প্রথমবার তাড়াহুড়ো করে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন। সেবার তড়িঘড়ির পেছনে তার একটি যুক্তি ছিল। তিনি বলেছিলেন, এ আদেশ বাস্তবায়নে দেরি হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে তাড়াহুড়ো শুরু করবে ‘খারাপ লোকগুলো’। পরে তো একাধিক ফেডারেল আদালত স্থগিত করে দিলেন এ নিষেধাজ্ঞা। প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সংশোধনী এনে আবারো নতুন করে নির্বাহী আদেশ দেয়ার হুমকি দেন। বার্তা সংস্থা এপি’র খবর, এবার আর আগের মতো ওই তাগাদা বোধ করছে না মার্কিন প্রশাসন।

খবরে বলা হয়, নতুন করে নির্বাহী আদেশ জারি করার সময়সীমা বারবার পেছানো হচ্ছে। হয়তো আইনি জটিলতা টের পেয়েই এমনটা করা হচ্ছে। ফলে ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের অগ্রাধিকার ও পলিসিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী সপ্তাহের আগে নতুন নির্বাহী আদেশ জারি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এমনকি এরপরেও বিলম্ব হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে অভিবাসন সেবা বিভাগের প্রধান ডরিস মেসনার বলেন, ‘পূর্বে চটজলদি ওই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছিল, তার সঙ্গে এখনকার বিলম্ব তো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ তার মতে, ওই যুক্তি ছিল কল্পিত! আর অমন তড়িঘড়ি নির্বাহী আদেশ সই করার বিষয়টি মূলত প্রশাসনের অনভিজ্ঞতাই ফুটিয়ে তোলে।

হোয়াইট হাউস অবশ্য আশাবাদী, পরের নির্বাহী আদেশ হবে ‘মসৃণ’ ও ‘ত্রুটিমুক্ত’।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=55943