ইলিশ মাছ। ছবি: সংগৃহীত
৩০ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ১২:৩৪

মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে

ইলিশের হালি ৬০০০ টাকা খাসির মাংসও চড়া

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সবজি ছাড়াও মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে আরেক দফা। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হচ্ছিল ৫৫০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ছিল ৮৫০-৮৮০ টাকা।

পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ইলিশের দামও বাড়তির দিকে। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে ইলিশের সরবরাহও কম। এক কেজি ওজনের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫৫০০-৬০০০ টাকায়, ৮শ’ গ্রামের প্রতি হালি ইলিশ ৪০০০-৪৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ইলিশের হালি ২৫০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি কক। সপ্তাহের ব্যবধানে লেয়ার ও সোনালি কক কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। সব ধরনের মাছ উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছিল। তবে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও নয়াবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতোই ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লাল লেয়ার মুরগির বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ছিল ২২০-২৩০ টাকা। সোনালি কক মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ছিল ২৯০-৩০০ টাকা।

জানতে চাইলে নয়াবাজারের মুরগি বিক্রেতা শপন বলেন, খুচরা বাজারে মুরগি কম। তাই দাম বেশি। সব ধরনের সবজি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছিল শুক্রবার। খুচরা বাজারে বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটোল ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, করলা মানভেদে ৬০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রতি পিস লাউ ৭০-৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছিল। পাকা টমেটো ৩০-৫০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি। শীতের সবজি শেষ ও গ্রীষ্মের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। বেশি দামে কেনা তাই বিক্রিও বেশি দামে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা, রুই আকারভেদে ৩৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৭০০-৭৫০ টাকা, শিং ৪০০-৫৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা ও চিতল মাছ ৫০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা নাসির উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। দাম বাড়ছেই। মুরগি ও গরুর মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। কোনো কিছুতেই স্বস্তি নেই। বেঁচে থাকার জন্য দাম বেশি হলেও কিনতেই হচ্ছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/160856