১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ১২:৩১

সারা দেশে দুর্বল-ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ঝুঁকির মুখে শিল্প উৎপাদন

বিদ্যুৎ গেলেই কেমিক্যাল নষ্ট বেড়ে যায় ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ কেভিতেও লোডশেডিং * বিতরণ লাইনের সক্ষমতা না থাকায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ অনেক এলাকার শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই আছে

সারা দেশে দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের কারণে এখনও শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনেও হরহামেশা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। যেটি হওয়ার কথা নয়।

এছাড়া পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকার পরও অপ্রতুল ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন। দীর্ঘদিন আগে সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় ১২টি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন বসানোর উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়ালেও ঢাকাসহ দেশের কোথাও চাহিদা অনুযায়ী লাইনে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সঞ্চালন লাইনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সাধারণ কালবৈশাখী ঝড়েও দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। গাছের ডালপালার আঘাত এমনকি ছোটখাটো পাখির ঝাপটায়ও ট্রিপ করছে (গ্রিড স্টেশনের সার্কিট পড়ে যাওয়া) গ্রিডলাইন। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর কোনোটিতে যদি ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেও গ্রিড ট্রিপ করছে। পুরনো লাইন ওভার লোডেড হয়ে ঘন ঘন ট্রান্সফরমার জ্বলে যাচ্ছে। লাইন পুড়ে ও ছিঁড়ে বিকল হচ্ছে উপকেন্দ্র।

খোদ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর অভিযোগ, তাদের হাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকলেও দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের কারণে উৎপাদিত বিদ্যুৎ লাইনে দিতে পারছে না। এ কারণে দেশের বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে না। শিল্প-কারখানা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, যতবার বিদ্যুৎ চলে যায় ততবারই কেমিক্যাল নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও নানামুখী ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। তারা জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে উৎপাদন বিঘ্ন ঘটে। এতে করে মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান শতভাগ নিশ্চিত রাখতে বারবার কেমিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। এর ফলে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিল্প মালিকদের।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শনিবার যুগান্তরকে বলেন, শুধু সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের দুর্বলতার কারণে উৎপাদিত বিদ্যুৎ মানুষকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আধুনিক সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। দেশের অনেক এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড বিতরণ লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। পল্লী বিদ্যুতের সমিতিগুলোতেও বিতরণ লাইনের কাজ চলছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা হচ্ছে। এগুলো সম্পন্ন হলে বিতরণ ও সঞ্চালন সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হলে ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ দিতে হবে। এসব লাইনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় না। কাজেই সারা দেশে এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে ১৫ থেকে ২০টি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণ করা দরকার। তার মতে, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার পোড়ার পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর শামসুল আলম বলেন, সারা দেশের সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের অবস্থা বেহাল। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে যতটা সাফল্য দেখিয়েছে গ্রিডলাইন ও বিতরণ লাইন নির্মাণে সে সাফল্য দেখাতে পারেনি। দীর্ঘদিন আগে সারা দেশে বেশকিছু ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) এ নিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে সারা দেশে সে পরিমাণ ১৩২/৩৩ কেভির সাবস্টেশন নেই। এ কারণে বেশির ভাগ শিল্প-কারখানাগুলোকে ২০/২৫ কিলোমিটার দূর থেকে ব্রেকার বসিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ আনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে ছোট বড় শিল্প-কারখানা। কিন্তু শক্তিশালী সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের কারণে এসব শিল্প-কারখানা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। পিজিসিবির অনীহা, দূরদর্শিতা ও দক্ষতার অভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে পরিমাণ ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন গড়ে ওঠার কথা ছিল তাও আলোর মুখ দেখেনি। শামসুল আলম বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়ালেও এ সাফল্য ঘরে তোলা যাবে না।

দেশের বিদ্যমান সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ৩০ বছরের পুরনো সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের কারণে দেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। ব্যবস্থা উন্নত করতে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। পিজিসিবি এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে পুরো সমস্যা সমাধান করতে আরও কমপক্ষে ২-৩ বছর লাগবে।

বর্তমানে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রায় ৩ কোটি নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। আগামী এক বছর জাতীয় গ্রিডে আরও দেড় থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। কিন্তু সে তুলনায় বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। এখনও সেই ৪ হাজার মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির বিতরণ লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। খোদ রাজধানী ও আশপাশের অনেক এলাকায় এখনও বাঁশের খুঁটি, টিনের চাল ও গাছের ডালপালা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি চাপে প্রতিদিনই দুর্বল হয়ে পড়ছে বিতরণ লাইন।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ অনেক এলাকার শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না শুধু বিতরণ লাইনের সক্ষমতা না থাকায়। লাইনে ত্রুটি থাকায় বহু স্থানে বিদ্যুৎ দেয়া যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় লাইন ওভার লোডেড হয়ে ট্রান্সফরমার জ্বলে যাচ্ছে। লাইন পুড়ে ও ছিঁড়ে যাওয়াসহ উপকেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি কিংবা ঝড়ো বাতাস শুরু হলে কিংবা বৃষ্টির আগে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। কেননা এসব ক্ষেত্রে যদি আগে বন্ধ করা না হয়, তাহলে ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। এমনটিই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বেশির ভাগ এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। আরইবি বলছে, দীর্ঘদিন আগে মাধবপুরের জগদীশপুরে নতুন একটি ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পিজিসিবি এই সাব-স্টেশনটি নির্মাণ করার কথা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ উপকেন্দ্রটির এখনও কাজই শুরু হয়নি। আরইবি’র ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে মাধবপুর, বেজুড়া, হবিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বড় বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। প্রতিদিনই এখানে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। কোনো কোনো শিল্পকারখানায় ৩০ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও লাগছে। এ অবস্থায় এখন আর সিলেটের শাহজিবাজার ১৩২/৩৩ কেভি সাব-স্টেশন থেকে বে-ব্রেকার বসিয়ে বিদ্যুৎ এনে এসব শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মতে, দ্রুত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জগদীশপুরের সাব-স্টেশনটি নির্মাণ করা দারকার। তা না হলে এই এলাকার শিল্পকারখনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যে পরিমাণ মনোনিবেশ করেছে, সেই পরিমাণ আগ্রহ নেই সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়ন সম্প্রসারণে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, সে হিসাবে বিতরণ লাইন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। অপরদিকে নতুন লাইন সম্প্রসারণ হলেও পুরনো লাইনের সংস্কারে সরকার কোনো কাজ করেনি।

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) হিসাব মতে, সারা দেশে ২ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটারই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। মেরামত না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাকি ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার লাইনও জরাজীর্ণ হয়ে পাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে ২৩০ কেভি ও ১৩২ কেভি লাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন করা হয়। ১৯৯৬ সালে যখন পিজিসিবি গঠন করা হয়, তখন ২৩০ ও ১৩২ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য ছিল যথাক্রমে ৮৩৮ সার্কিট কিলোমিটার ও ৪ হাজার ৭৫৫ সার্কিট কিলোমিটার। ২০০১-০২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের (জানুয়ারি পর্যন্ত) ৩ হাজার ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন, ৬ হাজার ৮০ সার্কিট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন, ৮ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৯টি ২৩০/১৩২ কেভি উপকেন্দ্র, ১০ হাজার ৫৭৩ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮৬টি ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র, ৮টি উপকেন্দ্রে ১৩২ কেভি বাসে ৪৫০ মেগাভার ক্যাপাসিটার ব্যাংক ও ৫০টি উপকেন্দ্রে ৩৩ কেভি বাসে ১ হাজার ২২৫ মেগাভার ক্যাপাসিটার ব্যাংক স্থাপন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বহু প্রকল্প মাঝপথে থেমে আছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে বিদ্যুতের ওভার লোডে প্রতিমাসে গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার বিতরণ ট্রান্সফরমার পুড়ে যাচ্ছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ প্রতিষ্ঠানের ওভার লোডেড ট্রান্সফরমার ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ। আরইবি’র ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬১৬টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৮টি ওভার লোডেড বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় বেসরকারি খাতকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন ও পরিচালনার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগ একটি নীতি কাঠামোর খসড়া তৈরি করেছে। ‘পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক অন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ফর পাওয়ার ট্রান্সমিশন সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের খসড়া নীতি কাঠামো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট কিছু সঞ্চালন লাইন পিপিপির আওতায় দেয়া হবে। সেখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার পর নীতি ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে পিপিপির আওতায় আরও বেশি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কখন কোন সঞ্চালন লাইন বেসরকারি খাতে দেয়া হবে, তা নির্ধারণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/188026