২৯ অক্টোবর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৫

জামায়াতের বিরুদ্ধে সিণ্ডিকেটেড মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের আহবান

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে কতিপয় সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সিণ্ডিকেটেড রিপোর্টে ‘দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার ব্যাপারে’ জামায়াতের নেতাদের জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৯ অক্টোবর ’১৫ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই কতিপয় সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সিণ্ডিকেটেড রিপোর্টে ‘দুই বিদেশী হত্যার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশ করা হয়েছে। এ তথ্যের কোন সত্যতা নেই।
কতিপয় পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সিণ্ডিকেটেড রিপোর্ট দেখে মনে হয় তারা নিজেরাই গোয়েন্দা বনেগিয়ে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সিণ্ডিকেটেড রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ব্যাপারে ভূমিকা পালন করছে। তারা কোন ঘটনা ঘটলেই জোর করে জামায়াতের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য সিণ্ডিকেটেড রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। ফলে প্রকৃত দোষীরা আড়ালেই থেকে যায়। গোয়েন্দা পুলিশ যে সব তথ্য পায় সেগুলি বাইরে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ। এ বেআইনী কাজ কোন পুলিশ কর্মকর্তা করতে পারেন না। তাই এ সব রিপোর্ট দেখে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন জাগে সিণ্ডিকেটেড রিপোর্টে যে সব তথ্য সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল পরিবেশন করে--তা কি আদৌ গোয়েন্দারা পরিবেশন করে থাকে? নাকি তারা নিজেরাই মনগড়া রিপোর্ট তৈরী করে তা গোয়েন্দাদের নজরে আনে।
আমরা পুনরায় স্পষ্টভাষায় জানাতে চাই যে, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কারো কোন সম্পর্ক নেই। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির হীনউদ্দেশ্যেই গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে কতিপয় সংবাদপত্রে জামায়াতকে জড়িয়ে আজগুবি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
দুই বিদেশী হত্যার ঘটনার পর পরই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা ঐ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঐ সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানিয়েছি। কিন্তু ঐ সব ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রীগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বত কর্মকর্তাগণ এবং তাদের মদদপুষ্ঠ কতিপয় সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সিণ্ডিকেটেড মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহল ও পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে আশা করছি তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”