২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ১১:১৬

কেরানীগঞ্জ বিসিক কেমিক্যাল পল্লী

আট বছরেও মেলেনি জমি

নিমতলী ট্র্যাজেডির পর প্রকল্পের উদ্যোগ কিন্তু অনুমোদন ২০১৮ সালে * পুরান ঢাকায় ছড়িয়ে আছে ৪ হাজার কেমিক্যাল গুদাম ও কারখানা * ব্যবসায়ীদের টালবাহানায় স্থানান্তরে দীর্ঘসূত্রতা

কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের জন্য আট বছরেও জমি অধিগ্রহণ হয়নি। ২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকার রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নেয়ার প্রকল্প অনুমোদন পেতেই গেছে আট বছর।

২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদনের পর গত জানুয়ারিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। বরাদ্দ পেলে জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)।

অথচ নিমতলী থেকে চুড়িহাট্টার ট্র্যাজেডি পর্যন্ত কয়েক বছরে মন্ত্রী, মেয়র, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা দফায় দফায় গুদাম সরানোর ঘোষণা, আশ্বাস ও নির্দেশ দেন। কিন্তু বাস্তবে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এখনও ছড়িয়ে আছে ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান।

নিমতলীতে ১২৪ জনের মৃত্যুর পরও কিছুই সরেনি। এ অবস্থায় বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আরও ঝরল ৭৮ প্রাণ। কাজেই গুদাম ও কারখানা স্থানান্তরের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আশ্বাস ও নির্দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার জন্য ব্যবসায়ীদের অনীহা ও টালবাহানাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের কারণেই কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। তাদের অনেকেই পুরান ঢাকা ছাড়তে চান না। মানুষের জীবনের চেয়ে তাদের কাছে ব্যবসাই বড়।

কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন বলেছেন, পুরান ঢাকার রাসায়নিক কারখানা সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাজ শেষ হলে রাসায়নিক কারখানা ও গুদামের মালিকদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। তারপর তারা পুরান ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জের পল্লীতে তাদের গুদাম ও কারখানা সরিয়ে নেবেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান যুগান্তরকে বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের জন্য কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল শিল্প জোন গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা শিল্প জোনের সাইট নির্বাচন করেছি। এখন জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ডিসি অফিসের দায়িত্ব জমি অধিগ্রহণ কাজ। জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কেরানীগঞ্জের কেমিক্যাল শিল্প জোন তৈরির কাজ পরিচালনা করব।

শুরু থেকে এ প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে আছেন বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক খোন্দকার আমিনুজ্জামান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নিতে রাত-দিন কাজ করেছি।

কিন্তু কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের নানা টালবাহানার কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা থাকলে আরও চার বছর আগেই পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে ফেলা সম্ভব হতো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীর কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন।

এরপর ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল ১০ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র, শিল্প, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ওই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়, পুরান ঢাকায় অবস্থিত ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো সরিয়ে নেয়া হবে। ২০১১ সালের ২০ জুলাই গঠিত কমিটি প্রতিবেদন আকারে একটি সুপারিশ জমা দেয়।

ওই সুপারিশে বলা হয়, কেরানীগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর পাশে ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে, সেখানে ৭ তলাবিশিষ্ট ১৭টি ভবন নির্মাণ করে তাদের সরিয়ে নেয়া সম্ভব। এ সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান (বিসিক) ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইলও (ডিপিপি) প্রস্তত করে। ওই ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

এরপর বিসিকের পক্ষ থেকে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের তিনটি সংগঠনকে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

একপর্যায়ে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এ ধরনের ভবনে যেতে ইচ্ছুক নয়। তাদের বিসিকের অন্যান্য প্রকল্পের মতো শিল্প প্রকল্প করে প্লট বরাদ্দ দিলে তারা সেখানে যাবেন।

পরবর্তী সময়ে সরকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে তাদের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের প্রথম উদ্যোগ বাতিল হয়ে যায়।

এরপর ২০১৭ সালের মার্চে নতুন করে কেমিক্যাল শিল্পপল্লী তৈরির উদ্যোগ নেয় বিসিক এবং নতুন ডিপিপি তৈরি করে। সেখানে কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে রাসায়নিক পল্লী স্থাপনের কথা বলা হয়। বিসিকের এ ডিপিপি যাচাই-বাছাই করে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

সর্বশেষ গত বছরের ৩০ অক্টোবর একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন মেলে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ২০১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বাবুবাজার ব্রিজ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বের কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে ৫০ একর জমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পে ৯৬০টি প্লট করা হবে। এসব প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে ক্ষতিকারণ দাহ্য কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন অপেক্ষাকৃত কম জনবহুল জায়গায় স্থানান্তরে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয় ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বৈঠকে ২২ ধরনের অতি দাহ্য পদার্থ ঢাকার বাইরে কম জনবহুল যেমন- শ্যামপুর, গাজীপুর এলাকায় স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের কেমিক্যাল পল্লীর কাজ দ্রুত শেষ করে ব্যবসায়ীদের প্লট বুঝিয়ে দিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী গোডাউন স্থানান্তরে অস্বীকৃতি বা অনীহা জানালে সরকারের উচিত হবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

এ ব্যাপারে এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ যুগান্তরকে বলেন, পুরান ঢাকায় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত ৭২ জন এসিড ও ১৩শ’ কেমিক্যাল ব্যবসায়ী আছেন।

তাদের মধ্যে ৮৫ ভাগ ঢাকার বাইরে ব্যবসা স্থানান্তর করতে চায়। শুধু যারা ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা, তারাই যেতে চান না। কারণ প্রতিটি গোডাউন ও দোকান থেকে উচ্চ হারে ভাড়া ও অগ্রিম টাকা পাওয়া যায়। একটি ২০০ ফুট দোকানের ভাড়া ৪০ হাজার টাকা এবং এলাকাভেদে ৩০-৪০ লাখ টাকা এডভান্স নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। একটি কেমিক্যাল পল্লী নির্ধারণ এবং অপরটি বিধিবিধান শনাক্তকরণ কমিটি।

বিধিবিধান শনাক্তকরণ কমিটিতে বিশেষজ্ঞসহ ব্যবসায়ীরাও ছিলেন। এ কমিটি ৫ বছর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়, যাতে কোন কোন কেমিক্যালে কী কী লাইসেন্স প্রয়োজন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা আর এগোয়নি।

পলাশ দাবি করেন, দুর্ঘটনা ঘটলে সবাই সরব হয়ে ওঠে। তার আগে সরকারের কোনো সংস্থাই যথাযথ মনিটরিং করে না। পুরান ঢাকায় দুর্ঘটনা ঘটলেই তার দায় কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের ওপর আসে। কেমিক্যালের চেয়ে আগুনের জন্য ভয়াবহ হচ্ছে প্লাস্টিক। এসব নিয়ে কারও কোনো কথা নেই।

এ ব্যাপারে কেমিক্যাল ও পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরাও পুরান ঢাকায় থাকতে চান না। সরকার কেমিক্যাল পল্লী বানিয়ে দিক এবং তারপর যদি ব্যবসায়ীরা সেখানে না গিয়ে আন্দোলন করে, তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।

তিনি বলেন, কেমিক্যাল কতজন আমদানি করেন, তার তালিকা সরকারের কাছে আছে। এখন প্রকৃত আমদানিকারকরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে কাস্টমসের সঙ্গে যোগসাজশ করে কেমিক্যাল আমদানি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মিটফোর্ড রোডের এস আহমেদ মার্কেটে লাবণ্য কেমিক্যালের মালিক শফিকুল ইসলাম মিলন যুগান্তরকে বলেন, বিসিক কেমিক্যাল নগরী করে দিলে সব ব্যবসায়ী সেখানে চলে যাবেন।

তারপরও অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে কেরানীগঞ্জে দাহ্য কেমিক্যালের গোডাউন করেছেন। পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, আরমানিটোলা ও বাবুবাজারে দাহ্য কেমিক্যাল বিক্রি করা হয় না বলে দাবি করেন তিনি।

একই রোডের ইকবাল মার্কেটের ব্যবসায়ী ইকবাল পারফিউমারি ও কেমিক্যালের মালিক হাজী ইকবাল হোসেন বলেন, সরকার চাইলে অবশ্যই ঢাকার বাইরে যেতে হবে। তার আগে ব্যবসায়ীদের জায়গা দিতে হবে।

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলো কতদিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম যুগান্তরকে বলেন, এটার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বলা যাচ্ছে না।

তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলো সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছি। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে এবং পিডিও নিয়োগ পেয়েছে।

অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় এখনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি, তবে আগামী অর্থবছরের শুরুতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তখন খুবই দ্রুতগতিতে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও পুরান ঢাকার রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নিতে এত দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব বলেন, আমি এ মন্ত্রণালয়ে খুব বেশি দিন নয়, তারপরও যতটুকু দেখেছি রাসায়নিক ব্যবসায়ী নেতারা পুরান ঢাকা ছাড়তে চান না।

তাদের একমতে আনা খুব কঠিন কাজ হয়। তাছাড়া তারা ঢাকার আশপাশে থাকতে চান, সেক্ষেত্রে জমি খুঁজে বের করাও কঠিন হয়ে পড়ে। মূলত রাসায়নিক ব্যবসায়ীদের নানা অজুহাতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি সময় লাগছে।

পুরান ঢাকায় ৪ হাজারের বেশি রাসায়নিক কারখানা রয়েছে। কেরানীগঞ্জে মাত্র ৯৬০টি প্লট তৈরি করা হচ্ছে। এতে সেখানে সব কারখানা কীভাবে স্থানান্তর সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমরা সেখানে দাহ্য রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলো আগে স্থানান্তরিত করব।

এছাড়া আমরা আরও নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, আমরা জমি খুঁজে বের করতে পারলে আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করব। এছাড়া পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক কারখানা সরিয়ে নিতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/147441