেঁতুলের পেস্ট, আমসত্ত্ব বা ম্যাংগো বারসহ সব ধরনের আচার জাতীয় পণ্য।

জুস : আমের জুস, পেয়ারার জুস, তেঁতুলের জুসসহ সব ধরনের প্যাকেট ও বোতলজাত জুস।

শিল্পের উপকরণ : বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পে উৎপাদিত কয়লা, পোড়া বা ব্যবহার অযোগ্য ট্রান্সফরমার অয়েল, লুবব্লেন্ডিং অয়েল বা রাবার প্রসেসিং অয়েলসহ এ জাতীয় পণ্য।

সেবা : বিআরটিএকে সরবরাহ করা লেমিনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্স।

শিল্প পণ্য : প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট সামগ্রী, টিফিনবক্স, পানির বোতল, মিলে উৎপাদিত পেপার, লাইনার পেপার, হোয়াইট পেপার, ক্রাফট পেপার, মিডিয়া পেপার, কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, পকেট টিস্যু, নোট বুক, খাতা, কটন ইয়ার্ন, কৃত্রিম আঁশ দিয়ে তৈরি ফেব্রিক্স, স্ক্র্যাপ বা শিপ স্ক্র্যাপ, এইচ আর কয়েল থেকে সি আর কয়েল, সি আর কয়েল থকে জিপি শিট, সি আর কয়েল থেকে সিআই শিট, জি আই ওয়্যার, তারকাঁটা, টোপ তারকাঁটা, বিভিন্ন সাইজের ও প্রকারের স্ক্রু, জিংক কোটিং, নিকেল কোটিং, অন্যান্য মেটাল কোটিং, ইলেক্ট্রনিক লাইন হার্ডওয়্যার, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কিচেন বা অন্যান্য গৃহস্থালি তৈজসপত্র, স্যানিটারি ওয়্যার এবং যন্ত্রাংশ, স্টেইনলেস স্টিলের স্ট্রিপ হতে প্রস্তুত ব্লেড, কার্বন স্টিলের স্ট্রিপ হতে প্রস্তুত ব্লেড।

বৈদ্যুতিক পণ্য : এক থেকে ১০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব, ১১ থেকে ২০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব, ৩১ থেকে ৫০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব, ৫০ ওয়াটের অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব, টিউব লাইট, বিদ্যুৎ বিতরণকারী।

পরিবহন : বাস, মিনিবাস, ট্রাক, ট্রাক ভ্যান, হেলিকপ্টার, পেট্রল বোট, গান বোট, কোস্টাল পেট্রল বোট, পণ্যবাহী যান্ত্রিক নৌযান, যাত্রীবাহী যান্ত্রিক নৌযান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিস ও পরিবহন ঠিকাদার।

চশমা : চশমার প্লাস্টিক ফ্রেম, চশমার মেটাল ফ্রেম, সান গ্লাস, রিডিং গ্লাস।

অন্যান্য : নারিকেলের ছোবড়া হতে তৈরি ম্যাট্রেস, আসবাবপত্রে বিপণন কেন্দ্র, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ইন্টারনেট সংস্থা, স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার, স্বর্ণের ও রৌপ্যের দোকানদার।

সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট : সাড়ে ৭ শতাংশ হারে যেসব পণ্যে ভ্যাট দিতে হবে সেগুলোর মধ্যে আছে :

ধূমপান : সিগারেট, বিড়ি পেপার।

ফটোগ্রাফিক : সেল্ফ কপি পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড বা কোটেড পেপার, সিমপ্লেক্স পেপার, কালার পেপার।

রেস্তরাঁ : নন এসি হোটেল ও রেস্তরাঁ।

বিনোদন : এমিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্ক।

পোশাক : নিজস্ব ব্র্যান্ড সংবলিত তৈরি পোশাক বিপণন, নিজস্ব ব্র্যান্ড ব্যতীত তৈরি পোশাক বিপণন।

অন্যান্য : সোস্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল বিজনেস, নির্মাণ সংস্থা, আসবাবপত্রের উৎপাদক, জোগানদার, নিলামকৃত পণ্যের ক্রেতা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রায় সব পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এই বাজেট কার্যকর হলে সাধারণ ভোক্তার জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। তবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন যেখানে ভ্যাট নিয়ে সমস্যা হবে সেখানে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কারণ পণ্যের দাম বাড়লে এটা যেমন জনগণের জন্য ক্ষতি। ঠিক তেমনি সরকারের জন্যও ক্ষতি। মানুষ বেশি দামে পণ্য কখনই মেনে নেবে না। তাই আমার ধারণা বাজেট কার্যকর হওয়ার আগে ভ্যাটের হার কমানো হবে।

১০ শতাংশ ভ্যাট : যেসব পণ্যের বিপরীতে ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে : বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইলেক্ট্রিক পোল, মোটর গাড়ির গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, নিলামকারী সংস্থা, যান্ত্রিক লন্ড্রি, চলচ্চিত্র স্টুডিও, চলচ্চিত্র প্রদর্শক, মেরামত সার্ভিসিং, সিকিউরিটি সার্ভিস, স্বয়ংক্রিয় বা যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলা আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, বোর্ডসভায় যোগদানকারী, টেইলারিং শপ ও টেইলার্স, ভবন, মেঝে ও অঙ্গন পরিষ্কার বা রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা, লটারির টিকিট বিক্রয়কারী, সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মাওলা যুগান্তরকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বলতে গেলে সব পণ্যের ওপরই ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। এই হার কমাতে আমরা এফবিসিসিআইর মাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।

ভ্যাট অব্যাহতি : প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্পমুখী শিল্প, দেশে উৎপাদিত শিল্প পণ্য ও কিছু ভোগ্য পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

রফতানি খাত : রফতানিমুখী খাতকে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা আনতে ভ্যাটের চাপ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের সেবা থেকে ভ্যাটমুক্ত থাকবে। এর মধ্যে আছে- প্রাকৃতিক গ্যাস, ওয়াসা, যোগানদার, সিকিউরিটি সার্ভিস, পরিবহন ঠিকাদার, যানবাহন ভাড়া প্রদানকারী, বিদ্যুৎ বিতরণকারী, তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, বিদেশি সেবা গ্রহণ, শ্রমিক কল্যাণ ও বিনোদন ব্যয়, ল্যাবরেটরি চার্জ, বন্দর, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স, সিঅ্যান্ডএফ সংস্থা, বীমা কোম্পানি, শিপিং এজেন্ট, বন্দর, টেলিফোন, টেলেক্স, ফ্যাক্স, অগ্নিবীমা, কুরিয়ার সার্ভিস ও ব্যাংকিং সেবার ওপর শতভাগ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বিনিয়োগ : বিনিয়োগে প্রণোদনা দিতে কিছু খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব খাতে আগে বেশকিছু সেবার বিপরীতে আংশিক ভ্যাট ছিল। এর মধ্যে আছে, হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, ফ্রিজের কম্প্রেসার উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল থাকবে। পাশাপাশি বাজেটে দেশে প্রাইভেট কার ও ওষুধ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হয়েছে।

ভোগ্য পণ্যের মধ্যে চিড়া, মুড়ি, পাউরুটি, বনরুটি, আলু, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গোলমরিচ, সবজি হাতে তৈরি বিস্কিট ও কেক ১৫০ টাকা মূল্যের পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর বেশি দামের হলে ভ্যাট দিতে হবে।

এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি, নারী উদ্যোক্তাদের শোরুম, পিপিপি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন খাতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/188906