১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার, ৩:০০

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ইতিহাস বিকৃত করেছেন

দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ১৪নং পৃষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন কর্তৃক “বিজয়ের মাসে দাবী” শিরোনামে আজ ১৮ ডিসেম্বর লিখিত উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ১৯ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের লিখিত নিবন্ধে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তার লিখিত নিবন্ধে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তার লিখিত নিবন্ধে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সব ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তার জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী কখনই আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন না এবং শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কখনোই আলবদর বাহিনীর উপপ্রধান বা ডেপুটি ছিলেন না। আর শহীদ মুজাহিদের ঢাকার মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত বদর বাহিনীর ক্যাম্প পরিচালনার প্রশ্নই আসে না।
সকলেই অবগত আছেন যে, আলবদর বাহিনী গঠন করে ছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) এর তত্ত¡াবধানে হাট-বাজারে ঢোল সহরত করার মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে। ঐ সরকারের সাথে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের কোন সম্পর্ক ছিলনা। কাজেই আলবদর বাহিনীর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসেনা। তারা আলবদর বাহিনীর প্রধান বা উপপ্রধান থাকাতো দূরের কথা তারা ঐ বাহিনীর একজন সাধারণ সদস্যও ছিলেন না। সুতরাং বুদ্ধিজীবী হত্যা বা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের শিক্ষকগণকে হত্যার সাথে তাদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিলনা। অতএব মুজাহিদের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের শিক্ষকদের হাত-পা কুচিকুচি করে কাটা ও নুন-মরিচ লাগিয়ে দেয়ার প্রশ্ন অবান্তর।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং মীর কাসেম আলী অত্যন্ত সৎ লোক। তাদের অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করার যে অভিযোগ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন উত্থাপন করেছেন তা ডাহা মিথ্যা। ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী ও সহযোগীরা কখনই সংখ্যা লঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা, নিপীড়ন ও সম্পাদ ধ্বংস করেনি।
কাজেই জামায়াতের নেতাদের সম্পত্তি জব্দ করার যে দাবী অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করেছেন তা সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও মনগড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কিভাবে এমন ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালালেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে জনগণনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”