২৩ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার, ১১:২০

হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় দেশবাসীকে মুবারকবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে সাজানো মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহূত আজ ২৩ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় দেশবাসীকে মুবারকবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৩ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে সর্বাত্মক হরতাল পালন করে শহীদ মুজাহিদকে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ একজন দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য ও নির্ভীক জাতীয় নেতা ছিলেন। তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করায় দেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

সরকারের নানা ধরনের হুমকি, রক্তচক্ষু, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার অভিযান উপেক্ষা করে দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, জনাব মুজাহিদ একজন জনপ্রিয় জাতীয় নেতা ছিলেন। আজ ২৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ড. হেলালউদ্দিন এডভোকেট, শাহবাগ থানা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব নূর মোহাম্মদ মন্ডল ও পল্টন থানা জামায়াতের সহকারী বাইতুলমাল সেক্রেটারী জনাব ফারুক হোসাইন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮ জন নেতা-কর্মীসহ ২০ জনকে এবং নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল ওহাব, নেত্রকোনায় ৫ জন কর্মীকে, গাজীপুরে ৭ জন কর্মীকে, রংপুরে ৬জন, নীলফামারীতে ২জন, লালমনিরহাটে ২জন ও ঝিনাইদহে ২জন, ঢাকা দক্ষিণে একজন কর্মীকে এবং গত ২২ নভেম্বর খিলগাঁও থানার জামায়াতের মহিলা কর্মী নিলুফার ইয়াসমিন ও রোকেয়া বেগমসহ জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে হরতাল চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হরতাল আহ্বান করা ও পালন করা দেশের জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকারে বাধা দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের উগ্র ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের আন্দোলনে বাধা দিয়ে কোন ফ্যাসিবাদী সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, বর্তমান সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এ সরকারের পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।

সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসী দিয়ে হত্যা করে এবং নেতা-কর্মীদের হত্যা, অপহরণ ও গুম করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফাঁসী দিয়ে শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে, নেতা-কর্মীদের অপহরণ ও গুম করে বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। তাই সরকারের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

গ্রেফতার ও নির্যাতনের মত অপরাজনীতি বন্ধ করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”